পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eडिख्ठ-9iांक्लन । بنجلاد 8N) সাহেব বলিলেন, “ইহঁী খুন স্বীকার করা হইতেছে, আমি তোমাকে প্রথমেই সাবধান করিয়া দিতেছি।” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “সাবধান হইবার আবশ্যকতা নাই-আমি খুন করিয়াছি, সুতরাং আমি মরিতে প্ৰস্তুত আছি।” গোবিন্দরাম অস্পষ্টস্বরে বলিলেন, “তবে সত্যই ?” সাহেব বলিলেন, “যদি ইচ্ছা কর, কি ঘটিয়াছিল বলিতে পাের।” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিতে লাগিলেন, “আমি খুনের দিন প্ৰায় রাত্রি দশটার সময় বিনোদিনীর সঙ্গে দেখা করিতে যাই-দেখি, তাহার বাড়ীর দরজা খোলা রহিয়াছে—ভিতর হইতে আলো দেখা যাইতেছে—আমি ভিতরে প্রবেশ করিয়া বসিবার গৃহে আসিয়া দেখিলাম, তথায় সুধামাধব বসিয়া মদ খাইতেছে ; সে আমাকে দেখিবামাত্ৰ বাঘের মত লাফাইয়া আমাকে আক্রমণ করিল—একখানা ছোরা বাহির করিয়া আমার বুকে বসাইতে চেষ্টা করিল। আমি দুৰ্বল নহি, নতুবা সে আমাকে নিশ্চয়ই খুন করিত ; আমি নিরুপায় হইয়া তাহাকে সবলে দূরে ঠেলিয়া দিলাম; তাহার মাথাটা সেইখানে এক পাথরের টেবিলে তত হইল, টেবিল ও সে দুই-ই ভূমিসাৎ হইল। সে পড়িয়া আর নড়েচড়ে না। দেখিয়া আমি তুলিতে গেলাম-কিন্তু তাহার বিকট চাহনি দেখিয়া বুঝিলাম, সে মরিয়াছে ; তখন আমি ভয়ে উৰ্দ্ধশ্বাসে তথা হইতে পলাইলাম।” সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিনোদিনীর সহিত দেখা করিলে না ?” সুরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “না, আমি সে বাড়ীতে আর এক মুহুৰ্ত্তও