পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV) . ভারতবর্ষ সেতুবন্ধ পৰ্য্যস্ত আপনার রাজ্য বিস্তার করিয়াছিলেন। দক্ষিণ-ভারতের কান্ধী-রাজ্য পুরুষোত্তমদেব অধিকার করেন। রুদ্রদেবের রাজত্বকালে নবদ্বীপের শ্ৰীচৈতন্যদের উৎকাল-রাজ্যে আগমন করিয়াছিলেন। কহিলারুগদেব হইতে গঙ্গা-বংশের অবসান DSS BB BBBB BBD S BDBDBD DDD S DDDBBBBB DDDS S DDDD iiD অধিকার করেন। তিনি কোন বংশজ এবং তাঁহার আদি-বাসস্থান কোথায় ছিল, তাহার কোনও বিবরণ পাওয়া যায় না। তঁহারই রাজত্বকালে মুসলমানগণ উৎকল-রাজ্য প্রথম আক্রমণ করেন। ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৪১ খৃষ্টােব্দ পৰ্যন্ত তাহার রাজত্ব-কাল। গোবিন্দ-বিদ্যাধরের পর চারি জন নৃপতি ক্ৰমান্বয়ে উৎকল-রাজ্যে রাজত্ব করিয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যে চক্ৰ প্ৰতাপ ১৫৪১ খৃষ্টাব্দ शंदेऊ »c:8 शृंङ्गांक পৰ্য্যন্ত, নৃসিংহ জন ১৫৪৯ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৫০ খৃষ্টােব্দ পৰ্যন্ত, রঘুৱাম ছোত্র (ছোট্টরা ) ১৫৫০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৫১ খৃষ্টােব্দ পৰ্যন্ত এবং মুকুন্দদেব ১৫৫১ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৫৯ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত উৎকলরাজ্যের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই মুকুন্দদেবের রাজত্বকালে হিন্দুদ্বেষী কালাপাহাড় উৎকল-রাজ্য বিধ্বস্তু করিয়াছিলেন। যাজপুরের যুদ্ধে মুকুন্দদেব পরাজিত ও নিহত হইলে, কালাপাহাড় জগন্নাথদেবের মন্দির লুণ্ঠন করেন। দেবমূৰ্ত্তি চুণীকৃত হয় ; কালাপাহাড়ের অধিনায়কত্বে মুসলমানগণ উৎকল-রাজ্য অধিকার করিয়া লয়। মাদলাপঞ্জী” মতে এই মুকুন্দদেব প্রথম মুকুন্দদেব নামে অভিহিত । এই মুকুন্দদেবের পর, গৌড়ীয় গোবিন্দ দুই বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। তৎপরে উনিশ বৎসর-কাল উড়িষ্যা অয়াজক ছিল। তাহার পর যথাক্রমে রামচন্দ্ৰদেব, নৃসিংহদেব, গঙ্গাধরদেব, বলভদ্রদেব, মুকুন্দদেব (২য়), দ্রব্যসিংহদেব, কৃষ্ণদেব, গোপীনাথদেব, রামচন্দ্ৰদেব, (২য়), বীরকিশোরদে, দ্রব্যসিংহদেব (২য়), মুকুন্দদেব (৩য়) এবং রামচন্দ্ৰদেব (৩য়) উড়িষ্যার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বলা বাহুল্য, ঐ নৃপতিগণকে কখনও মুসলমানদিগের এবং কখনও মহারাষ্ট্ৰীয়গণের অধীনতা স্বীকার করিতে হইয়াছিল। কালাপাহাড়ের পূৰ্ব্বে, ১৫১০ খৃষ্টাব্দে, মুসলমানগণের মধ্যে ইস্মাইল গাজী সৰ্ব্ব প্ৰথম উৎকল-দেশ আক্রমণ করেন। কিন্তু সে সময়ে মুসলমানগণ উৎকলে আধিপত্য-স্থাপনে সমর্থ হন নাই। এলফিনষ্টান লিখিয়াছেন,-থুষ্ট-জন্মের পাঁচ শত বৎসর পূর্বে ইমারত খ্যা নামক জনৈক মুসলমান উৎকাল-রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। ইতিহাসে দেখিতে পাই, মহম্মদ তোগলকের রাজত্বকালে উড়িষ্যায় রাজপুত-জাতির আধিপত্য বিস্তৃত হইয়াছিল। খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে, আকবরের রাজত্বকালে, হাসিম খাঁ নামক জনৈক শাসনকৰ্ত্তা উড়িষ্যায় স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করেন। ১৬২১ খৃষ্টাব্দে ঐ রাজ্য সাহােজান কর্তৃক পুনরায় দিল্লীর অধীনতা-পাশে আবদ্ধ হয়। নবাব আলিবর্দীর শাসনকালে মহারাষ্ট্ৰীয়গণ উড়িষ্যা অধিকার করিয়াছিল। কিন্তু ১৮০০ খৃষ্টাব্দে ইংরেজগণ কর্তৃক উড়িষ্যা হইতে মহারাষ্ট্ৰীয় সেনাপতি বিতাড়িত হন। উক্ত খৃষ্টাব্দের ১৪ই অক্টোবর ইংরেজগণ উৎকালরাজ্য অধিকার করেন। তখন উৎকল-রাজ্যের অবস্থা অতীব শোচনীয়। মহারাষ্ট্রীয়দিগের উৎপীড়নে দেশ স্মশানে পরিণত হইয়াছিল। কত শত গ্রাম জনশূন্য অবস্থায় পড়িয়া ছিল। কিন্তু ইংরেজের সুশাসন-গুণে দেশ পুনরায় জনপূর্ণ হয় ; উৎকল রাজ্য পুনরায় সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠে।