পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yo 8 ভারত কলঙ্ক । তাহাঁতেই আমার মঙ্গল যাহাতে তাহীদের মঙ্গল নাই, আমারও তাঁহাতে মঙ্গল নাই। অতএব সকল হিন্দুর বাহাতে মঙ্গল হয়, তাহাই আমার কর্তব্য। যাহাতে কোন হিন্দুর অমঙ্গল হয়, তাহা আমার অকৰ্ত্তব্য। যেমন আমার এইরূপ কৰ্ত্তব্য, আর এইরূপ অকৰ্ত্তব্য তোমারও তদ্রুপ, রামের তদ্রুপ, বছরও তদ্রুপ, সকল বিষ্ণুরই তদ্রুপ। সকল হিন্দুই যদি এক রূপ কাৰ্য হইল, তবে সকল হিন্দুর কর্তব্য যে এক পরামর্শ, একমতাবলম্বী, একত্র মিলিত হইরা কাৰ্য্য করে। এই জ্ঞান জাতিপ্রতিষ্ঠার প্রথম ভাগ ; অৰ্দ্ধাংশ মাত্র। ছিল,জাতি ভিন্ন পৃথিবীতে অন্য অনেক জাতি আছে। তাহাদের মঙ্গল মাত্রেই আমাদের মঙ্গল হওয়া সম্ভব নহে। অনেক স্থানে তাহাদের মঙ্গলে আমাদের অমঙ্গল । যেখানে তাহাদের মঙ্গলে আমাদের অমঙ্গল, সেখানে তাহীদের মঙ্গল যাহাতে না হয়, আমরা তাহাই করিব। ইহাতে পরজাতিপীড়ন করিতে হয়, করিব । অপিচ, যেমন তাহদের মঙ্গলে আমাদের অমঙ্গল ঘটিতে পারে,তেমনি আমাদের মঙ্গলে তাছাদের অমঙ্গল হইতে পারে। হয় হউক, আমরা সে জন্য আত্মজাতির মঙ্গল সাধনে বিরত হইব না ; পরজাতির অমঙ্গল সাধন করির আত্মমঙ্গল সাধিতে হয় তাহাও করিব । জাতিপ্রতিষ্ঠার এই দ্বিতীর তাগ । দেখা যাইতেছে যে, এইরূপ মনোবৃত্তি নিষ্পাপ পরিশুদ্ধ ভাব বলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে না। ইহার গুরুতর দোষাবহ বিকার আছে। সেই ৰিকারে, জাতিসাধারণের এরূপ জাস্তি জন্মে বে, পরজাতির মঙ্গল মাত্রেই স্বজাতির অমঙ্গল, পরজাতির অমঙ্গল মাত্রেই স্বজাতির মঙ্গল বলিয়া বোধ হয় । এই কুসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইয়া ইউরোগীয়ের অনেক দুঃখ