পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଜ୍ଞା এমন সময়ে সনকা সেই গৃহমধ্যে অস্ফুট রোদনধ্বনি শুনিতে পাইয়া ব্যাকুলা হইলেন, তাহার সঙ্গিনীগণ দ্বারে আঘাত করিলে দ্বার উন্মুক্ত হইল-বেহুলা কালনাশিনীকে অনুসরণ করিয়া একবার দ্ব্যর খুলিয়াছেন, তাহা আর বন্ধ করেন নাই। বেহুলা কঁাদিতেছিলেন “অমৃত সমান প্ৰভুরে তোমার মুখের বাণী, পুনরপি না শুনিলাম মুই অভাগিনী । হাতের শঙ্খ ভাঙ্গিব কঙ্কণ করিব চুরি, মুছিয়া ফেলিব। আমি সীথির সিন্দুর। এ হেন সুন্দর রূপ প্ৰভুরে প্রকাশিত রজনী, চন্দ্ৰ সূৰ্য্য জিনিয়া রূপ প্ৰভু হরিল নাগিনী । চাপার কলিকা সম প্ৰভুরে তোমার কোমল অঙ্গুলি, তুমি আমার প্রভুরে অভাগী বেহুলারে ডাক, চাহ চক্ষু মেলি।” সকলে গৃহে প্ৰবেশ করিয়া দেখিল, স্বামীর শিব ক্ৰোড়ে ধারণ করিয়া, আলুলায়িতকুন্তলে সিন্দুর-রঞ্জিত কপালে দেবীর ন্যায় বেহুলা বসিয়া আছেন ; তিনি যে অস্ফুটম্বরে রোদন করিতেছিলেন, তাহারা গৃহে প্ৰবেশ করাতে সে রোদিন থামিয়া গিয়াছে, কেবল সাক্ষীস্বরূপ একটি উজ্জ্বল অশ্রু গণ্ডের অৰ্দ্ধপথে লগ্ন হইয়াছে। সনকার সঙ্গিনীগণ বেহুলাকে গালি দিতে লাগিল । “খণ্ড-কপালিনী বেহুলা বিবাহের রাত্রেই স্বামীর জীবন নাশ করিলি। তোর সিঁথির প্রথম সিন্দুরবিন্দু ঘোচে নাই, WS}y“