8RO প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আমাদের দত্ত শিক্ষাদীক্ষা লাভ করে তারাও সব পলিটিক্স ও ইন্ডাসট্রিয়ালিজমের মহাভক্ত হয়ে উঠবে, আর তখন বন্ধদেবের বাণী এশিয়ার কোনো লোক আর প্রচারও করবে না, কেউ তার প্রতি কৰ্ণপাতও করবে না। ইউরোপই এখন এশিয়ার মনকে বিপষসত করছে, এশিয়া বেচারা ইউরোপের মন ঘলিয়ে দিচ্ছে না। ܠ ܠ ইউরোপে বন্ধদেবের বাণী মমর্সপশ করেছে। শােধ জনকতক সাহিত্যিকের ও আর্টিস্টের। এ জাত ইউরোপের সর্বনাশ করবে না, কারণ তাদের এই জ্ঞানটবুকু আছে যে, তারা ইউরোপের ভাগ্যনিয়ন্তা নয়। ইউরোপের এ যাগের ভাগ্যনিয়ন্তা হচ্ছে নব বন্ধিপৌরষহীন পলিটিশিয়ান ও কলকারখানার মালিক; আর গরেপরোহিত হচ্ছে সেই দলের লোকেরা যারা বিজ্ঞানদর্শনের বড়ো বড়ো কথার দোহাই দিয়ে মানষের সব প্রকার প্রবত্তিকে উত্তেজিত করে। সতরাং আমাদের মতো সাহিত্যিক ও আর্টিসস্টদের মনোভাবের কোনো প্রভাব এ সমাজের উপর হবে না। বতমান ইউরোপ যে নীচাশয়তার পণ্ডেক নিমগন হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা সকলেই একমত। এ পকি থেকে ইউরোপের মনকে কে টেনে তুলবো ? মাসির বিশ্ববাস রোমান ক্যাথলিক চাচা। ইউরোপের মন কামনার বিষে জৰ্জরিত, সতরাং তার মন থেকে কামিনী-কাঞ্চনের উন্মত্ত কামনা দরে করতে না পারলে তাকে আবার সস্থসবল করতে পারা যাবে না। মাসির বিশ্ববাস এ রোগের চিকিৎসক হচ্ছে চাৰ্চ কারণ চাচোর মলমন্ত্র হচ্ছে ত্যাগ (renunciation) । চাচা যে আবহমান কাল ত্যাগের ধম প্রচার করেছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু তা করেছে শািন্ধ আংশিক ভাবে। চাচের ত্যাগধমের ভিতর অনেকখানি বিষয়বভিন্ধর ভেজাল চিরকাল ছিল, আজও আছে। পথিবীর মধ্যে একমাত্র জাত শািন্ধ পণিত্যাগধমের মহিমা সম্পন্টাক্ষরে প্রচার করেছে। বন্ধ মানষের শােধ ঐহিক নয়, পারলৌকিক অভু্যদয়ের বাসনাকেও নিমািল করতে প্রয়াস পেয়েছিলেন; হিন্দদার্শনিকরাও তাই করেছেন। বন্ধের বাণী যদি ইউরোপীয় সামাজিক লোকের মনে বসে, তা হলে তারা বৌদ্ধ হবে না, হবে শােধ মাসির আদশ খসেন্টান। ইউরোপের মনকে যদি বৌদ্ধধমের বরফ-জলে নাইয়ে তোলা যায় তা হলে সে মন আবার সােথ সবল ও সন্দের হবে। SR আমি যতদর সম্পভব সংক্ষেপে দটি ফরাসি সাহিত্যিকের পােব পশ্চিম সম্পবন্ধে মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। পাঠকমাত্রেই দেখতে পাবেন যে, এরা কেউ নিবোধ নন। শােধ মাসি হচ্ছেন বীরপ্রকৃতির লেখক, আর ঝাল, শান্তপ্রকৃতির। এখন আমার বক্তব্য এই যে, মাসির ভয় সম্পণে অমলক, আর ঝালর ভয়ই সকারণ। বৰ্তমান ইউরোপের মনে প্রাচীন হিন্দধমের ছোপ লাগবার কোনো
