পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS তখন নিছনি—গ্রামের বণিকু সায়-সদাগরের কন্যা বেহুল প্রায় চতুর্দশ বৎসর বয়স্ক হইয়া উঠিয়াছে; বেহুলার কণ্ঠস্বর কোকিলের মত, বেহুলার ন্যায় কোন নৰ্ত্তকীও নাচিতে পারিত না, বেহুলা রন্ধনকাৰ্য্যে সিদ্ধহস্তা ও সুলেখিকা,-আর বেহুলার রূপ দেখিয়া পূৰ্ণচন্দ্ৰ মলিন হইয়া যাইত, নিতম্বলন্বিত কুন্তলরাজি দেখিয়া কাদম্বিনী আকাশের প্রান্তে লুকাইত। বেহুলাকে ‘প্ৰতিবাসিগণ ‘ক্ষেপা মেয়ে’ বলিষ্যা ডাকিত ; এই মেয়ে যেখানে যাইত সেখানে তাহার কথা লোকে শিরোধাৰ্য্য করিয়া মানিয়া লইত, তাহার সরল বুদ্ধির কথায় অনেক গৃহস্থের কূটম্বন্দ্ব মিটিয়া যাইত-যেখানে বেহুলা থাকিত, তাহার নৃত্যগীতে সে স্থানে । আনন্দের উৎস ছুটিত, লোকে আদর করিয়া তাহাকে “বেহুলা নাচুনি' বলিয়া ডাকিত । বস্তুতঃ, বেহুলা অপরাপর বালিকার মত ছিল না । সে সংসারে থাকিয়া যেন কোন স্বর্গের, কল্পনায় নিযুক্ত থাকিত ; সমবয়স্ক বালিকাগণ যখন দেখিত, বেহুলা যোগিনীর ন্যায় কৰ্ণে কুণ্ডল ১ পরিয়া সন্ধ্যাকালে নদীতীরে উৰ্দ্ধ নেত্ৰে এক বসিয়া আছে-ঠিক একখানি নিশ্চল চিত্রের ন্যায়, তাহার একগাছি কেশও বায়ুহিল্লোলে দুলিতেছে না-তখন সেই পুণ্যবতী ধ্যানশীলার চিন্তাম্রোত ভঙ্গ করিয়া তাহারা কথা কহিতে সাহস পাইত না, স্থির হইয়া তাহার পার্শ্বে নীরবে দাড়াইয়া থাকিত। কখনও কোন বিধবার শোক-লুষ্ঠিত শিরোদেশ নিজ অঙ্কে ১ প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যে সর্বত্রই কুণ্ডলধারণ BDD S ZBtDS DBB DBDDD বর্শিত দেখা যায় । 之敬