পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छफुछझएछ পড়িয়াছে। তুমি আপনাকে নরপাল বলিয়া দৰ্প করিলে। পথের পথিককে ধরিয়া বিনা বেতনে বেগার খাটাইয়া লও, এই ভাবে তুমি নর পালন কর, তুমি আতি নিষ্ঠুর। আর তুমি আমার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করিবে, এই ভয় দেখাইলে। এই নশ্বর মৃদভাণ্ড ভঙ্গের ভয় আমায় বৃথা দেখাও, ইহার সঙ্গে আমি অনেক পূর্বেই সম্বন্ধ-বিদ্যুত হইয়াছি। তুমি যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে পাের।” এই ভৎসনা পরম কারুণিকের মুখপন্মের সুরভি-মাখা । রাজা অপ্ৰত্যাশিত ভাবে এই স্নিগ্ধ উপদেশমূলক গঞ্জনা লাভ করিয়া বিনা বাক্যব্যয়ে শিবিকা হইতে অবতরণ করিলেন এবং যুক্ত করে বলিলেন, “আপনি কোন মহাজন। এমন অপূর্ব উপদেশ-সুধা আমি জীবনে পান করি নাই। আমি ব্ৰহ্মতত্ত্ব জানিবার জন্য কপিলাশ্রমে যাইতেছিলাম, আপনি কি স্বয়ং কপিল কিংবা বৃহস্পতি ? আপনাকে হীনকার্যে নিযুক্ত করিয়া আমি অনুতাপে দগ্ধ হইতেছি। এই দীনতম সেবকের দোষ মার্জনা করিয়া আমাকে ব্ৰহ্মবিষয়ক উপদেশ প্রদান করুন। আপনি সিদ্ধ মহাপুরুষ, আপনার ব্যবহারে ও কথায় তাহা আমার বুঝিতে বাকী নাই।” জড়ভরত বলিলেন, “আত্মপ্রতারণাপূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হয় নামহারাজ, তুমি বৈভবের মধ্যে বসিয়া, অহঙ্কত হইয়া ব্ৰহ্মলাভ করিতে পারিবে না । মনুষ্যগণকে হীন মনে করিয়া, তাহাদের স্কন্ধের উপর আরূঢ় হইয়া, বেত্ৰহন্তে তাহাদিগকে গর্দভের মত তাড়না করিতে করিতে ব্ৰহ্মলাভের প্রত্যাশায় কপিলাশ্রমে যাইতেছে! মহারাজ, ব্ৰহ্মজ্ঞান তোমা হইতে এখনও যতদুর, কপিলাশ্রম হইতেও ততদুল্পে থাকিবে ।” እኞንß