পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী রহিয়াছে। সেই স্তনে স্নেহসার শুষ্ক, শাবকের জন্য মাতৃভাণ্ডার শূন্য,— তাহাদের মুখ স্তন হইতে খসিয়া পড়িতেছে। অনাহারে ব্যাস্ত্রীরও দেহপঞ্জর কঁপাইয়া অন্তিম নিঃশ্বাস বাহিতেছে ; কিন্তু তাহার চক্ষে তখনও মাতৃ-স্নেহের মোহ ঘুচে নাই ; স্নিগ্ধনেত্রে সে মধ্যে মধ্যে শাবকত্রয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছে, এবং স্বীয় কর্কশ ও বিশুষ্ক জিহ্বা প্রসারণপূর্বক তাহাদিশের শরীর লেহন করিতে চেষ্টা পাইতেছে। সেই দৃশ্য-দর্শনে তাপসের জগজ্জননীর কৃপা মনে পড়িল। “হায় মাতঃ, তুমি পশুর চিত্তেও সিংহাসন পাতিয়া আছ ; এখানেও তুমি আত্মকষ্টবিস্মৃতি ; সন্তান-পালনের উৎকণ্ঠায় মৃত্যু-যন্ত্রণা ভুলিয়া গিয়াছ! মাতঃ, তুমি নিষ্ঠুৱ-প্ৰকৃতি ব্যাস্ত্রীর চক্ষেও স্বর্গের করুণা আনিয়াছ! তোমার সুধা ভাণ্ড জীব-পালনের জন্য এই ভাবে নির্বিচারে সর্বস্থানে রক্ষিত ! হায় ব্যান্ত্রিী, তোমার পশুত্ব আমি দেখিতে পাইতেছি না, তোমার উৎকণ্ঠিত চক্ষো-তোমার কর্কশ। জিহবায় আমি জগন্মাতাকেই প্ৰত্যক্ষ করিতেছি । মা, আজ তোমার কি আমি কোনরূপে সাহায্য করিতে পারি না ?” ক্ষণেক এই চিন্তা করিয়া তাপস তাহার শির হইতে উষ্ণীষ খুলিয়া ফেলিলেন ; অঙ্গরক্ষা ও বহিৰ্ব্বাস ছুড়িয়া ফেলিয়া কণ্ঠপাদুকা পারি ৩্যাগপূর্বক ব্যাস্ত্রীর সম্মুখে দাড়াইয়া বলিলেন, “মা, এইখানে তোমার খাদ্য তুমি আহার করিয়া পুষ্ট হও এবং তোমার স্তন্য পৰ্যাপ্ত হউক, এই শাবকত্ৰয়ের জীবনরক্ষণ হইবে।” ব্যাস্ত্রী তাহার কথা বুঝিল বা না বুঝিল, কিন্তু তাহার খাদ্য চিনিল। সে আসন্ন মৃত্যুকে পরাভব করিয়া এক উৎকট লম্ফে তাপসকে আক্রমণ করিল। তাহার চিরক্ষুধায় বিকাশমান দস্তুরাজি শাণিত খড়েগির ন্যায় 文冷曾