૨o 8 রণস্থঙ্কারে তাহা কিরূপ সন্ত্রস্ত হইয়াছিল । বাঙ্গলার ইতিহাসে এই সময়ের দ্যায় বিপ্লবময় সময় আর দ্বিতীয় ছিল কি না সন্দেহ। বঙ্গভূমির বক্ষ এতদিন ব্যাপিয়া আন । কখনও রুধিরধায়ায় রঞ্জিত হইয়াছিল কি না জানা যায় না, এবং বাঙ্গালাব এরূপ অদ্ভুত বীরত্ব আর কখনও প্রকাশিত হইয়াছিল বলিয়া আমরা অবগত নহি । মোগল, পাঠান, মগ, ফিরিঙ্গীর সহিত তাহদের মেরূপ অবিরাম যুদ্ধ চলিয়াছিল, এরূপ ভয়াবহ শোণিত-ক্রীড়া বাঙ্গালীর ইতিহাসে নাই। তাই বলিতেছি, বাঙ্গালী চিরদিন নির্জীব বাঙ্গালী ছিল না। এক দিন তাহারা, অসি, তরবারি, বর্ষা, বন্দুককে আপনাদের ক্রীড়াসঙ্গী করিয়াছিল! কামানের পৃষ্ঠে চড়িয়া বক্ষ পাতিয়া বিপক্ষের কামানের গোলাও ধরিয়া লইয়াছিল, এবং রণক্ষেত্রে বীরের স্থায় জীবন বিসর্জনও দিয়াছিল! ইহা কাহিনী নহে, ইতিহাস। ইতিহাস আমাদিগকে তাহার গুপ্ত পত্র উদঘাটন করিয়া উহাই দেখাইয়া দিতেছে। বাঙ্গালী যদি তুমি চক্ষুষ্মান হও, ইতিহাসের সেই শোণিত-লেখা একবার পড়িয়া লও, ও বাঙ্গালীজীবনের সার্থকতা সম্পাদন কর। আর মনে রাধিও তোমরা কাপুরুষের বংশধর নহ । উপসংহার ।
পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/২১১
অবয়ব