পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা তখন লীলাময়ী নেতা কাপড়ের স্তুপ মাথায় লইয়া, একহন্তে বালকের করধারণপূর্বক উৰ্দ্ধে উঠতে লাগিল। ক্ষণকালের মধ্যে অপূর্ব রূপের হিল্লোল তুলিয়া, নেতা বায়ুপথে অদৃশ্য হইয়া গেল। তড়িৎ যেমন করিয়া চলিয়া যায়ু, নেতা-ধোপানী সেই ভাবে চলিয়া গেল। বেহুলা সারারাত্ৰি ভেলায় বসিয়া ভাবিলেন- “এ কি স্বপ্ন দেখিলাম ?” পরদিন ঘাটে আবার নেতা-ধোপানী উপস্থিত হইল। বালকটিকে পূৰ্বদিনের মত সে মারিয়া শোয়াইয়া রাখিল, এবং সন্ধ্যাকালে কাপড় কাচা শেষ করিয়া, পূর্ববৎ তাহাকে প্ৰাণদান করিল। কিন্তু যখন যুথিকা-শুভ্ৰ বস্ত্ৰ নিবিড মেঘোপম কৃষ্ণকেশগুচ্ছের উপর স্থাপন করিয়া এক হস্তে বালকের করুধারণপূর্বক অপর হস্তে জানু নিম্নাবলখী পরিধেয় শাটীর অঞ্চল আকুঞ্চিত করিয়া রূপ-লতা আকাশে উত্থিত হইবে, সেই সময় বেহুলা একটা ছিন্নবৃন্ত ফুলের ন্যায় তঁাহার পদমূলে যাইয়া পড়িলেন। নেতা সরিয়া দাড়াইয়া ঈষৎ হাসিয়া বলিল—“এমন স্বামি-পাগলা মেয়ে তা কোথাও দেখি নাই। স্বামী বঁাচাইবে তা আমার সঙ্গে স্বৰ্গে চল, মহেশ্বর তোমার প্রতি তুষ্ট হইয়াছেন।” এত শীঘ্ৰ যে নেতা-ধোপানী এমন অমৃততুল্য কথা বলিবে, বেহুলা তাহা জানিতেন না। বেহুলার চক্ষু দিয়া দর দর ধারে জল পড়িতে লাগিল। নেতা আদরে তঁাহার চক্ষুজল মোছাইয়া, নানা স্নেহ-মধুর কথা বলিলেন, যেন তিনি বেহুলার কত দিনের পরিচিত, কত অন্তরঙ্গ-সেই স্নেহ পাইয়া বেহুলার অশ্রু-গঙ্গা ছুটিল, র্তাহার প্রতি অশ্রুবিন্দুতে নেতা তাহার কষ্টের কথার ইতিহাস বুঝিতে পারিলেন। স্বর্গে দেব-সভায় নেতা বেহুলাকে লইয়া গেলেন। সেখানে সুৰ্য্যতুল্য 邻总