পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী উপাধি । এই সুহৃৎ তাহার প্রাণপ্ৰতিম। বৈদ্যরাজ। সৰ্প-দংশনের অমোঘ ঔষধ জানিতেন ; যেমন বিষধরই দংশন করুক না কেন, এই বৈদ্য রোগীকে রক্ষা করিতে পারিতেন। চাঁদের পুত্রগণকে সৰ্পে দংশন করা মাত্র, এই সুহৃদের সাহায্যে তাহাদের জীবন রক্ষা পাইত । দেবী প্রথমতঃ বৈদ্যারাজকে হস্তগত করিতে চেষ্টা পাইলেন ; কিন্তু যখন তঁাহার শত চেষ্টায়ও অকৃত্রিম সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ভগ্ন হইল না, তখন সুহৃদের জীবননাশের সংকল্প করিয়া, মনসা নানা উপায় উদ্ভাবন করিতে লাগিলেন । বহুবার ব্যর্থকাম হওয়ার পরে, শেষে মনসাদেবীর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল। বিচিত্র কৌশলে মনসা শঙ্কুর গারুড়ীর জীবন নষ্ট করিলেন। এবার চাঁদ-সদাগর প্রকৃতই নিরাশ্রয়। “যা করেন। শিব শূলী’ বলিয়া চন্দ্ৰধর স্বীয় সংকল্পে আরও দৃঢ় হইলেন। বৎসর ঘুরিয়া আসিতে না আসিতে, একটি একটি করিয়া চন্দ্রধরের ছয়টি পুত্ৰ সৰ্প-দংশনে নষ্ট হইল। চাদের শোকাতুরা স্ত্রী সনকা প্রতিদিন স্বামীর চরণতল নয়নজলে সিক্ত করিয়া দেবতার সঙ্গে এই বাদ পরিহার করিতে প্রার্থনা করিতেন, --তরুণবয়স্ক ছয়টি বিধবা রমণী, ক্রুর কৰ্ম্ম শ্বশুরের দিকে সজলনেত্রে তাকাইয়া, তাহাদের শোকাৰ্ত্ত দৃষ্টি দ্বারা তাহার চিত্ত কোমল করিতে চেষ্টা পাইত ; বহুকালের প্রাচীন ভৃত্য ‘নেড়া” এক হস্তে অশ্রু মুছিয়া অপর হন্তে গৃহের কাজ করিত ও প্রভুর পাদপদ্মে পড়িয়া ক্ষণে ক্ষণে ফুকারিয়া উঠিত। নানা দিগদেশ হইতে সুহৃদৃগণ মনসার সঙ্গে এই বাদ হইতে র্তাহাকে প্রতিনিবৃত্ত করিতে চেষ্টা পাইতেন-সেই বহুপুত্রের প্রিয়-কথোপকথন-স্নিগ্ধ, বাদানুবাদ-মুখর, লক্ষ্মীর প্রাসাদতুল্য বিশাল SR