পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী এদিকে ক্ষুদের চুপড়ি-কক্ষে ফুল্লারা আসিয়া এই অপূৰ্ব্ব রমণীমূৰ্ত্তি দেখিয়া বিস্মিত চাইল ; সে চুপড়ি ভূমিতে রাখিয়া সাষ্টাঙ্গে দেবীকে প্ৰণামপূর্বক করজোড়ে জিজ্ঞাসা করিল, “এ গৃহে আপনি কে ? কি হেতু আসিয়াছেন ?” দেবী মৃদু হাস্যচ্ছটায় সেই কুটীরখানির দৈন্য ঘুচাইয়াতাহা উজ্জ্বল করিয়া বলিলেন, “আমি ইলাব্রত দেশের রাজকুমারী। আমার স্বামী ভাঙ, ও সিদ্ধি খাইয়া পাগল হইয়াছেন, সতিনীকে মাথায় রাখিয়াছেন । আমি তাহার ঘর ছাড়িয়া আসিয়াছি। কালকেতুকে আমি বড় ভালবাসি, সে আমার ভক্ত, আমি তাহার দুঃখ মোচন করিতে আসিয়াছি। আমি এইখানেই থাকিব ।” “কালকেতুকে ইনি ভালবাসিতে যাইবেন কেন, সেই বা ইহার ভক্ত কবে হইল ?” এই ভাবিতে ফুল্লারার মস্তকে যেন বজপাত হইল, ক্ষুধা তৃষ্ণা ও রন্ধনের ত্বরা সে ভুলিয়া গেল,- "পেটে বিষ মুখে মধু জিজ্ঞাসে ফুল্লারা । ক্ষুধা তৃষ্ণা দূরে গেল রন্ধনের তুরা ॥” সে সুধাইল-“স্বামী পাগল হইলেই কি তাহাকে ছাড়িতে আছে ? সতিনীর সঙ্গে দ্বন্দু বঁধিলে তাহাকে দ্বিগুণ শুনাইয়া দিবে, অভিমানে ঘর ছাড়িতে আছে ?” “শুনি, সীতার ইতিহাস । সীতা এক সাধবী ছিলেন ; তথাপি তিনি কয়েকমাস পরগুহে বাস করিয়াছিলেন, এজন্য রামচন্দ্ৰ ভঁাহাকে অগ্নিতে ফেলিয়া পরীক্ষা করিয়াছিলেন ; তাহাতেও সীতা সন্দেহ হইতে মুক্তি পাইলেন না ; অযোধ্যায় ফিরিয়া যাওয়ার পর প্রজাদিগকে তুষ্ট করিবার জন্য রামচন্দ্ৰ ভঁাহাকে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন । স্ত্রীলোকের স্বামীই সার ধন, তাহাকে ত্যাগ করিলে শেষে পরিতাপের শেষ থাকে Sar