[১০০]
যুগের অব্যবহিত পরে উভয়ের মধ্যে আর একটি মৃত্তিকাওর পাওয়া যায়। ইহা দুই অন্তর যুগের কোনটিরই স্তর অন্তর্গত নহে। এই স্তর অতি অল্পই গভীর বুলিয়া ইহার আর বিশেষ বিবরণের আবশ্যক বোধ হইল, ভূবেত্তারা ইহাকে রিটিক অথবা পেনর্থ, গর্ভযুগ বলেন।
পৃথিবীর ইতিহাসে জুরাসিক অন্তরযুগ একটি প্রধান। ফান্সে জুয়া নামক পর্বত-শ্রেণী এই যুগের মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত বলিয়া এই যুগের নাম জুরাসিক হইয়াছে। জুরাসিক অন্তরযুগ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। লায়াস-অর্থাৎ কর্দমময় চূর্ণস্তর, এবং ওয়োলাইট অর্থাৎ ডিম্বাকার প্রস্তরস্তর। এই দুই রূপ বিভাগ জুরা পর্বতে দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া এই দুই ভাগে জুরা অন্তরযুগকে ভাগ করা গিয়াছে। জুরাসিক অন্তর যুগের উদ্ভিদ ও জীব সমূহে একটি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
পূর্ব্ব সময়ের অনেক জাতীয় জীব এ যুগে লোপ পাইয়া নূতন জীবের সৃষ্টি হইয়াছে। ৪০০০ প্রকারের ভিন্ন ভিন্ন নূতন জাতীয় জীব এসময়ে উৎপন্ন। কর্কল চূর্ণে পাথর ও চূণযুক্ত বেলে-কর্দম দ্বারা জুরা অন্তর যুগের প্রথম স্তর লয়াস, মৃত্তিকা নির্ম্মিত। লায়াস গর্ভযুগ আবার দুই তিনটি স্তরবিশিষ্ট। প্রত্যেক স্তরে মৃত্তিকার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।