পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ar ভারতবর্ষ। উৎপন্ন হয় ; এক অগ্নিস্ফূলিঙ্গ হইতে যেমন বহুতর দীপ-শিখার উদ্ভব হইয়া থাকে ; ঋক বেদ হইতে তদ্রুপ বেদাঙ্গ বেদান্ত প্রভৃতির স্বষ্টি-পরিপুষ্ট সাধিত হইয়াছে। ভগবদমুসরণই—মনুষ্যের ধৰ্ম্ম । সেই অমুসরণের ফলেই - যমুন্যের সমাজ-বন্ধন,যজন্যের সভ্যতা, মনুষ্যের জ্ঞানোন্নতি। যে জাতি যতটুকু পরিমাণে তাহার অমুসরণ করিতে বৈদিক এই পারিয়াছে, তাহার ধৰ্ম্ম ততদুর সমুন্নত, তাহার সভ্যতা ততদুর সকল ধর্মের পরিমার্জিত। আর্য্য-হিন্দুগণ তদ্বিযয়ে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়া "*" আছেন । বেদাদি শাস্ত্র—তাহার জীবস্তু নিদর্শন। এ পর্য্যন্ত পৃথিবীতে যত জাতি—যত ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হইয়াছে, সকল জাতির সকল ধৰ্ম্মের সার সামগ্রী—বৈদিক-ধৰ্ম্মের অন্তভুক্ত আছে, দেখিতে পাই । ফলতঃ, এমন কোনও অবিসম্বাদিত তত্ত্ব এ পর্য্যস্ত কেহ আবিষ্কার করিতে পারেন নাই, বৈদিক-ধৰ্ম্মে যাহার অস্তিত্ব মাহ । পৃথিবীর প্রচলিত ধৰ্ম্ম-সমুহের আলোচনা করিলে, আমরা কি দেখিতে পাই ? আমরা দেখিতে পাই ন কি,-আর্য্য-হিন্দুগণের বৈদিক-ধৰ্ম্ম হইতেই অন্যান্য ধৰ্ম্মের সারসামগ্ৰী সংগৃহীত হইয়াছে ? আমরা দেখিতে পাই ন কি,—অনেক সামগ্ৰী দেশ-ভেদে কাল-ভেদে রূপান্তরিত হইয়াছে মাত্র ; কিন্তু সকলেরই মূল—সনাতন আর্য্য-ধৰ্ম্ম । কোনও এক সময়ে, আৰ্য্য-হিন্দুগণের আচার-ব্যবহার ও কৰ্ম্ম-পদ্ধতির সহিত পৃথিবীর প্রাচীন জাতি-সমূহের অনেকেরই আচার-ব্যবহার এবং কৰ্ম্ম-পদ্ধতির সামঞ্জস্য ছিল । পুরাবৃত্তে তাহার ভূয়োভূয় পরিচয় পাওয়া যায় । এখনও ভিন্ন ভিন্ন জাতির ধৰ্ম্ম-ফন্মের ও নীতিতত্ত্বের অনেক অংশ– অ{ৰ্য্য-হিন্দুগণের আদর্শের অনুসরণকারী । এক জ্যোতিঃ হইতে যেমন সকল জ্যোতির উৎপত্তি হয় ; অথচ, সেই জ্যোতিঃ-সমূহের কোনটা উজ্জ্বল, কোনটা ক্ষণপ্রভ, কোনটী বিমলিন হইয়া থাকে ; ধৰ্ম্মের উৎপত্তি ও বিস্তু ত সম্বন্ধেও সেই BB BB BBBB BBBS BBSBBBBB BBB BBBBSBBB BBBBS এক কালে দিগিদগস্তে বিকীর্ণ হইয়া পড়িয়াছিল ; এখনও তাহার অংশ-মাত্র কোথাও কোথাও সঞ্চিত আছে ;--আর্য্য-ধৰ্ম্মের সহিত অন্যান্য ধৰ্ম্মের তুলনা করিলে, তাহ। বুঝিতে পারা যায়। পৃথিবীর ধৰ্ম্ম-সমূহের উৎপত্তি ও বিস্তৃতির বিষয় আলোচনা করিলেও, এই সিদ্ধাস্তেই উপনীত হই। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি,-“পৃথিবীয় অধিকাংশ লোক যে ধৰ্ম্মের অমুসরণকারী, সে ধৰ্ম্ম—এই ভারতবর্ষেরই ।” তাহা যদি অবিসম্বাদিতরূপে প্রতিপন্ন হয়, তাহা হইলে, প্রোক্ত সিদ্ধাস্তে কোনই সংশয় থাকিতে পারে ম। সুতরাং, এখন দেখাইতেছি,—পৃথিবীর অধিকাংশ লোক এখনও কি প্রকারে ভারতীয় ধৰ্ম্মের অনুসরণকারী ! যমুন্যের গণনায় যতদূর নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহাতে দেখিতে পাই,—পৃথিবীতে এখন মোটামুটি এক শত কোট লোকের বসতি আছে। এই এক শত কোটি লোকের মধ্যে তিল্পায় কোটি লোক হিন্দু-ধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধ-ধর্শ্বের অস্থবৰ্ত্তী ; অবশিষ্ট সাতচল্লিশ কোটি লোক অন্যান্য ধর্মের উপাসক। বলা বাহুল্য, সেই সাতচল্লিশ কোটির মধ্যে—খৃষ্ট-ধৰ্ম্ম আছে, মুসলমান-ধৰ্ম্ম আছে, জোরাঞ্ছিয়ানিজম (প্রাচীন পাৱলীকগণের ধৰ্ম্ম ) আছে, জুডাইজম্ (মোজেস-প্রবর্ধিত ইহুদিগণের ধৰ্ম্ম ) আছে,