পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতঞ্জল-দর্শন ১১১ ৷ এক পুরুষ বা “ঈশ্বর” স্বীকার করেন । তিনি বলেন,—পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব ব্যতীত সেই *. এক পুরুষ আছেন—যিনি "ক্লেশকৰ্ম্মৰিপাকাশদৈরপরামৃষ্টঃ ” অর্থাৎ, যিনি অবিস্তামূলক ক্লেশ, কৰ্ম্ম, বিপাক ও জাশয়ের সহিত সম্বন্ধশুস্ক, সেই পুরুষ-বিশেষই ঈশ্বর ; তিনি জ্ঞানাধার, তিনি ব্রহ্মানি গুরুগণের গুরু, তিনি ত্রিকালের অতীত । পাতঞ্জলের মতে,-সাধারণ পুরুষ রাগন্বেষাদি ক্লেশের, পাপপুণ্য কৰ্ম্মের, জন্মায়ুভোগ কৰ্ম্মফলের এবং তদনুরূপ সংস্কারের অধীন । কিন্তু বিশেষ পুরুষ বা ঈশ্বর সে সকলের अडौड-जकरणइश् সহিত সম্পর্কশূন্ত ; তিনিই সৰ্ব্বজ্ঞ, তিনিই অনন্ত, তাহাতেই জ্ঞানের পরাকাষ্ঠী। ষোগপ্রভাবে জ্ঞানের সেই পরাকাষ্ঠী লাভ হয়। সেই জ্ঞানলাভই-কৈবল্য। কৈবল্য-নিরূপণই । পাতঞ্জল-দর্শনের প্রতিপাদ্য। তাই প্রথমে স্থলভাবে পদার্থাদির বিচার করিয়া, বোগের প্রকরণ এবং যোগ প্রভাবে কিরূপে কৈবল্যলাভ হয় —এই দর্শনে তাহাই দেখান হইয়াছে। পতঞ্জলি যোগ’-শব্দের সংজ্ঞা-নির্দেশ করিয়াছেন,—“যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ " অর্থাৎ, যদ্বারা চিত্তবৃত্তি রোধ করিতে পারা যায়, তাহারই নাম যোগ । যোগের আট অঙ্গ ;– "যমনিয়মাসনপ্রাণায়ামপ্রত্যাহারধারণাধ্যানসমাধয়োহষ্টাবঙ্গানি” ; অর্থাৎ,যম,নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি । এতন্মধ্যে প্রথমোক্ত পাচটী বহিরঙ্গ এবং শেষোক্ত তিনটী অস্তুরঙ্গ ; যেহেতু, যম-নিয়মাদির সহিত শরীরের এবং ধ্যান-ধারণাদির সহিত চিত্তের সম্বন্ধ । হেয়, হেয়-হেতু, হান ও হানোপায় - ষোগশাস্ত্রের এই চারিট পৰ্ব্ব । পতঞ্জলির মতে সংসার হেয় ; কেন-না, দুঃখময় । প্রকৃতি-পুরুষের সংযোগই দুঃখের হেতু ; কেন-না, তাহাতেই যত কিছু অবিস্কার উৎপত্তি। প্রকৃতি-পুরুষের সেই সংযোগ-বিচ্ছিত্তিই ৰাম ; কেন-ন, তদ্বারা অবিদ্য হনন হইয় থাকে। প্রকৃতি-পুরুষের ভেদজ্ঞানই হানেপায় ; কেন-না, তস্থার তত্ত্বজ্ঞানেদয়ে মিথ্যাজ্ঞান তিরোহিত হয়। যোগদ্বারাই পুরুষ এই হানোপায় স্থির করিতে পারেন। "যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ” – যোগের এই সংজ্ঞা নিৰ্দ্দেশের পর, পতঞ্জলি চিত্তের অবস্থ ও চিত্তের বৃত্তির আলোচনা করিয়াছেন। তাহার মতে,—চিত্তের অবস্থ৷ পাচ প্রকার ; বৃত্তিও পঞ্চবিধ । চিত্তের সেই পান্ত অবস্থার নাম-ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্ৰ, নিরুদ্ধ। চিত্তে নিতান্ত চাঞ্চল্য উপস্থিত হইলে চিত্ত ক্ষিপ্ত, অর্থাৎ রজোগুণাধিক্যযুক্ত ; চিত্ত মোহাচ্ছন্ন হইলে, চিত্ত মূঢ় (অর্থাৎ তমোভাবাপন্ন ) ; চিত্তে কখনও স্থৈৰ্য্য কখনও অস্থৈৰ্য ভাবের সমাবেশে, চিত্ত বিক্ষিপ্ত ( অর্থাৎ, সত্ত্বরজাদির দ্বন্দ্ব-ভাব-পূর্ণ) ; চিত্ত অবিচলিত ভাবে ধোয় বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট থাকিলে, চিত্ত একাগ্র ; এবং সকল বৃত্তির নিরোধ হইলে, চিত্ত নিরুদ্ধ। বৃত্তি-পঞ্চক—প্রমাণ বিপৰ্য্যয়, বিকল্প, নিদ্রা, স্থতি। প্রমাণের প্রসঙ্গ পুনঃপুনঃ আলোচিত হইয়াছে ; বিপৰ্য্যয় অর্থ-বৈপরীত্য অর্থাৎ মিথ্য জ্ঞান ; বিকল্প-ইচ্ছাম্ববাদী কল্পনা বিশেষ ইত্যাদি। যোগ-প্রভাবে এই সকল চিত্ত-বৃত্তির রোধ হইতে পারে ; অর্থাৎ, পুরুৰে কোমরূপ বিকৃতি উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা থাকে না। পতঞ্জলির যোগশাস্ত্র তাই, বিবিধ প্রকারে চিত্তবৃত্তি-নিরোধের উপায়-পরম্পরা নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। BDD BBBS BBB BBB DDDD BBD DDD DD BBBS DDDBB BS