পাতা:পৃথিবী.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৩১]

 এখন আমরা দেখিয়া আসিলাম ২৪ ঘণ্টায় যেমন পৃথিবী আপনাকে আপনি একবার আবর্ত্তন করে এক বৎসরে তেমনি সূর্য্যকে একবার প্রদক্ষিণ করিয়া আইসে। পৃথিবীর এই দুইটি গতি মিশ্রিত হইয়া যে একটি গতির উৎপত্তি হয় তাহা অনেকটা লাটিমের গতির মত। একটা লাটিমকে ঘুরাইয়া দিলে অনেক সময় সে নিজের চারি দিকে ঘুরিতে ঘুরিতে আবার একটি স্বতন্ত্র চক্রাকার পথে যায়। পৃথিবী ঈষৎ বেঁকিয়া বেঁকিয়া ঠিক সেইরূপে আকাশ-পথে সর্পকুণ্ডলাকৃতি চক্র কাটিতে কাটিতে চলিতেছে। পৃথিবী ঘুরিতে ঘুরিতে এইরূপে যে চক্রাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে হাই পৃথিবীর অয়নমণ্ডল। পৃথিবীর অয়নমণ্ডল সম্পূর্ণ গোলাকার নহে ইহা অনেকটা ডিম্বাকৃতি (বৃত্তাভাস)। এই অয়নমণ্ডলের দুইটি অধিশ্রয় (focus) আছে। * একটি অধিশ্রয় শূন্য একটি অধিশ্রয়ে সূর্য্য অবস্থিত। সেই জন্য অয়নমণ্ডলের সকল স্থান সূর্য্য হইতে সমান দূরে নহে। দ্বিতীয় চিত্রটি দেখিলে দেখা যাইবে খ প্রান্ত সূর্য্য হইতে যেমন অপেক্ষাকৃত দূরে ক প্রান্ত তেমনি অপেক্ষাকৃত নিকটে। এই ডিম্বাকৃতি অয়নমণ্ডল দিয়া পৃথিবী সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করে।


 * একটি মাত্র কেন্দ্র আশ্রয় করিয়া যেমন বৃত্ত উৎপন্ন হয়। বৃতাভাসের উৎপত্তির নিমিত্ত তেমনি দুইটি কেন্দ্রের আবশ্যক। বৃত্তাভাসের কেন্দ্রের নাম অধিশ্রয়।