পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক best পীতা । দেখ দেখি গিীমার কথা ! সে নেড়া-নেড়ীর কাও, তুমি কোথা যাবে বল দেখি ? উমা । বাবা, তোমার বাড়-বাড়স্ত হ’ক, তোমার ব্যাটার কল্যাণে আমায় একবার নিয়ে চল, আমার বড় অাদরের সুরেশ ! মেজটা হ’বার পর, ন’বছর আমার ছেলেপুলে হয় নি, তার পর বাছাকে পেয়েছিলেম। চার বচ্চর অবধি দন্তি রোগে ভুগেছিল, মা কালীকে বুক চিরে রক্ত দিয়ে তবে হারানিধিকে পাই । লোকে বলে দুরন্ত হয়েছে, কিন্তু বাছা আমার কিছু জানে না। আমি কাছে না ব’সলে জাজও খেতে পারে না। সুরেশ একলা গুয়ে ঘুমিয়ে থাকে, আমি রেতে উঠে উঠে দেখে আদি, সেই সুরেশকে আমি পাচ দিন দেখি নি, আমার বুক খালি হয়ে গিয়েছে। পীতাম্বর, তুমি আমার এ কথাটি রাখ, একবার আমায় দেখিয়ে নিয়ে এস । পীতা । আচ্ছ, আজ তারে খবর লিখি, বদি না আসে, কাল তথন নিয়ে যাব । এদিকে নানান ঝঞ্ঝাট পড়েছে, আমার মাথ৷ চুলকোবার সাবকাশ নেই। উমা । তা বাবা, তুমি না যেতে পার, একজন লোক ক’রে দিও, তার সঙ্গে আমি যাব । পীতা। আচ্ছ, তাই হবে গো তাই হবে, তুমি এখন পূজো করগে। উমা । বাবা, পুজো করবো কি ! পুজো ক’ত্তে যাই, সুরেশকে দেখি , খেতে বসতে যাই, সুরেশকে মনে পড়ে ; চোখ বুজতে ৰাষ্ট, স্বরেশকে দেখি ! ই বাবা, স্বরেশ আমার আছে তো, সত্যি ব’লছিস্ ? হ্যা বাবা, তোর চোথ ছল ছল ক’বৃছে কেন ? তবে বুঝি আমার সুরেশ নেই! পীতা । বুড়ে হ’লে ভীমরুর্থী হয়, চোখে বালি পড়েছে, চোখ ছল ছল ক’বৃছে—