পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eांल्लेौम दएश्रद्र cशौद्रद-विख्य । סיטאל দলের সহিত রঘুর যুদ্ধ হইয়াছিল ;–কেবল কালিদাসের রঘুবংশের বর্ণনায় নহে, বাল্মীকির রামায়ণেও সে আভাস পাওয়া যায়। গ্রীক-বীর আলেকজাণ্ডার যখন ভারতাক্রমণে maasts. অগ্রসর হন, বঙ্গদেশের রাঢ়ভুমের সৈন্ত তাহাকে বাধাপ্রদান করিতে আলেকজাণ্ডারের গিয়াছিল । যাহারা বাধা দেয়, তাহারা গঙ্গারাঢ়ী ( Gangaradhis ) { শ" বলিয়া অভিহিত হয়। গঙ্গারাঢ়ী কাহারা ? গঙ্গাতীরবর্তী রাঢ় অঞ্চলের অধিবাসীরাই এরূপ সংজ্ঞা লাভ করিয়াছিল। পরিব্রাজক হুয়েন-সাং ভারতবর্ষে আসিয়া গঙ্গারাঢ়ীগণ কর্তৃক আলেকজাণ্ডারকে বাধা দেওয়ার সংবাদ শ্রবণ করিয়াছিলেন। মেগাস্থিনিসের বর্ণনায়ও এই গঙ্গারাঢ়ীদিগের বীরত্বের কাহিনী বিবৃত আছে। মেগাস্থিনিসের উচ্চারণে এই প্রদেশের নাম কতকটা ‘গঙ্গারিদাই’-রূপে উচ্চারিত হইয়াছে। আলেকজাণ্ডার, এসিয়া-মহাদেশের সকল দেশে আপনার বিজয়পতাকা উড্ডীন করিয়াও, এই গঙ্গারিদাই দেশে পরাভব স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । এই দেশের অধিবাসীদিগের বড় সুশিক্ষিত হস্তী ছিল । সেই সকল শিক্ষিত হস্তীর সাহায্যে তাহার। যখন যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতেন, কেহই তাহাদিগের সম্মুখীন হইতে সাহসী হইত না । ডায়ডোরাস, মেগাস্থিনিসের বৃত্তান্তের যে সার-সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন, তাহাতে স্পষ্টতঃ লিখিত আছে,—‘গঙ্গাতীরবর্তী গঙ্গারাঢ়ী বা গঙ্গারিদাই জাতির সহিত যুদ্ধে পরাজয়ের সম্ভাবনা মনে করিয়া, আলেকজাণ্ডার সেদিকে অগ্রসরই হন নাই।' ডায়ডোরাসের বর্ণনায় আরও প্রকাশ,— ‘গঙ্গারিদাই দেশে চারি সহস্ৰ সুশিক্ষিত হস্তী ছিল । কোন বৈদেশিক রাজা কখনই তাহাদের দেশ অধিকার করিতে সমর্থ হন নাই ? বঙ্গদেশান্তর্গত বৰ্দ্ধমান, বীরভূম প্রভৃতি বিভাগ রাঢ়ভূমি বলিয়া পরিচিত। বীরগণের আবাস-ভূমি ছিল বলিয়াই বীরভূমি' নাম হইয়াছিল। প্রতিপত্তি কখনই খৰ্ব্ব হয় নাই, পরস্তু দিন দিনই বৰ্দ্ধমান ছিল,--এই জন্যই ‘বৰ্দ্ধমান' নাম। এই সকল প্রধান-স্থান-সমন্বিত রাঢ়ভূমি— এক সময়ে আলেকজাণ্ডারের ন্যায় বীরপুরুষের প্রাণেও ভীতির সঞ্চার করিয়াছিল। মেগাস্থিনিস প্রভূতির উক্তিতে, ডায়ডোরাস প্রভৃতির বর্ণনাতে, তাহা সপ্রমাণ হয় । পরবর্তিকালেও অনেক দিন পর্য্যন্ত বঙ্গদেশ আপনার বাহু বলের পরিচয় দিয়া আসিয়াছিল । গুপ্ত-বংশের, পাল-বংশের, সেন-বংশের রাজত্বকালে বঙ্গদেশের প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয় স্মরণ করিয়া দেখুন –এ তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম হইবে। ইতিহাস-প্রসিদ্ধ গুপ্তরাজগণ বঙ্গদেশ হইতেই বিভিন্ন প্রদেশে আপনাদের আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। র্তাহাদের উৎপত্তি-স্থান ও অভু্যদয়ক্ষেত্র—এই বঙ্গদেশ। বিভিন্ন জনপদ অধিকার করিয়া ৰিভিন্ন প্রদেশে তাহার নূতন নূতন রাজধানী প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন বটে ; কিন্তু তাহাদের প্রধান রাজধানী এই বঙ্গদেশেই ছিল । বঙ্গদেশের অন্তর্গত সমুদ্রগড়—রাজা সমুদ্রগুপ্তের গড় বা রাজধানী বলিয়া প্রতিপন্ন হয়। তাহার পূর্বপুরুষগণও এই বঙ্গদেশেই প্রতিষ্ঠাম্বিত ছিলেন। এই গুপ্তবংশ ৩•• খৃষ্টাব্দ হইতে ৪৬৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত আপনাদের প্রাধান্যের নাৱ। পরিচয়-চিহ্ন রাখিয়া গিয়াছেন । বহু প্রাচীন মুদ্রায় এবং খোদিত লিপিতে ঠাহাম্বের প্রতিষ্ঠার বিষয় ঘোষণা করিতেছে। গুপ্তবংশের প্রবর্তিত একটা শকান্দ্ব হইতেও উপহাম্বের