পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুল্পর উঠিলেও তায় থাকে, তাহাদের ক্ষীণপ্ৰভায় পথ চিনিতে পারা যায়। কিন্তু একি ! রাত্ৰিও নহে-দিনও নহে! মেঘ নাই, বিদ্যুৎ নাই, আকাশে শুধু জোর কুজ্বাটিকার একটা অকাট্য প্ৰহেলিকা, উহা নেত্ররোগীর নোত্রের আচ্ছাদনের ন্যায়। কালকেতু ঘুরিতে ঘুরিতে পথ হাৱাইয়া ক্লান্ত হইয়া পড়িল । কিন্তু এই সময়ে তাহার মনে একটা অপূৰ্ব প্ৰফুল্লতার উদয় হইল। তাহার চক্ষে স্মৃষ্টি অন্ধকার করিয়া ফেলিয়া গভীর রজনীর শেষে সুৰ্য্যোদয়ের ন্যায় কি এক মহিমামণ্ডিত জ্যোতিঃ দেখা-দিবে, তাহারই একটা অস্পষ্ট পূর্বাভাস যেন তাহার भर्भ ऎश्या क्षेब्ल । ক্লান্ত অথচ উদ্যমশীল, বিফল-মনোরথ অথচ আশ্চৰ্য্য সাফল্যের প্ৰত্যাশী, শিকারলুব্ধ অথচ সদায়-বৃত্তি কালকেতু ব্যাধ তৃতীয় প্রহর-কালে কংস-নদীর তীরে উপস্থিত হইল। তরঙ্গের শব্দে সে বুঝিতে পারিল যে, তাহার ক্রীড়ার নিকেতন, চিরপরিচিত কংস নদী সম্মুখে। সে সেই শব্দ লক্ষ্যে অগ্রসর হইয়া দেখিতে পাইল, হিমাবগুণ্ঠন ত্যাগ করিয়া সূৰ্য্যদেব আকাশে উঠিয়াছেন । শিকার-ভূমি সে বহুদূরে ফেলিয়া আসিয়াছে, প্ৰদীপ্ত সূৰ্য্য-কিরণে সেই দূরবর্তী নিবিড় কাননের শীর্ষভাগ যেন উজ্জ্বল কিরীটি পরিয়া হাসিতেছে । একবার ভাবিল, ফিরিয়া আবার বনে যাই, কিন্তু তখন নিম্ব-শাখে। আবদ্ধ গোধিকাটির প্রতি তাহার দৃষ্টি পড়িল। “এই গোধিকাই আজি আমাদের ক্ষুধার নিবৃত্তি করিবে”, বলিয়া সে গোধিকাটিকে অপরাজিত পুষ্পলতার দৃঢ় বন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া নিজ ধনুগুণে বাধিয়া গৃহাভিমুখে চলিল । স্বামীর রিক্তহস্ত দেখিয়া ফুল্লারাসুন্দরীর মুখ শুকাইয়া গেল। আজ RR