পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা মুড়কি, চিপীটক, রসাল পানের বীড়া, ঝালের লাডু, চাপাকলা, প্রভৃতি নানা খাদ্যদ্রব্য, ঢাকাই ও বারাণসী শাড়ী, উড়িষ্যার বিচিত্র স্বৰ্ণালঙ্কার, বহুমূল্য হীরার হার, মণি-খচিত স্বর্ণচরুণী প্ৰভৃতি লইয়া পরিচারকেরা আগে চলিয়া গেল । চাদ সায়-বেণের গৃহে পরম আদরে আপ্যায়িত হইলেন। মেয়ে দেখিয়া চাঁদের চক্ষু জলপূর্ণ হইল ; মেয়ে তা নয়, এ যেন পদ্মাসন ছাড়িয়া লক্ষ্মীঠাকুরাণী ভূতলে দাড়াইয়াছেন,-পায়ের আলতা নহে, উচ্ছা! রক্তপদ্মের প্রভা। এই বধূকে পাইলে সনকার প্রাণ সত্য সত্যই জুড়াইবে ; কিন্তু মুহুৰ্ত্তমধ্যে, আবার সংসারের মায়া-বন্ধনে ধৃত হইতেছেন ভাবিয়া, সদাগর নীরবে হৃদয় হইতে সাংসারিক সুখের আশা সরাইয়া ফেলিলেন । বুক্তচন্দনের ফোটা ললাটে ছিল, রক্তপীট্রবাস পরিধান করিয়াছিলেন, তাহা যেন উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, “শিবদুর্গা’ স্মরণ করিয়া চন্দ্ৰধর মুহূৰ্ত্তের জন্য সংসারের উৰ্দ্ধে শান্ত সমাধিতে স্থিত হইলেন । চাদ সায়-বোণেকে বলিলেন, মেয়ে তঁাহার মনোনীত হইয়াছে । কিন্তু তঁহাদের একটা কৌলিক প্ৰথা আছে, কন্যাকে তদনুসারে পরীক্ষা করিতে হইবে- লৌহনিৰ্ম্মিত কলাই রন্ধন করিয়া কন্যা পরিবেশন করিবেন । কন্যা যদি লক্ষ্মী হন তবে লৌহের কলাই ডালের মত গলিয়া যাইবে । এই কথা শুনিয়া বেহুলার মাতা অমলা কঁাদিতে লাগিলেন ; এমন কথা কে কোথা শুনিয়াছে ? লৌহের কলাই অগ্নিজালে কে কবে গলাইয়াছে ? সায়-সদাগর মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । বেহুলা আসিয়া বলিল, “তোমরা ভয় পাইয়াছ কেন ? আমি বারমাসে বার ব্ৰত করিয়া থাকি, প্ৰতি অমাবস্যায় উপবাসী থাকিয়া ቅ..ፃ