পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা পুত্র মস্তক নত করিয়া দাড়াইয়া রহিল, তাহদের চক্ষে ঘন ঘন জলবিন্দু পড়িতে লাগিল । %አ মুহুৰ্ত্তকাল নীরব থাকিয়া, চন্দ্ৰধর কথা বলিতে চেষ্টা করিলেন, তাহার কণ্ঠ বাষ্পরুদ্ধ হইল, ধীরে ধীরে তাহার। গণ্ডে দুই বিন্দু অশ্রু গড়াইয়া পড়িল। তিনি বহু কষ্ট আত্মদমনপূর্বক বলিলেন, “মা, আমি এত দিন শিবপূজা করি নাই, দাম্ভিকতার পূজা করিয়াছিলাম। প্রকৃতপক্ষে তুমিই শিবপূজা করিয়াছ ; না হইলে তোমার দেহে শিবজ্যোতিঃ কেন ? নগরে প্রচার করিয়া দাও, আজ চন্দ্ৰধর-বণিকৃ তাহার পাপের প্রায়শ্চিন্তু করিবে-আজ শিবাত্মজাদেবীর পূজা নিজ হস্তে করিয়া জীবনসার্থক করিব।” RS বড় বড় স্ফটিকের স্তম্ভের উপর ময়ূরপুচ্ছ-খচিত ছাদ নিৰ্ম্মাণ করা: হইল, তাহার ঝালরসমূহ হীরা, মণি ও বিচিত্র বর্ণের প্রস্তৱ সকলে গ্রথিত হইয়া স্বৰ্ণ-প্ৰদীপ মালার জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হইল। মনসাদেবীর সুবৰ্ণবিগ্ৰহ গঠিত হইল ; শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণা পঞ্চমীতে চাদ মনসাদেবীকে পূজা করিতে প্ৰস্তুত হইলেন। পুরোহিত জনাৰ্দন শৰ্ম্ম বলিলেন, প্রাণপ্ৰতিষ্ঠার মন্ত্ৰ পড়িলাম, তবু বিগ্রহে শক্তির সঞ্চার হইতেছে না কেন ? বিস্মিত হইয়া চান্দ-সদাগর উৰ্দ্ধে দৃষ্টিনিক্ষেপ পূর্বক দেখিলেন, চতুভূজা, স্বর্ণ-খচিত রক্ত পট্টম্বরধারিণী, হিংসারূঢ়া, বিষহরী দেবী আকাশ হইতে অবতরণ করিতে উদ্যত হইয়াও যেন মণ্ডপে আসিতে পারিতেছেন না। বেহুলা যুক্ত করে দেবীর ዓፃ