(aーで | :\o? লষ্টয়া রজ্জ্ব তৈয়ার করা যায়, তখন রজ্জ্বতে পরিণত সেই তৃণ রাশিদ্বারা মদমত্ত হস্তীকেও বাধা যায়। দেখ, একতার বল কত ! তোমরা তৃণের মত চেয়-হীন হইলেও একতার বলে বড় বড় কাজ অনায়াসে সম্পন্ন করিতে পরিবে। একজনের পক্ষে যাহা অসম্ভব, দশ জনের শক্তি একত্ৰ হইলে তাহা সুসাধ্য । এই সকল কথা শুনিতে বড়ই মধুর, বড়ই উত্তম, কিন্তু ফল বড় কিছু হইতেছে না। কারণ, লোকের হৃদয় হইতে প্ৰেম চলিয়া যাইতেছে, কাম সেই স্থান দখল করিতেছে। ভ্ৰাতৃপ্ৰেম ভ্ৰাতৃপ্ৰেম বলিয়া চীৎকার করিলে কি হইবে ? দেহে রোগ জন্মাইয়া, ঔষধ না খাইয়া, ঔষধের নাম স্মরণ করিলে কি ফল ? যে আপন ভাইকে ভালবাসিতে জানে না, সে পরের ভাইকে কেমন করিয়া ভালবাসিবে ? যদি ভালবাসে, তবে সে ভালবাসা কৃত্ৰিম । যে সমাজে সাদরে সোদরে মতান্তর, মনান্তর, পিতাপুত্রে অনৈক্য-অপ্রীতি দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে ; গৰ্ভধারিণীকে চোখের জলে ভাসাইয়া, ভাই-ভাই ঠাই-ঠাই হইয়া পড়িতেছে, সেখানে স্বদেশপ্ৰেম কথামাত্ৰে পৰ্য্যবসিত । স্বদেশপ্ৰেম পরিজনপ্রেমের বিরাট সম্প্রসারণ। পরিবারস্থ সকলকে ভালবাসিতে, গুরুজনকে শ্রদ্ধাভক্তি করিতে না শিখিলে প্ৰতিবেশী, গ্রামবাসী ও স্বদেশবাসীব প্ৰতি প্ৰেম জন্মিতে প | / বা না । এক vি • শ্ৰী রামচন্দ্ৰ লক্ষ্মণকে বলিলেন— বল দেখি ভাই, প্ৰকৃত বল কিসে হয় ? ভুজবলদৃপ্ত লক্ষ্মণ উত্তর কবিলেন—“বলং বলং বাহুবলম”। বাহুবলই বল। প্রেমাবতার বীর রামচন্দ্ৰ বলিলেন—না, তা নয় ; ‘বলং বলং ভ্রাতৃবলম’ । ভ্ৰাতৃবলই বল। কাহার কথা সত্য ? আমরা কাহারো কথা উপেক্ষা করিতে পারি না । সমাজে প্ৰত্যেক ব্যক্তিরই যেমন একটা ব্যক্তিত্ব-স্বাতন্ত্র্য থাকা