জগত্তারিণীর প্রবেশ। শ্রীশ ও বিপিনের ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম। দুই জনকে দুই মোহর দিয়া জগত্তারিণীর আশীর্ব্বাদ। জনান্তিকে অক্ষয়ের সহিত জগত্তারিণীর আলাপ।
অক্ষয়। মা বল্চেন, তোমাদের আজ ভাল করে খাওয়া হল না সমস্তই পাতে পড়ে রইল।
শ্রীশ। আমরা দুবার চেয়ে নিয়ে খেয়েছি।
বিপিন। যেটা পাতে পড়ে আছে, ওটা তৃতীয় কিস্তী।
শ্রীশ। ওটা না পড়ে থাক্লে আমাদেরই পড়ে থাক্তে হত।
জগত্তারিণী। (জনান্তিকে) তা হলে তোমরা ওঁদের বসিয়ে কথাবার্তা কও বাছা আমি আসি। (প্রস্থান)
রসিক। না এ ভারি অন্যায় হল।
অক্ষয়। অন্যায়টা কি হল?
রসিক। আমি ওঁদের বারবার করে বলে এসেছি যে, ওঁরা কেবল আজ আহারটি করেই ছুটি পাবেন কোন রকম বধ বন্ধনের আশঙ্কা নেই!―কিন্তু―
শ্রীশ। ওর মধ্যে কিন্তুটা কোথায় রসিক বাবু, আপনি অত চিন্তিত হচ্ছেন কেন?
রসিক। বলেন কি শ্রীশবাবু, আপনাদের আমি কথা দিয়েছি যখন―
বিপিন। তা বেশ ত, এমনিই কি মহাবিপদে ফেলেচেন!
শ্রীশ। মা আমাদের যে আশীর্ব্বাদ করে গেলেন আমরা যেন তার যোগ্য হই!
রসিক। না, না, শ্রীশবাবু, সে কোন কাজের কথা নয়। আপনারা যে দায়ে পড়ে ভদ্রতার খাতিরে―
বিপিন। রসিকবাবু আপনি আমাদের প্রতি অবিচার করবেন না― দায়ে পড়ে