পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਿ পায়ের উপর পা রাখিয়া বেটার বউ-এর দ্বারা সংসার নির্বাহ করিয়া লাইতে পারিবে। আমি মেয়েটিকে নিজে দেখিয়াছি, তাহার দুইটি ডাগর চোখে ও কচি মুখ খানিতে যেন লক্ষ্মী ঠাকুরাণী ভাগ্যের রেখা আঁকিয। রাখিয়াছেন।” ধৰ্ম্মকেতু আহলাদে আটখানা হইয়া এই খবর নিদয়াকে দিল, নিদিয়া সোমাই ওঝাকে ধরিয়া পারে ত সেই দিনই বিবাহের লগ্ন ঠিক করিয়া লয়। শিকারান্তে কালকেতু বাড়ীতে আসিয়া ফুল্লারার রূপগুণের যে ব্যাখ্যা শুনিতে লাগিল, তাহাতে শুক্লপক্ষের চন্দ্ৰলেখার ন্যায় বিবাহ করিবার সাধ তাহার মনে ক্রমেই বাড়িয়া চলিল । খুব ধূমধামের সহিত বিবাহ হইয়া গেল ; কিরাতনগরের ব্যাধিগণ একদিনের জন্য শিকার করা ছাড়িয়া দিযাছিল। শিবে, নেডা, রামাই প্রভৃতি কালকেতুর খেলার সাথীগণ, কেহ ঢোল, কেহ দগড়া পিটিয়া DDDu BDBB S BDBB BuuDS BuBD DDDBDD S DDD সরঞ্জামের অপ্রতুল ছিল না, আম্র-পল্লব ও কদলীতরু দ্বারা ধৰ্ম্মকেতুর বাড়ীর প্রাচীর রচনা হইয়াছিল, ব্যাধাবালকেরা হরিণের ছালের উপর বসিয়া বন্য কুসুম-মাল্যভূষিত দেহে বিবাহ-লগ্নের প্রতীক্ষা করিতেছিল, কেবল জবাফুল ও বিল্বপত্র সেই উৎসবে সংগৃহীত হয় নাই। ফুল্লারা বিবাহ-বাসরে সভার সকল কর্তৃক পরিদৃষ্ট হইল। মেয়ের মুখ চোখ অনিন্দ্য, কিন্তু তাহার মুখমণ্ডলে যেন একটা দুঃখের ভাব জাগ্ৰত। দুঃখিনী ফুল্লিরা ব্যাধিগৃহে জন্মগ্রহণ করিয়া সে যে শাপভ্রষ্টা ইন্দ্রের পুত্রবধূ তাহা যেন ভুলিতে পারে নাই, সেই জন্য কি ভ্রমর কৃষ্ণ অক্ষিপত্রে, শ্যাম ললাটে একটা অকথ্য ব্যথা চিত্রিত রহিয়াছে ? কুমারীর এই দুঃখময় সৌন্দৰ্য্য কালকেতুর বড় ভাল লাগিল। যখন তাহার R8