পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত । २१ ইন্দুমতী প্রতি অজের এতাদৃশ প্রণয় জন্মিয়াছিল যে কিছু দিনের পর ইন্দুমতী দেহত্যাগ করিলে তিনি অতীব শোকার্ত হইয়া উন্মত্ত প্রায় রাজ্যসম্পত্তি সম্ভোগে একান্ত বিমুখ হইয়া পড়িলেন ; তিনি কিয়দিবস মাত্র অতি কষ্টে প্রাণভার বহন করিয়াছিলেন বটে কিন্তু নিরন্তর অত্যন্ত শোকে তাহার শরীর সাতিশয় রুগ্ন হইয়া পড়িল, তিনি বালকপুত্ৰ দশরথকে রাজ্য দিয়া প্রায়োপবেশনে অর্থাৎ মরণেচ্ছায় আহার ত্যাগ করিয়া প্রাণ পরিত্যাগ করি লেন । অজ। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব ও কামদেবের নামান্তর।— হেমচন্দ্র । অজক। রাজ বিশেষ। ইনি পুরুবংশীয় সুমন্তুর পুত্র এবং জঙ্কুর পৌত্র —বিষ্ণুপুরাণ । অজগব । মহাদেবের ধনু । ব্রাহ্মণের বেণরাজার দক্ষিণ হস্ত মন্থন করাতে পৃথুর উৎপত্তি হয়। তৎকালে মহাদেবের এই ধনু স্বৰ্গ হইতে পতিত হইয়াছিল। এই ধনুকের অপর নাম পিনাক —বিষ্ণুপুরাণ তথা অমরকোষ। অজপা। প্রাণিদিগের স্বাভাবিক নিশ্বাস প্রশ্বাস, ইহাকে হংসমন্ত্র কহে । প্রাণি মাত্রই প্রায় প্রত্যহ দিবারাত্র মধ্যে ২১৬০০ বার ঐ মন্ত্র জপ করে, অর্থাৎ ২১৬০০ বার নিশ্বাস প্রশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া থাকে । পীড়াদি কোন কারণ উপস্থিত হইলে উক্ত সংখ্যার হ্রাস বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা।-দক্ষিণামূৰ্ত্তি সংহিতা ।