পাতা:পৃথিবী.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১২৫ ]

সময়ে স্তন্যপায়ী এবং ভেকজাতীয় সরীসৃপেরই প্রাধান্য অধিক। এ অন্তর যুগের শেষ ভাগে মাষ্টডন আর বড় দেখা যায় না। এ যুগের নুতন উৎপন্ন জণ্ডর মধ্যে, জল হস্তী, উষ্ট, অশ্ব বৃষ শূকর ও হরিণ এখনো বর্তমান। এ অন্তর যুগের অশ্ব আধুনিক জাতি অপেক্ষা আকারে ছোট ইহা প্রায় গর্দ্দভের সমান।

 এখন নানা জাতীয় অসংখ্য বানর দেখা যায়। মায়েসিন অন্তর যুগে গণ্ডারের প্রথম উৎপত্তি, এ সময়ে তাহার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি হইয়াছে। এ সময় একরূপ দ্বিখড়গী গণ্ডার (Rhinoceros tichorhinus) দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা সুমাত্রা ও আফ্রিকার আধুনিক দ্বিখড়গী জাতি হইতে অনেক ভিন্ন। ইহাদের নাসার দ্বয়ের মধ্যে একটা হাড়ের ব্যবধান আছে, আধুনিক জাতিতে তাহা নাই।

 এই পুরাতন অদ্ভুত গণ্ডার-কঙ্কাল হইতে নানাবিধ অদ্ভুত গল্পের উৎপত্তি। আরব্য উপন্যাসে যে রূপ পক্ষীর গল্প পড়া যায়, ভূগর্ভে এই গণ্ডার শৃঙ্গ পাইয়াই সেই অদ্ভুত পক্ষীর গল্প সৃষ্টি হইয়াছে। ইয়োরোপের বিখ্যাত ড্রাগনের গল্পও ইহা হইতে সৃষ্ট। ক্যারিনথিয়া প্রদেশের ক্লাগেনভৃর্থ নগরের ফোয়ারায় প্রকাণ্ড ৬ ফুঠ পরিমাণ এক-শৃঙ্গ-ড্রাগন মস্তক অঙ্কিত আছে। প্রবাদ এই যে, এই ডাগন পূর্ব্বে এক পর্বত-গুহায় বাস করিত এবং মধ্যে মধ্যে গুহা হইতে নির্গত হইয়া দেশ ছারখার করিত। এক সাহসী বীর নিজ-