পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ReVe প্ৰতিজ্ঞা-পালন । জানালা আছে, ঐখানে উপস্থিত হইতে পারিলে অনায়াসে বাহির হইতে পারা যায়, কিন্তু জানালাটী অনেক উচ্চে, সেখানে উঠিবার কোন উপায় নাই। ভাবিল, তবে এক উপায় হইতে পারে—যখন জোয়ারের জলে ঘর পূর্ণ হইয়া যাইবে, তখন সাতার দিয়া ঐ জানালা ধরা যাইতে পারে ; জানালার কাঠের গরাদে ভাঙিতে কতক্ষণ ? খুব সম্ভব, ঐ জানালাটী গঙ্গার দিকে-না-ই হউক, যে কোনখানে হোক যাইতে পারিব-একবার এই অন্ধকূপ হইতে বাহির হইতে পারিলে দেখা যাইবে—বেটার রামকান্তকে এখনও চিনে নাই।” রামকান্ত সুহাসিনীর দিকে ফিরিয়া বলিল, “তুমি মা, সাতার জান ?” সুহাসিনী বিস্মিত হইয়া বলিল, “জানি, কেন ?” রামকান্ত বলিল, “দেখিতেছি না-এই ঘরে জল আসিতেছে।” ভয়বিহবলা সুহাসিনী ইহা পূর্বে লক্ষ্য করে নাই, এখন পায়ের উপর জল জমিতে দেখিয়া সভয়ে বলিয়া উঠিল, “হঁ, তাই তাঁ!” “ভয় নাই, এই জলই আমাদিগকে রক্ষা করিবে।” “কেমন ক’রে ?” “ঐ উপরের জানালাটী ব্যতীত আমাদের এখান হইতে বাহির হইয়া যাইবার আর কোন উপায় নাই।” “তবে কি হবে ?” “জল ঘরে আসিলে সাতার দিয়া আমরা ঐ জানালা ধরিব, গরাদে ভাঙিয়া ইহার ভিতর দিয়া বাহির হইতে পারিব।” “যদি তাহারা বাহিরে থাকে ?” “রামকান্তের বয়স হইলেও এখনও এ রকম বদমাইসদের দুই দশটাকে কাবু করিবার শক্তি রাখে।”