বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ3Ե বরং অবনমন আবখ্যক । এক জন ভদ্রলোক, বংশে তিনি শুড়ী, কিন্তু ডাক্তারী পাস করিয়া একটা জাহাজ কোম্পানীর লাইনে জাহাজে চিকিৎসকের কাজ করেন, একবার আমাদিগকে এই মৰ্ম্মের চিঠি লিথিয়াছিলেন, “মশায় আমাদের জ’ভকে, শুড়ী জা’তকে, আপনারা অস্পৃশ্ব অপাংক্তেয় ক’রে রেখেছেন, সেই সব শুড়ী-জাতীয় লোককেও জলচল করেন নাই যারা মদ বিক্ৰী ক’রে না, কিন্তু মুখুজ্যে চাটুজ্যে লাহা গোসাই সেন প্রভৃতি যারা মদ বিক্রী করে বা ক’রত, তারা সমাজে বেশ উচু স্থানেই থাকে। যদি আপনারা মদবিক্ৰীট শুড়ীদের মধ্যেই আবদ্ধ রাখতে পারতেন এবং তাদেরকে সমাজে একটু স্থান দিয়ে বলতেন, ‘তোমরা মদ বিক্ৰী ছাড়, আমরা দল বেঁধে ‘প্রোহিবিহান’ ( নেশার জন্যে মদ বিক্ৰী বন্ধ করা ) চালিয়ে দিতে পারতুম।” তা তাহারা পারিতেন কিংবা পারিতেন না, তাহা এখন আলোচ্য নহে, কিন্তু লেখক মহাশয়ের কথাগুলির অন্তর্নিহিত সত্য প্রণিধানযোগ্য ।

সাৰ্বজনিক শিক্ষা ও বেকার-সমস্যা কেহ কেহ হয়ত মনে করেন, দেশে শিক্ষার বিস্তারই বেকার-সমস্যার আবির্ভাবের একটা প্রধান কারণ। সেই জন্য শিক্ষাবিস্তারকে বেকার-সমস্যা সমাধানের একটা উপায় বলিলে তাহার হাসিতে পারেন । কিন্তু যে-সকল সভ্য দেশে শিক্ষার বিস্তার আমাদের দেশের চেয়ে বেশী হইয়াছে, যেখানে আমাদের দেশের চেয়ে অধিবাসীদের মধ্যে শতকরা বেশী জন গ্র্যাডুয়েট, যেখানে নিতান্ত শিশু ছাড়া নিরক্ষর কেহ নাই, সেখানেও আমাদের দেশের মত এত বেশী লোক কৰ্ম্মহীন উপার্জনহীন অলস জীবন যাপন কৰিre বাধ্য হয় না। একথা সত্য, যে, আমাদের দেশে যত লোক পুস্তকগত বিদ্যাসাপেক্ষ কাজ চায়, তাহদের সকলকে নিযুক্ত রাখিবার মত তত কাজ নাই। কিন্তু তাহার নিরক্ষর থাকিলেই যে তাহাদের কাজ জুটিয়া যাইত, এমন নয়। অতএব নানা রকম শিক্ষা দেওয়া চাই। কাজও নানা রকম হৃষ্টি করা চাই । শিক্ষা বন্ধ করিলে চলিবে না। বরং এরূপ শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে, যাহাতে মানুষ কাজ পাইতে পারে, না-পাইলে -.gর সৃষ্টি করিতে পারে । এই বিষয়ে সমাজকে ও ब्राल्ले८क भांछम्बद्ध नशम्र श्रङ ट्झेरव । যাহারা আমাদের দেশের সাধারণ স্কুল-কলেজে शिक *ीडेियरिश्न अथ5 ८बकाव्र उाछन, ब्राछे इंछ कब्रिtज्ञ তাহীদের অনেকের কাজের ব্যবস্থা করিতে পারেন । অবিলম্বে সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষা বিস্তারের জন্য যদি যথেষ্টসংখ্যক বিদ্যালয় o স্থাপন করা যায়, যদি এরূপ ব্যবস্থা করা যায়, যে, জড়বুদ্ধি প্রবাসী >N383 _ ও বিকলাঙ্গ ছাড়া পাচ-ছয় বৎসরের অধিকবয়স্ক