প্রাচীন এবং নবীনা। ১৩৭ পরিপক্ক ছিলেন, পরস্পরের পৃষ্ঠত্বগের সঙ্গে তাহদের, হস্তের সম্মার্জনীর বিশেষ কোন সম্বন্ধ ছিল। র্তাহাদিগের ভাষাও যে বিশেষ প্রকারে অভিধানসম্মত ছিল, এমভ বলিতে পারি না, কেন না তাহারা “পোড়ার মুখো” “ডেকৃরা” ইত্যাদি নিপাতন সাধ্য শস্ব আধুনিক প্রাণনাথ প্রাণকান্তাদির স্থলে ব্যবহার করিছেন, এবং "আবাণী” “শতেক খুয়ার” প্রভৃতি শব্দ আধু নিক “সধী” “ভগিনী” স্থানে প্রয়োগ করিতেন । এক্ষণে যে স্বনীকুল চরণালজকে বঙ্গভূমিকে উজ্জল করিতেছেন, তাহারা ভিন্নপ্রকৃতি। সে শাখা শাড়ী সিন্দুর মিশি মল মাদুলী, কিছুই নাই ; অনাভিধানিক খ্রির সম্বোধন সকল সুন্দরীগণের রসন ত্যাগ করিয়া বাঙ্গাল নাটকে আশ্রয় লইয়াছে ; যেখানে আগে মোটা মনসা পেড়ে শাড়ী মেয়ে মোড় গনিত্নাথ ছিল, এক্ষণে তাহার স্থানে শান্তিপুরে ডুরে রূপের জাহাজের পাল হইয়া সোহাগ বাতাসে ফরফর করিয়৷ উড়িতেছে। হাতবেড়ী ঝাটা কলগীর পরিবর্তে, হুচ কুত। কার্গেট ফেতাব হইয়াছে; পরিধেয় আটু ছাড়িয়া চরণে নামিয়াছে; কবরী মুদ্ধা ছাড়িয়া স্কন্ধে পড়িয়াছে ; এবং অঙ্গের সুবর্ণ পিণ্ডত্ব ছাড়িয়া, অলঙ্কারে পরিণত হইতেছে। ধূলিকদমরঙ্গিণীগণ, সাবান স্বগন্ধাদির মহিমা বুঝিয়াছেন ; কলকণ্ঠধ্বনি, পাপিয়ার মত গগনাৰী না হইয়া মজ্জারের মত অটুট হইয়াছে। পতির নাম এক্ষণে আর ডেকৃর সূৰ্ব্বনেশে নছে ; ভক্তংস্থানে সম্বোধন পদ সকল দীনবন্ধু বাবুর গ্রন্থ হইতে বাছিয়া বাছিয়া নীভ হইয়া ব্যবহৃত হইতেছে। স্থল কথা এই, প্রাচীনার অপেক্ষ নবীনার রুচি কিছু ভাল। স্ত্রীজাতির রুচির ढ़िहू गश्शब्र इहेब्रप्श् । কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে, তাদৃশ উন্নতি হইয়াছে কি না বলিতে
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৬
অবয়ব