পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কনভিক অরবিন্দ –সারস ( শব্দকল্পক্রম ) । অরিষ্ট—কাক। আমরকোষে ইহা কাকের দশ নামের অন্ততম বলিয়া লিখিত আছে, কিন্তু রাজনিঘন্ট, গ্রন্থে দেখা বায় ইহা উনবিংশ সংজ্ঞার অন্যতম। কঙ্ক ( মেদিনীকোষ ) ; বকবিশেষ, কাক ; সাধারণ Èsztfā atn heron | অরুণচুড়—তাম্রচুড় (বৈদ্যাকশব্দসিন্ধু ), কুকুট । ‘অগ্নিচুড়' बछेदा । অরুণলোচন—পারাবত, এই সংজ্ঞার সহিত আরও দশটি পারাবতের নাম রাজনিঘণ্ট তে পাওয়া যায়। অর্জন—ময়ুর । অর্থ্য—দাতৃহ, ডাহুক বা ডাকপাখী । বৈজয়ন্তী অভিধানে ইহার আরও চারিটি নামের উল্লেখ আছে— কুকর, কুকণ, দাতৃহ, কালকণ্ঠক । + রুশিয়া ও জাৰ্ম্মানী اختيا অৰ্দ্ধপারাবত—তিক্তিরি পক্ষী ( মেদিনী ), তিতির পার্থী। ইহার পর্য্যায় হিসাবে পাওয়া যায় চিত্ৰকণ্ঠ (মেদিনী), চিত্ৰকণ্ঠক (বাচস্পত্য )। চিত্ৰকণ্ঠের পরিচয়ে কিন্তু শব্দকল্পদ্রুম अरश् जिविड झ्झेशtछ्-“कप्°उि* । इंडि अफ़ेपिब " তাহাতে স্বতঃই প্রশ্ন উঠে অৰ্দ্ধপারাবত কপোতকেও বুঝাইতে পারে কি না? মনিয়র উইলিয়ম্স তাহার অভিধানে এই অঙ্কপারাবতের পরিচয় দিয়াছেন—a kind of pigeon, sfäs go to partridge & তিতিরেরও নাম করিয়াছেন। সাধারণতঃ পারাবত কপোত হইতে অভিন্ন, নলবাৰতঃ কপোত স্যাখ” ; পক্ষিবিজ্ঞানের দিক হইতেও উভয়ে একই বর্গের অন্তভুক্ত। অতএব দেখা যায় অৰ্দ্ধপরিাবত তিতির এবং কপোত উভয়কেই বুঝায়। রুশিয়া ও জার্মানী শ্রীরাধাকমল মুখোপাধ্যায় আটলাণ্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে দিতে নুতন জগতের সম্মুখে পুরাতন ইউরোপে জাৰ্ম্মানী ও রুশিয়া যে অভিনব সমাজগঠনপ্রণালী ও রাষ্ট্রিক আদর্শ লইয়া দ্বন্দ্ব আনিয়াছে তাহাই বার-বার চিন্তাকে অধিকার করিয়াছে। পাশাপাশি প্রকাও দুই দেশ বিপরীত নীতি অনুসরণ করিয়া চলিয়াছে, ভtহ কত-না সন্দেহ ও সংঘর্ষের স্বত্রপাত করিতেছে। আশ্চৰ্য্য, এই মহাযুদ্ধের মধ্যেই দুই দেশে প্রজাতন্ত্রের জয়ঘোষণা এই গঠনের স্বত্রপাত করে, কিন্তু গঠনের দ্বীতি-নীতি এখন একেবারে বিরুদ্ধ, অথচ সমগ্র জাতির আকাজক্ষণও ব্যাকুলতার দ্বারা অঙ্গপ্রাণিত। ইতিহাস ইহার জন্য দায়ী। পাশ্চাত্য ইউরোপের অন্ত দেশের মত জাৰ্ম্মানীতেও ধৰ্ম্ম-সংস্কার ও শিল্পব্যবসায়ের যুগে একটা কৰ্ম্মনিপুণ ব্যক্তিত্ববাদ জাগে। কিন্তু জাৰ্ম্মানীতে রাষ্ট্র পুরাতন ফিউডাল কাঠােমরই ছিল । তাই রাষ্ট্র যে ঐক্যবিধানের দাবী রাখে তাহার সঙ্গে ব্যক্তিত্বের দাবি মিলাইতে হেগেল-প্রমুখ অনেক মনস্বীকে অনেক নেজামিল দিতে হইয়াছিল। রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রের অধিকারের সঙ্গে ব্যক্তির দাবির সামগ্ৰহ বিধানের নূতন হযোগ উপস্থিত হইলেণ্ড বিধ্বস্ত বিকারগ্রস্ত জাৰ্ম্মানী লৈ যোগ গ্রহণ করিতে পারিল না। ইহা ইউরোপীয় সভ্যতার একটি বিষম শোচনীয় ঘটনা, এবং ইহার ফলে ঐ সভ্যতাকে যে বার-বার লাঞ্ছিত হইতে হইবে তাহাও নিঃসন্দেহ। যেখানে দেশ জীবন-মরণ লইয়া ব্যাপৃত, সেখানে রাষ্ট্র অতি সহজে নিৰ্ব্বিবাদে সকল ধর্ম ও নীতির