কোবালকবালিকা শিক্ষার সুযোগ হইতে বঞ্চিত থাকিবে - তাহা হইলে অবিলম্বে এত হাজার বিদ্যালয় খুলির হইবে, এবং তাহার জন্য এত হাজার শিক্ষক ও শিক্ষরিত্র আবখ্যক হইবে, যে, শিক্ষিত বেকার অনেকেরই কাৰ জুটিয়া যাইবে । তাহাতে প্রেসের, পুস্তক-রচনার = প্রকাশকের কাজের, দপ্তরীর এবং কাগজের ব্যবসারও এই উন্নতি ও প্রসার হইবে, যে, তাহাতেও আরও অনেক অন্ন হইবে । বলিতে পারেন, এত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ও শিকশিক্ষয়িত্রীদের বেতন দিবার জন্য টাকা কোথায় পাৰ যাইবে ? উত্তর এই, যে, একটা যুদ্ধ বাধিলে ত সৱক বহু কোটি টাকা ঋণ করিয়া যুদ্ধ চালাইয়া থাকেন। নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ চালাইবার জন্ম ত্র কোটি টাকা আবখ্যক ঋণ করুন এবং তাহার স্বদ এবং আমর পরিশোধের কিস্তি দিবার ব্যবস্থা করুন—একটা সিদ্ধিং ক্ষত্র করুন। অনেক সভ্য দেশে অনেক অত্যাবহ্যক বড় কাজ এই প্রকারে নির্বাহিত হয় । আমাদের দেশেও হইত্ত্বে পারে। কেবল ইচ্ছা, সাহস ও বুদ্ধি থাকিলেই হয়। “লোকশিক্ষা-সংসদ” মৌলবী আজিজুল হক শিক্ষামন্ত্রী থাকিবার সময় ৰে “শিক্ষাসপ্তাহ’ হইয়াছিল, তাহার সংস্রবে রবীন্দ্রনাথ "শিক্ষা স্বাদীকরণ” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন। সেই মুক্তিত্ব প্রবন্ধের শেষে পুনশ্চ শিরোনাম দিয়া নিম্নলিখিত কথাগুলি ও অন্য কিছু কথা মুদ্রিত হইয়াছিল। দেশের যে সকল পুরুষ ও স্ত্রীলোক নানা কারণে বিদ্যাল । শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য ছোট বড় প্রাদেশি শহরগুলিতে যদি পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা যায় তবে অনেকে अवनत्रभङ चात्र द८न निळ्छ८क भियिड कबप्ड डे९नश्उि श्रम् নিয়তন থেকে উচ্চতন পব পৰ্য্যস্ত তাদের পাঠ্যবিষয় নিদিষ্ট কম প্তাদের পাঠ্যপুস্তক বেঁধে দিলে স্থবিহিতভাবে তাদের শিক্ষা নিয়ন্ত্ৰিই হতে পারবে । এই পরীক্ষার যোগে যে সকল উপাধির অধিকার পাওয়া যাবে সমাজের দিক থেকে তার সম্মান ও জীবিকার কি থেকে তার প্রয়োজনীয়তার মূল্য আছে। এই উপলক্ষে নয় পুস্তক রচনার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়ে জনসাধারণের মংে বিদ্যাবিস্তারের উপাদান বেড়ে যাবে। কবি অন্যত্র লিথিয়াছেন— - একদা আমাদের দেশে কাশী প্রভৃতি নগরে বড় বড় নিজৰ কেন্দ্র ছিল । কিন্তু সাধারণভাবে দেশের সংস্কৃতিরক্ষা ও শিক্ষাচক নানা প্রণালীতে পরিব্যাপ্ত ছিল গ্রামে এামে সর্বত্র । আধুনিক কালের শিক্ষাকে কোনো উপায়ে এদেশে তেমন ক’রে যদি প্রসাত্ত ক'রে না দেওয়া যায় তবে এ যুগের মানবসমাজে আমরা নিজেৰ