পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

リーQf* যান, তবে ধৰ্ম্মে পতিত হইতে হইবে। বিশেষ ইহাদের মধ্যে দুইটি অশক্ত, বৃদ্ধ ও জরাতুর। সেই গৃহ হইতে এবং গৃহ-সমীপবৰ্ত্তী বন-পথ হইতে ধরা কখনও অধিক দূরে যান নাই ; কিন্তু মুন্দির দোকান বেশী দূর নহে, সেই বনপথ হইতে তাহা দেখা যায় । ধরা যাইতে যাইতে দেখিলেন, সুৰ্য্য অস্তচূড়াবলম্বী, স্থল-পদ্ম হেলিয়া গড়িয়াছে, মালতী ফুটিয়া উঠিয়াছে, স্বৰ্য্যাস্তের রক্তিমাভা কৃষ্ণচুড়া ও অশোক ফুলের উপরে পড়াতে তাহা দ্বিগুণ রক্তবর্ণ হইয়াছে, যেন সিন্দুত্ব-চুর্ণগুলি কঠোর হইয়া, ফুলে পরিণত হইয়াছে । ধরার মনে হইল, সূৰ্য্যাস্তের রুক্তিমা পরিয়া যেন সান্ধ্যপ্ৰকৃতি রক্তময় হইয়া উঠিয়াছেন । ধরা সশঙ্কিত ভাবে যাইতে লাগিলেন, কারণ তিনি অপরিচিত স্থানে কখনও যান নাই । দোকানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, বহু লোক মৌমাছির মত উহা ঘিরিয়া রহিয়াছে। তাহাদের সকলের দৃষ্টি ধরার উপর পড়িল । একত্র এত লোকের দৃষ্টির বিষয়ীভূত হুইযা সুন্দরী লজ্জিত হইলেন। তিনি এরূপ লজ্জা আর কখনও জীবনে বোধ করেন নাই । তঁহার অবগুণ্ঠন ছিল না, কিন্তু চক্ষুদ্বয় নত করিয়া তিনি মৃত্তিকার দিকে দৃষ্টিবদ্ধ করিয়া দাড়াইয়া বুহিলেন । শ্ৰীবৎস। তঁহাকে দেখিয়া বিস্মিত হইল । সে বলিল, “কে গা তুমি ? এ যে রূপের ডালি দেখছি! এই শাস্তুপুর গ্রামে আমরা ত তোমাকে আর কখনও দেখি নাই ।” ধরা অতি ধীর স্বরে বলিলেন, “আমার স্বামীর কুটীর এই নিকটবৰ্ত্তী বন-মধ্যে, তঁাহাকে তোমরা সন্ন্যাসীঠাকুর বলিয়া জান ।” শ্ৰীবৎস-“তুমি আমাদের সন্ন্যাসীঠাকুর দ্রোণশৰ্ম্মার স্ত্রী ! তোমার, পায়ের ধূলি পড়িয়া এই কুটীর ধন্য হইল, তুমি কেন এসেছ ?” RrG) so