পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

363GAVOS Ksq OSča DBB DDD DDSS BDS DB BB BS D DDBLB DBDDB BBS DDSDDO কোনোটির সঙ্গেই এ ব্যাপার মেলে না। ফলে, যে সম্পবিন্ধ ছিল মিশ্র, তাকে তাঁরা করতে চাইলেন শািন্ধ। ভারতবর্ষের মাটির এমনি গণ যে, সে মাটি যে মাড়ায় সে-ই শািন্ধবান্তিকগ্রস্ত হয়ে ওঠে। ফলে এ দেশের প্রাকৃত প্ৰথা তাঁরা সংস্কৃত করতে প্রবত্ত হলেন। প্রজা এখনো যেমন, তখনো তেমনি, প্রধানত দই শ্রেণীতে বিভক্ত ছিলখোদকস্ত আর পাইকস্ত। যে প্রজার বাস্তু ও ক্ষেত্র দই এক গ্রামস্থ, তার নাম খোদকস্ত প্রজা; আর ভিন্ন গ্রামের লোক যে ক্ষেত্রে ঠিকে বন্দোবস্তে সািরত জমি চাষ করে, তার নাম পাইকস্ত। বলা বাহাল্য যে, প্রজাস্বত্ব শােধ খোদকস্ত-প্ৰজারই ছিল, কেননা পাইকস্ত-প্ৰজার উপর জমিদারের যেমন কোনোরাপ সর্বামিত্ব ছিল না, জমির উপর তারও তেমনি কোনোরাপ সর্বত্ব ছিল না। সেকালের প্রজাস্বত্বের মোটামটি ফাঁদ এই-- ১. প্রজাকে উচ্ছেদ করবার অধিকার জমিদারের ছিল না, অর্থাৎ তার জোত छ्द्म्नि प्रश्व्ौञ्ज्काष् । ২. সে জোত পত্রিপৌত্ৰাদিক্ৰমে ভোগদখল করবার অধিকার খোদকস্ত-রায়তমাত্রেরই ছিল। আর পত্রিপৌত্ৰাদিক্ৰমে ভোগদখল করবার স্বত্ব যে মালিকীস্বত্ব, এ বিষয়ে প্রিভি কাউন্সিলের নজির আছে। অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, জোত হস্তান্তর করবার অধিকার প্রজামাত্রেরই ছিল। তবে এ কথা নিশ্চিত যে, সেকালে জমি হসন্তান্তর করবার সংযোগ ও প্রয়োজন, এ দায়েরই বিশেষ অভাব ছিল। প্রজার তুলনায় জমির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, জমিদারেরা নামমাত্র নিরিখে পাইকস্ত-প্ৰজাকে দিয়ে জমি চাষ করাতেন। ৩. জমাবন্ধি করবার অধিকার জমিদারের ছিল না। এর একটি প্রমাণ এই যে, বাংলার কোনো নবাবই আসল জমা কখনো বাড়ান নি। আসল জমা স্থির রেখে আবওয়াব বাড়ানোই ছিল তাঁদের মামলি দস্তুর। রাজার প্রাপ্য ছিল প্রজার উৎপন্ন ফসলের একটি অংশ মাত্র, সে অংশের হ্রাসবন্ধি করবার অধিকার চিরাগত প্রথা অনসারে রাজারও ছিল না। খালি বাংলার প্রজা নয়, সমগ্ৰ ভারতবষের প্রজা এই-সকল সর্বত্বে সর্বত্ববান ছিল। প্রমাণস্বরপ অধ্যাপক শ্ৰীযন্ত সরেন্দ্রনাথ সেন মহাশয়ের ‘পেশবাদিগের রাজ্যশাসনপদ্ধতি” নামক প্রবন্ধ থেকে কিয়দংশ এখানে উদধিত করে দিচ্ছি মারাঠী পল্লীর চাষী দিগকে দই শ্রেণীতে ভাগ্য: করা যায়- মিরাসদার বা মিরাসী [খোদকস্ত] ও উপরি [পাইকস্ত}}। মিরাসীরা গ্রী মরই লোক, গ্রামের জমি চাষ করিত। সে জমিতে তাহদের একটি স্থায়ী সর্বত্ব থাকিত। খাজনা বাকি না ফেলিলে কাহারও অধিকার ছিল না যে, তাহদের জমি কাড়িয়া লয়। বাকি খাজানার দায়ে জমি হসন্তান্তর হইলেও কিন্তু তাহাতে মিরাসীর সর্বত্ব একেবারে লন্ত হইত না। ত্রিশ-চল্লিশ এমন-কি, ষািট বৎসর পরেও বাকি রাজস্ব পরিশোধ করিতে পারিলেই, মিরাসী তাহার জমি ফিরিয়া পাইত।.মিরাসীরা গ্রামপ্রতিষ্ঠাতাদিগেরই বংশধর। মনর বিধান অনসারে তাহদের পাব পরিষেরাই গ্ৰাম্য জমির মালিকীস্বত্ব লাভ করিয়াছিলেন । ... অবশ্য সরকারের বাৰ্ষিক