পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুপ্ত-প্রসঙ্গে অস্ত্ৰগণ । tుల তাহারই ফলে, অথৰ্ব্বণাচাৰ্য্যের উপনিষৎ রচিত হয়। গ্ৰন্থ এখনও মুদ্রিত হয় নাই। গ্রন্থের BDD DBB S BBBB SgLBD S S DBBB DDBD gBD SDBDBDDBD DDD শ্লোক সন্নিবিষ্ট আছে। অথৰ্ব্বণাচাৰ্য্য। কিন্তু তাহা গ্রন্থের কোথাও স্বীকার করেন নাই। অথৰ্ব্বণাচাৰ্য প্রাকৃত ভাষায় লিখিত ‘বাল্মীকি-সুত্রের’ কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়াছেন। কিন্তু ঐ সকল সুত্ৰ চতুর্দশ শতাব্দীতে যে ত্রিবিক্রম কর্তৃক রচিত হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে নানা প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সকল প্রমাণে অথৰ্ব্বণাচাৰ্য্যের প্রাচীনত্ব কোনক্রমেই সপ্রমাণ হয় না। অথৰ্ব্বণাচাৰ্য বলেন,-“অন্ধ-বিষ্ণু গোদাবরী নদীর তীরে বাস করিতেন।” অথৰ্ব্বণাচাৰ্যের এতদুক্তি হইতে প্ৰতীত হয়,-রাজমহেন্দ্রী তেলেগুদিগের রাজধানী মধ্যে গণ্য হইবার বহু পরে তিনি বিদ্যমান ছিলেন। আর, সেই সময় তাহার গ্ৰন্থ রচিত হইয়াছিল। 带

  • -2 |

“ঐতরেয়া ব্ৰাহ্মণে” অন্ধুগণের উল্লেখ আছে। সেখানে দেখিতে পাই,-“অন্ধগণেব সঙ্গে সঙ্গে পুণ্ড, শবর, পুলিন্দ ও অন্যান্য দসু্যজাতি আৰ্যভূমির সন্নিকটে বাস করিতেন। তখন সেখানে তঁাহারা বিশ্বামিত্রের পুত্ৰ বলিয়া পরিচিত। পিতা কর্তৃক তঁহার নির্বাসিত হইয়াছিলেন। প্রত্নতাত্ত্বিকের অভিমত-তখন আৰ্য্যগণ বিন্ধ্য-পৰ্ব্বতেব দক্ষিণে আধিপত্য বিস্তার করিতে সমর্থ হন নাই। তাই পূৰ্বোক্ত জাতি-সমূহ বিন্ধ্য-পৰ্ব্বতের দক্ষিণ দিকে বসতি স্থাপনে সমর্থ হইয়াছিল। বিন্ধ্য-প্ৰান্তবৰ্ত্তী পাৰ্ব্বত্য-প্রদেশের শবর জাতিব উল্লেখ খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর কবি বাণের “কাদম্বরী’ গ্রন্থে পরিদৃষ্ট হয়। অশোকের ত্রয়োদশ শিলালিপিতে অন্ধ, পুলিন্দ প্রভৃতি অধীনস্থ রাজ্য বলিয়া উল্লিখিত আছে; যথা,-“বিশবজি যোন কংবোযেমুনভকে ন (ভি ) তিন ভোজ পিতিনকেষু অংস্ত্ৰ পুলি (দে) সু সবত্র দেবানং পিঅস। এমনুশাস্তি অনুবটং।তি।” অন্ধ, প্রভৃতি জাতি-সমূহ যে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন, উদ্ধত লিপি হইতে তাহা বেশ উপলব্ধ হয়। অধিকন্তু লিপিতে যে সকল জাতির সাহচৰ্য্য পরিদৃষ্ট হয়, তাহাতে অন্ধগণ তখনও মধ্যভারত পরিত্যাগ করে নাই, অপিচ বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের সন্নিকটে তঁাহারা উপনিবিষ্ট ছিলেন, উদ্ধত লিপি হইতে তাহ বেশ বুঝা যায়। • মহাভারতের সভাপর্বে (একত্রিংশৎ অধ্যায়ে) পাণ্ড্য, দ্রাবিড়, ওড়া, কেরল এবং অন্ধ প্রভৃতি রাজ্যের এবং রামায়ণের চতুর্থ কাণ্ডে, অন্ধ, পাণ্ড্য, চােল ও কেরলগণের নাম পরিদৃষ্ট হয়। পণ্ডিতগণ তাহার ঐতিহাসিক প্রামাণ্য স্বীকার করেন না । তাহদের মতে । -বহু শতাব্দী-প্রচলিত পরম্পরাগত গাথা ও উপাখ্যান-রামায়ণ ও মহাভারতান্দির পূৰ্বোক্ত উক্তির ভিত্তিস্থানীয়। র্তাহারা আরও বলেন,-থুষ্ট-পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে যখন ঐ সকল জাতির অত্যুদয় ঘটে, তখনই পুৰ্ব্বোক্ত রামায়ণ ও মহাভারতের বিশেষ বিশেষ অংশসমূহ ঈচিত হইয়াছিল ; আর তখনই তাহাতে ঐ সকল জাতির নাম সন্নিবিষ্ট হয়। নচেৎ, গ্ৰন্থাদিতে যে ভাবে জাতিসমূহের উল্লেখ আছে, তাহা কদাচ্চ সম্ভবপর হইত না । স্বাহী হউক, আমরা এ সিদ্ধান্ত আদৌ অনুমোদন করি না। রামায়ণ-মহাভারতাদি