তিন রকম। ➢8ግ লেখক মহাশয়! তুমি য রলিয়াছ, সব সত্য—একটি মিথ্যা নছে। আমরা অলস বটে,—কিন্তু আমরা অলস না হইয়া, কাজ করিয়া বেড়াইলে, তোমাদের দশা কি হইত ? এ বিজরি, .তোমাদের হৃদয়াকাশে স্থির না থাকিলে, কাছার প্রতি চাহিয়া, এ দীর্ঘ দুঃখদারিদ্র্যময় জীবন কাটাইতে ? এ সৌদামিনী স্থির না থাকিলে,তোমরা এ সংসারান্ধকারে কোথায় আলো পাইতে ? আমরা কাজ করিব ? করিব, ক্ষতি কি, কিন্তু দেখ যেন, আমাদের তিলেক না দেখিয়া, তোমরা তৈলখুন্য প্রদীপের মত হঠাৎ নিবিয়া বসিও না ; জলশূন্য মাছের মত বার বার পুচ্ছ আছড়াইতে থাকিও না ; আর রাখালশূন্য বাছুরের মত হাম্বারবে তোমাদের গৃহগোহাল পরিপূর্ণ করিও না। আমরা কাজ করিতে যাইব, কিন্তু তোমরা এ ঢল ঢল চঞ্চল রূপতরঙ্গ যে দেখিতে পাইবে না ! এ কলকণ্ঠধ্বনি ক্ষণেক না শুনিলে যে গীতিমুগ্ধ হরিণের ন্যায় সংসারারণ্যে শব্দান্বেষণ করিয়৷ বেড়াইবে —কপাল খান! আবার বলেন কি না কাজ করে না! আমরা অতিথি অত্যাগতকে খাইতে দিই না ;–দিব কি তোমরা যে ঘয়ে কিছু রাখ না । ইংরেজের আপিসের কি গুণ বলিতে পারি না—যাইবার সময় যাও যেন নন্দদুলাল—ফিরে এস যেন কুম্ভকৰ্ণ নিজের নিজের উদর—এর একটি আধমণি বস্তা—আমরা যেই হিন্দুর মেয়ে, তাই তাহাতে কোন মতে ত্ৰিশ সের ঠাসির দিই—তার উপর আবার অতিথি অভ্যাগত! ধৰ্ম্মের বন্ধনে বাধিবেন ? ক্ষতি নাই, কিন্তু যে একাদশী নিয়ামিষের বাধনে বাধিয়া রাখিয়াছেন, তার উপর এ বন্ধনে আর কাজ কি ? আপনার একাদশীর ভার নিন, আমরা লেখা পড়া শিথিয়া,-ধর্মের বন্ধন আঁটো করিয়৷ বাধিতে রাজি আছি। আমার মনে বড় সাধ, একবার অপেনাদিগের সঙ্গে অবস্থার
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৬
অবয়ব