বার মত নয়। সে আমি অন্তরের মধ্যেই রেখে দিলুম! যা হোক্ শেষে এই স্থির হয়েছে, তিনি কাশীতে তাঁর বোনপোর কাছে যাবেন, সেখানে পাত্রের ও সন্ধান পেয়েছেন, তীর্থদর্শনও হবে।
নীরু। বল কি, রসিক দাদা! তা হলে এখানে আমাদের রোজ রোজ নতুন নতুন নমুনে দেখা বন্ধ?
নৃপ। তোর এখনো সখ্ আছে নাকি?
নীরু। এ কি সখের কথা হচ্চে? এ হচ্চে শিক্ষা। রোজ রোজ অনেক গুলি দৃষ্টান্ত দেখ্তে দেখ্তে জিনিষটা সহজ হয়ে আস্বে; যেটিকে বিয়ে করবি সেই প্রাণীটিকে বুঝ্তে কষ্ট হবে না।
নৃপ। তোমার প্রাণীকে তুমি বুঝে নিয়ো, আমার জন্যে তোমার ভাবতে হবে না!
নীরু। সেই কথাই ভাল—তুইও নিজের জন্যে ভাবিস্ আমিও নিজের জন্যে ভাব্ব—কিন্তু রসিক দাদাকে আমাদের জন্যে ভাব্তে দেওয়া হবে না।
নৃপ নীরুকে বলপূর্ব্বক টানিয়া লইয়া গেল। শৈলবালা ঘরে প্রবেশ করিয়াই বলিল -রসিকদা তোমার ত মার সঙ্গে কাশী গেলে চল্বে না —আমরা যে চিরকুমার সভার সভ্য হব—আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রবেশিকার দশটা টাকা পাঠিয়ে দিয়ে বসে আছি।
অক্ষয় কহিলেন, মার সঙ্গে কাশী যাবার জন্যে আমি লোক ঠিক করে দেব এখন, সে জন্যে ভাবনা নেই।
শৈল। এই যে মুখুজ্জে মশায়! তুমি তাদের কি বানর বানিয়েই ছেড়ে দিলে—শেষকালে বেচারীদের জন্যে আমার মায়া করছিল!
অক্ষয়। বানর কেউ বানাতে পারে না শৈল, ওটা পরম প্রকৃতি নিজেই বানিয়ে রাখেন। ভগবানের বিশেষ অনুগ্রহ থাকা চাই! যেমন