পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা ও সাহিত্য । ১৯ জাধিপত্য-বিস্তারের পরিচয় পাই । প্রাচীন রোম-রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল,—শ্রীরামচন্দ্রের বংশোদ্ভব বা অনুগত কোনও বীরপুরুষ কর্তৃক। শব্দতত্ত্ববিদগণ রোম-রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতৃগণের নামের সহিত স্ত্রীরামচন্দ্রের নামের সাদৃশ্য-বিচার করিয়াই এতাদৃশ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়া থাকেন। পৃথিবীর সর্বত্র আধিপত্য-বিস্তারের বিষয় যেরূপ অবগত হইতে পারি; প্রাচীন গ্রন্থাদির আলোচনায়, পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে ভারতবর্ষের উপনিবেশস্থাপনের দৃষ্টান্তও সেইরূপ পরিদৃশ্যমান। তৎপ্রসঙ্গেও আমরা দেখিয়াছি,—ভারত-মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে, আমেরিকা-মহাদেশের অভ্যস্তরে, আফ্রিকার ও ইউরোপের বিভিন্ন জনপদে এক সময়ে ভারতবাসীর উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন । তখন ভারতের সনাতন বেদবিহিত ধৰ্ম্ম ভিন্ন অন্ত ধৰ্ম্মের অভু্যদয় হয় নাই ; ধৰ্ম্ম-নাশের—জাতিনাশের আশঙ্কায় আৰ্য্যগণকে অভিভূত করে নাই ; সুতরাং আধিপত্য-বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নানা স্থানে তাহাদের উপনিবেশ স্থাপিত হইয়াছিল। মিশরের বিভিন্ন অংশে ফালাস’ দেবের মন্দিরে লিঙ্গ-মূৰ্ত্তির উপাসনা দেখিয়া, ঐতিহাসিক-গণের অনেকেই এখন ঐ সকল প্রদেশে শৈব-ধর্মের অভু্যদয়ের বিষয় স্বীকার করিতে বাধ্য হইতেছেন । * আমেরিকার পেরু ও মেক্সিকো-প্রদেশে রাম-সীতার পূজা-পদ্ধতি ও গণপতি প্রভৃতির মূৰ্ত্তি দেখিয়াও তত্তদেশে ভারতীয়-গণের উপনিবেশ-স্থাপনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইতেছে । তখন সমুদ্র-গমন দোষাবহ ছিল না ; সুতরাং অর্ণবযানাদির প্রচলন ছিল। ঋগ্বেদে দেখিতে পাই,—রাজর্ষি তুগ্র আপন পুত্র ভূজু্যকে সসৈন্তে সমুদ্র-পথে দিগ্বিজয়ে প্রেরণ করিয়াছিলেন। বণিকগণ সমুদ্র-পথে অর্ণবপোত-পরিচালনে বাণিজ্য দ্বারা ধনোপার্জন করিতেন,—ঋগ্বেদে এরূপ প্রমাণ-পরম্পরারও অসম্ভাব নাই। বৌদ্ধ-ধর্মের অভু্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বৌদ্ধ-ভিক্ষুগণ পৃথিবীর এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে পরিভ্রমণ করিয়া আপনাদের সত্য-ধর্শ্বের মহিমা ঘোষণা করিতেন। পৃথিবীর অধিকাংশ নরনারী আজিও যে বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মাবলম্বী, বিভিন্ন দেশে ভারতীয় ভিক্ষু-গণের গতিবিধি এবং ভারতের আধিপতা-বিস্তারই তাহার কারণ নহে কি ? এইরূপে দেখা যায়,—ম্মরণাতীত কাল পূৰ্ব্ব হইতে খৃষ্ট-জন্মের পরবর্তী কয়েক শতাব্দী পৰ্য্যন্তও ভারতবর্ষ দেশ-বিদেশে আপনার প্রভাব-প্রতিপত্তির পরিচয় দিয়াছিল। আমরা পূৰ্ব্বেই দেখাইয়াছি,—ভারতের ভাষাই পৃথিবীর আদি-ভাষা ; ভারতের প্রতিষ্ঠার সাহিত্যই পৃথিবীর আদি-সাহিত্য ; আর সেই সাহিত্যের অভ্যন্তরেই ভারতে পলি যে সত্য-সমুন্নত সমাজের আদর্শস্থানীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভু্যদয় হইয়াছিল, তাহারও পরিচয় বিদ্যমান রহিয়াছে। ভাষার ও সাহিত্যের আধার-স্থানীয় যে বর্ণমালা ; – সেই বর্ণমালার উৎপত্তি-তত্বের আলোচনায় আমরা কি দেখিয়াছি ? দেখিয়াছি— ফিনিসীয়ায় নয়, বাবিলোনিয়ায় নয়, মিশরে নয়, ইথিওপীয়ায় নয় ;–বর্ণমালার আদিউৎপত্তি-স্থান এই ভারতবর্ষ। পৃথিবীর আদিগ্রন্থ ঋগ্বেদের মধ্যেই ভারতে বর্ণমালার আদিঅস্তিত্বের প্রমাণ রহিয়াছে। ঋগ্বেদের বিভিন্ন স্থানে কি ভাবে বর্ণমালার অস্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, সে আভাস পূৰ্ব্বেই প্রদান করিয়াছি। বর্ণমালার প্রতিবাক্য অক্ষর’ শব্দটা ९ 'भूषिशैत्र इरिशन', फूडीौन्न ५७, **४५-***म १४ जडेरा ।