পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ যেখানে অক্ষম। সেখানে লেখা পাকা, আর যেখানে ক্ষম। সেখানে কাঁচা। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে যে-মনের পরিচয় পেয়ে ইউরোপ যাগপৎ বিস্মিত ও মগধ হয়ে গিয়েছে, সেই পককষায় মন আমাদের শিক্ষিতসম্প্রদায়ের মধ্যে একান্ত দলভ। এর কারণ, আমাদের মনকে দিবারাত্র পরিভাষার জাগ দিয়ে অকালপক করে তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভাষা না হলে আমাদের ভাষা যে তার পণ্য শ্রী পণ্য শক্তি লাভ করবে না, এ কথাও যেমন সত্য, অপর পক্ষে আমাদের সাহিত্য জ্ঞানবিজ্ঞানের সাহিত্য না হলেও যে তা বিদ্যালয়ে গ্রাহ্য হবে না, এ কথাও তেমনি সত্য। বঙ্কিমচন্দু বঙ্গদর্শনের পত্রসচিনায় লিখেছেন এদিকে কোন সরশিক্ষিত বাঙ্গালিকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, “মহাশয়, আপনি বাঙ্গালি- বাঙ্গালা গ্রন্থ বা পত্রাদিতে আপনি এত হতাদর কেন ?” তিনি উত্তর করেন, “কোন বাঙ্গলা গ্রন্থে বা পত্রে আদর করিব ? পাঠ্য রচনা পাইলে অবশ্য পড়ি।” আমবা মন্তকণ্ঠে সম্বীকার করি যে, এ কথার উত্তর নাই। আজকের দিনে বিশববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষেরা যদি আমাদের ঐরােপ প্রশন করেন, তা হলে আমাদেরও মন্তকণ্ঠে না হোক, রক্ষািধকণ্ঠে স্বীকার করতে হবে যে, সে প্রশেনর উত্তর নেই। তবে আমাদের এ ক্ষেত্রে কতব্য যে কি, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলা ভাষায় আমাদের বিদ্যার সাহিত্য গড়ে তুলতে হবে, এবং সেজন্য বহন শিক্ষিত লোককে কায়মনোবাক্যে বহদিন ধরে পরিশ্রম করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের মধ্যে কেউ কেউ মাতৃভাষাতেই ইতিহাস এবং দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক প্ৰবন্ধসকল রচনা করতে প্ৰবত্ত হয়েছেন; কিন্তু সে সাহিত্যের যে তেমন কিছ গৌরব কিবা সৌরভ নেই তার কারণ, এক দিকে ইংরেজি ভাবের আর-এক দিকে সংস্কৃত ভাষার চাপের মধ্যে পড়ে আমরা অকুন্ঠিতচিত্তে ভাবতেও পারি নে, মত্তহস্তে লিখতেও পারি নে। NKO উপসংহারে আমার বক্তব্য এই যে, মতভাষা ও পরিভাষার প্রভস্বত্ব থেকে মাতৃভাষাকে আমি মত্ত করতে চাই বলে এ ভােল যেন কেউ না করেন যে, আমি সংস্কৃত ও ইংরেজির পঠনপাঠন বন্ধ করে দিতে চাই। আমার বিশ্ববাস, তা করলে বঙ্গ সাহিত্যে ইন্ডলিউশন হওয়া দরে থাক, একটা বিষম ও সম্পভবত ভীষণ রিভাসান এসে পড়বে। সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্যের চাচা থেকেই আমরা সেই মনের বল ও হাতের কৌশল্য লাভ করব, যা আমাদের সাহিত্যের মস্তুির কারণ হবে। বতমানে ইউরোপের সকল ভাষাই গ্রীক-ল্যাটিনের অধীনতা হতে মন্তিলাভ করেছে, কিন্তু তাই বলে সে দেশে গ্রীক-ল্যাটিনের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা বন্ধ হয় নি। বরং সাহিত্যরাজ্যে ইউরোপের এই স্বদেশী যাগে উপরোন্ত দটি ক্ল্যাসিকের চর্চা যত গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে, क्रानिक-शानिऊ या उान निकल निक9 श्न नि। যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে, ক্ল্যাসিক চৰ্চা করবার সার্থকতা কি, তা হলে সে দেশের কাব্যরসের রসিক উত্তর দেবেন যে, ঐ দটি প্রাচীন ভাষায় যে কাব্যামত