হিন্দুধৰ্ম্মের নৈসর্গিক মূল । ৭৩ : উহাকে স্বীকার করিতে হইত যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিছুই প্রমাণ নাই । এখনও অনেকে ডার্বিনের প্রতিবাদী আছেন—কিন্তু বহুতর পণ্ডিতগণ কর্তৃক তাহার মত আদৃত এবং স্বীকৃত। অধিকাংশ বিজ্ঞানবিদ এবং দর্শনবিদ পণ্ডিতেরা এক্ষণে ডার্বিনের মতাবলম্বী। কিন্তু ডার্বিনের মত প্রকৃত হইলেও ঈশ্বর নাই, এ কথা সিদ্ধ হইল না। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রমাণাভাব ঈশ্বরের অনস্তিত্বের প্রমাণ নহে। কোন পদার্থের অস্তিত্বের প্রমাণাভাবে তাহার অনস্তিত্ব প্রমাণ হুইবে, যদি বিচারের এরূপ নিয়ম সংস্থাপন করা যার, তাছা হইলে অনেক স্থানে প্রমাদ ঘটে। ঈশ্বর আছেন এ কথা সত্য হউক না হউক কথা অসঙ্গত কেহ বলিতে পরিবেন না । প্রায় এই রূপ ভাবেই মিল ঈশ্বর স্বীকায় করিয়াছেন। ভার্বিন স্বয়ং স্পষ্টতঃ ঈশ্বর স্বীকায় করেন। অতএব প্রমাণ থাক বা না থাকৃ ঈশ্বর স্বীকার করা যাউক । কিন্তু যদি ঈশ্বর আছেন, তবে প্তাহার প্রকৃতি কি প্রকার ? এ বিষয়ে একটী প্রভেদ এস্থলে স্পষ্টীকরণ আবশ্যক। কতকগুলি ঈশ্বরবাদী আছেন, উহার ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিরাও তৎপ্রতি স্রষ্ট বিধাতা ইত্যাদি পদ ব্যবহার করেন না। অন্যে বলেন, ঈশ্বর ইচ্ছা প্রবৃত্ত্যাদি বিশিষ্ট-এই জগতের নিৰ্ম্মতি, ইচ্ছাক্রমে এই জগতের সৃষ্টি করিয়াছেন। উপরি কথিত দার্শনিকের বলেন, আমরা সে সকল কথা জানি না, জানিবার উপায়ও নাই ; ইহাতে কেবল জানি, যে সেই জগৎকারণ অজ্ঞেয় । ইর্বটম্পেন্সর এই সম্প্রদায়ের মুখপাত্র।" তাহার দর্শনে ঈশ্বর জগন্ধ্যাপক জ্ঞানাতীত শক্তি মাত্র ।
- The consciousness of an Inscrutable Power
" छ्रे