পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి బి ఫి ভারতবর্ষ । খৃষ্ট্ৰীয নবম শতাব্দীতে নাবিক সিন্দাবাদ ভারতবর্ষে বাণিজ্য করিতে আসিয়াছিলেন । ৮৫৯ পুষ্টাব্দে বসোবার বণিক সুলেমান ভারতের বাণিজ্য-বন্দর-সমূহের সহিত পরিচিত হন। গুজরাটেব ও মালবাবের সন্নিকটস্থ সমুদকে তিনি ‘লার’ নামে অভিহিত করিয়। গিয়াছেন । লঙ্কাদ্বীপ বা সিলোন তাহার নিকট সেরেণ দ্বীপ নামে পরিচিত হইয়াছিল। ঐ সকল স্থানের বাণিজ্য-সম্পং তিনি প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন । ৮৯০ খৃষ্টাব্দ হইতে ৯৫৬ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বোগদাদ-সহবের বণিক মাসোদি ভারতবর্ষে অবস্থান করেন । তৎকালে ভাবত-জাত বহু পণ্য-দ্রব্যের মধ্যে লবঙ্গ, জাফল, কপূর, চন্দনকাষ্ঠ প্রভৃতি তিনি বিদেশে রপ্তানি হইতে দেখিয়াছিলেন। আল্বারুণীর গ্রন্থে খৃষ্টীয় একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে ভাবতের বাণিজ্য-প্রসঙ্গ দেখিতে পাই । * তৎকালে গুঞ্জ রাটের উপকূলভাগ বাণিজ্যে বিশেষ সমৃদ্ধি-সম্পন্ন ছিল । তখন, মালব হইতে প্রচুর পরিমাণ চিনি বিদেশে রপ্তানি হইত ; পৃথিবীর নানা স্থানে ভারতের পণ্য অর্ণবপোত-সাহায্যে সংবাহিত হইত। মালপার উপকূল এই সমঘে ভারতের বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল মধ্যে পৰিগণিত হইষাহিল। পান্ন, মুক্ত, সুগন্ধ দ্রব্য ও তৃণ প্রভূতি এই সময়ে ইরাক, খোরাসান, সিরিযা, রুম ও ইউরোপে চালান BBB S BBBBB BB BBB BBBBS BBBBBSSSBBBB BB BBB BB BBBB BBBS জাতীয় পণ্য ও বস্ত্রদি আনয়ন করা হইত। চীন-ভাষায় সেই সু-বৃহৎ অর্ণবপো'ত 'জঙ্ক’ বলিয। পরিচিত ছিল । ওয়াসেফ ( ১৩২৮ খৃষ্টাব্দে ) বলেন,—‘জঙ্কগুলি দেখিলে মনে হইত, যেন এক একটা পক্ষ-সংযুক্ত বৃহৎ পৰ্ব্বত সমুদ্রেব উপপ বায়ুভবে ভাসিয। চলিযাছে।’ স্বাদশ শতাব্দীতে সিন্ধু-দেশের দেবল বন্দর বিশেষ প্রসিদ্ধিসম্পন্ন হইয়ছিল । চীন-দেশের বাণিজ্য-পোত-সমূহ এবং উমান হইতে আগত পণ্যবাহী-পোত-সমূহ দেবল-বন্দবে আশ্রয লইত এবং সেখান হইতে বণিকগণ বাণিজ্যের সুবিধা পাইতেন । আল-ইদ্রিসি দেবলবন্দরের এবম্বিধ সমৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করি নাছিলেন । তৎকালে বরুচ ( বরেীচ বন্দর ) প্রসিদ্ধিসম্পন্ন হইয় উঠিয়াছিল। চীন-দেশের এবং সিন্ধু-দেশের অনেক বাণিজ্য-তরী ঐ বন্দরে আসিয়া পণ্য সংগ্ৰহ করিত। এই সমযে করোমণ্ডল-উপকূল কার্পাস-বস্ত্রের ব্যবসায়ে মালবার উপকূল দারুচিনি ও পিপ্পলের ব্যবসায়ে এবং সিন্ধু-তীরস্থিত মানসুরা বন্দর জাম্বীর লেবুর ব্যবসায়ে প্রসিদ্ধি-লাভ করিয়ছিল । ফলতঃ, মুসলমান-সাম্রাজ্যের শৌর্য্য-প্রভায় যখন দিদিগন্ত উদ্ভাসিত, ভারতের বাণিজ্যের প্রভাব তখন সৰ্ব্বত্র অনুভূত হইয়াছিল। প্রাচীন ভারতের বাণিজ্য-কেন্দ্র বন্দর-সমূহ । ،بچچی অতি প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের কোন বন্দর সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল, তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। পুরাণাদি শাস্ত্র-গ্রন্থে যে সকল স্থানের যে নাম দৃষ্ট হয়, তাহার অনেক নামই এখন পরিৰ্ত্তিত । বঙ্গ, গৌড়, দ্রাবিড়, কলিঙ্গ, কোঙ্কণ, মগধ ు প্রভৃতি নামে বিভিন্ন জনপদ বিভিন্ন সময়ে পরিচিত ছিল । এখন সে সকল নামের ও পরিচয়ের অনেক পরিবর্তন ঘটিয়াছে। একই নামে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জনপদ পরিচিত ছিল,—সে প্রমাণের অসম্ভাব নাই। পঞ্চ-গৌড় পঞ্চ 7:: Sir Henry Elliot's History of India.