পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী সেদিন চান্দ-সদাগর লখাইয়ের ষড়মাসিক শ্ৰাদ্ধ-কাৰ্য্যে নিযুক্ত, চাঁদের ছয়টি বিধবা পুত্র-বধু গাজুড়ের ঘাটে জল আনিতে গিয়াছিলতাহারা মূল্যবান ব্যজনী হন্তে সুন্দৱী ডুমুনীকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল“এ ব্যজনী দিয়া কি করিবে ?” বেহুলা বলিলেন, “লক্ষ মুদ্রা হইলে এ ব্যজনী বিক্রয় করিব।” ছয়বধু ভাল করিয়া সেই ব্যজনী লক্ষ্য করিয়া দেখিল, তাহাতে তাহদের বাড়ীর পরিজনের চিত্র অঙ্কিত আছে ; ইহা দেখিয়া তাহারা চমৎকৃত হইয়া গেল ! ডুমুনীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে বেহুলা বলিল, “আমার নাম বেহুলা ডুমুনী, আমার পিতার নাম সায় ডোম-শ্বশুরের নাম চাদ ডোম ও স্বামীর নাম লখাই ডোম।” এই অপূর্ব পরিচয় পাইয়া তাহদের চক্ষে দীর দীর জলধারা পড়িতে লাগিল । তাহারা ঘরে যাইয়া সনকাকে এই কথা বলাতে, তিনি বাসর-ঘরে যাইয়া দেখেন, বেহুলার। কথিত স্বৰ্ণ -দীপ নিবে নাই, দাড়িম গাছের তলা খুড়িয়া দেখিলেন, স্বর্ণ থালার ভাত সদ্য উষ্ণ রহিয়াছে ; তখন সনকা পাগলিনীর বেশে ঘাটে উপনীত হইলেন, ব্যজনী দেখিয়া তিনি তথায় হাহাকার করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন, ডুমুনীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে সে বলিল, “আমরা ডোম, খুচুনী ও চুপড়ি বিক্রয় করিয়া খাই ।” ১ ডুমুনীর চাদ-পানী মুখ দেখিয়া ভঁাহার আর একখানি মুখ মনে পড়িল, সে মুখখানি সনক ভুলিতে পারেন নাই ; একদিন দেখিয়াছিলেন, কিন্তু সে মুখ হৃদয়ে গাথা ছিল, সেই শরদিন্দুনিভমুখী পুত্রবধুর কথা মনে পড়াতে, তাহার বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল, গাজুড়ের কুলে বণিকূ-সীমস্তিনী আছাড়ি পাছাড়ি খাইয়া কঁাদিতে লাগিলেন। তখন ডুমুনী শাশুড়ীর হাত ধরিয়া উঠাইয়া বলিলেন, “আর কেঁদ না 领心