পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNW eqre করে তার প্রমাণ কি আর উদাহরণের অপেক্ষা রাখে। অতএব এ কথা নিভয়ে বলা যায় যে, শান্তি যদি কোথাও থাকে তো সভ্যতা আর অসভ্যতার মিলনক্ষেত্রে; কেননা gDSBDDBB BBDD DDDBB BBS DDBLB DBBDDD LDBDsD BDBB D LBBD মেরে দেয়। সতরাং একাধারে সভ্য এবং অসভ্য হওয়াটাই বদ্ধিমান জাতের কাজ; আর আমাদের মাথায় যে মগজ নেই, এমন কথা উইলিয়ম আচারও বলেন না। আমার এ-সব কথা যতই ব্যক্তিযক্তি হোক-না কেন, আমার মত কেউ গ্রাহ্য করবেন। না। কেননা এক দল প্রমাণ করতে যেমন ব্যস্ত যে আমরা অতি-সভা, আর-এক দল প্রমাণ করতে তেমনি ব্যস্ত যে আমরা অতি-অসভ্য। সতরাং এ দই দলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না; তাঁরা তাক করবেনই, শািন্ধ উইলিয়ম আচারের সঙ্গে নয়, পরস্পরের সঙ্গেও । এ উভয়কেই আমি বলি, সিথরো ভব। আমরা যে অসভ্য, এ প্রমাণ করবারই বা সার্থকতা কি। আর আমরা যে সভ্য, এ প্রমাণ করবারই বা সার্থকতা কি। কেউ যদি প্রমাণ করে দেয় যে আমরা অসভ্য, তা হলেই কি আমাদের অস্তিত্ব লোপ পাবে, না, আমাদের জীবনের সকল সমস্যা উড়ে যাবে? তা অবশ্য কখনোই হবে না, উপরন্তু আর-একটা সমস্যা বাড়বে, সে হচ্ছে সভ্য হবার মহাসমস্যা। অপর পক্ষে আমরা যদি প্রমাণ করে দিই যে আমরা সভ্য, তা হলেই কি আমাদের অস্তিত্ব সম্পপণ্য হয়ে উঠবে, না, আমাদের জীবনের সকল সমস্যার চড়ান্ত মীমাংসা হয়ে যাবে? তা অবশ্য কখনোই হবে না। কেননা নিজের সাটিফিকেট নিজের কোনো কাজে লাগে না, ব্যক্তির পক্ষেও নয় জাতির পক্ষেও নয়। তা ছাড়া নিজের দরখাস্তের বলে, এ ক্ষেত্রে পরের কাছ থেকে ভালো সার্টিফিকেট আমরা কিছতেই আদায় করতে পারব না। সভ্যতা সম্পবন্ধে প্ৰতি জাত নিজেকে সোহহং মনে করে, কিন্তু অপর কোনো জাতকে তত্ত্বমসি বলতে প্ৰস্তুত নয়। তবে প্রাচীন সভ্যতার সম্পবন্ধে এ কথা অবশ্য খাটে না। প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতার সংখ্যাতি যে ইউরোপের মখে আর ধরে না, এ কথা কে না জানে। তার কারণ এই যে, যে সভ্যতা মরে ভূত হয়ে গেছে, উচুগলায় তার গণগান করবার ভিতর কোনো বিপদ নেই; কেননা কোনো জ্যালিত সভ্যতার উপর ও-সব মরা সভ্যতার কোনো দাবি নেই। প্রাচীন ও মত সভ্যতা কোনো বত মান সভ্যতার কাছ থেকে কিছ আদায় করতে পারে না, কিন্তু বৰ্তমান সভ্যতা তার কাছ থেকে ঢের আদায় করে, এবং তার নােন খায় বলেই তার গণ গায়। ভারতবর্ষের সভ্যতা গ্রীস-রোমের সভ্যতার মতো প্রাচীন হলেও প্রশস্য নয়; কেননা তা মত নয়, জীবিত। এ সভ্যতার আমাজনীয় অপরাধ এই যে, তা আজও বেচে আছে, এবং বহকাল বেচে আছে বলে আরো বহকাল বেচে থাকতে চায়; তাই তার দাবির আর অন্ত নেই। এ সভ্যতার সপক্ষে ইউরোপের সাটিফিকেট বার করা অসম্পভব। আর যদিই বা করা যায়, তাতেই বা কি লাভ ? আমাদের জাতীয় সমস্যার আশ মীমাংসা ততটা নিভাির করবে না। আমাদের প্রাচীন সভ্যতা কিংবা অসভ্যতার উপর যতটা নিভাির করবে। ইউরোপের বর্তমান সভ্যতা কিংবা অসভ্যতার উপর। যদি কেউ বলেন যে, ইউরোপের খাতিরে নয়, সত্যের খাতিরে আমরা প্রমাণ