পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|

  • わ-の - - প্রবণসী ఎల8E|

“বাড়ী নিয়ে গিয়ে খুব আদর-যত্ন করলে সেদিন। দুটে৷ গারকেল-নাডু আঁচলের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে এসে বললে— 6তার জন্তে চুরি করে রেখেছিলাম শৈল, খা । তোকে সত্যি বড় ভালবাসি শৈল, তুই বিশ্বাস করবি নি। তোকে রাগের মাথায় তাড়িয়ে দিয়ে মনটা এমন হুহু করছিল !.. মুয়ে আগুন নন্তের, অত খোসামোদ করিয়ে, একটা নাটাইয়ের দাম আদায় ক’রে, যদিবা কালকে চিঠির কাগজ দিলে এনে, আজ কোন মতেই চিঠিটা ফেলে দিলে না রে! গ’লে যাক আমন দুষমন গতর—বেইমানের । “এদিক-ওদিক একটু চেয়ে শেমিজের মধ্যে থেকে একটা গোলাপী খাম বের করে মিনতির স্বরে বললে—সত্যি তোকে বডড ভালবাসি শৈল—বললে না পেত্যয় যাবি ৷ এই চিঠিটা ভাই—বইয়ের মধ্যে হুকিয়ে নে। আর, একটু ঘুরে গিয়ে পোষ্টাপিসে ফেলে দিয়ে বাড়ী ঘেও ; রোদট একটু কড়া, কষ্ট হবে ? হ্যা, শৈলর আবার এ-কষ্ট कठे ! মস্তে কিনা এগারটা বেজে গেছে, বারটার সময় ডাক বেরিয়ে যাবে শৈল, লক্ষ্মীটি... “আমি এখনও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,-পুকুরধারে, শানের বেকের পিছনে, বকুলগাছের আড়ালে আমার কাধে ব|হাতটা দিয়ে নয়নতার দাড়িয়ে আছে, আমার মুখের উপর ভাগর ভাসা-ভাসা চোখ দুটি নীচু ক’রে,—তাতে চিঠির গোপনতার একটু লজ্জা, থোশামোদের ধূৰ্ত্তামি, বোধ হয় একটু অনুতপ্ত স্নেহ, আর একটা কি জিনিষ—একটা অনিৰ্ব্বচনীয় কি জিনিষ যা শুধু নবপরিণীতাদের চোখেই দেখেছি, আর বা এই রকম চিঠি-লেখা, চিঠি-পাওয়ার সময় যেন আরও বেশী ক’রে ফুটে ওঠে। “এইখানে আমার ভালবাসার ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় শেষ হ’ল, এই ফিরে যেতে যেতে আবার ঘুরে আসায় --- তোমাদের ঐ বয়সের মেয়েদের মজলিসের কোন অভিজ্ঞতা - ?” 事事二丁| 21. তারাপদ বলিল, “নী । گئے রাধানাথ বলিল, “কি ক’রে থাকবে বল ? নাrs, কণ্টকারণ্যে মানুষ হয়েছি । চক্ষু সৰ্ব্বদা বইয়ের অক্ষরলগ্ন থাকত, অক্ষরের রূপে যে মুগ্ধ ছিলাম তা নয়,—বই থেকে চোখ তুললেই বাবা কিংবা পাচ কাকার কেউ-না-কেউ চোখে গড়তেন। ছুটিছাটায় যদি দুই-এক জন বাইরে গেলেন তো সেই ছুটির স্থযোগে মামা পিসেমশাইদের দল এসে আমার डविद्याप्डत्र चय देिडक एिब 2एउन। उँोन्ना हिर्जन लुंडब्लुপক্ষ মিলিয়ে সাত জন শেষবারে এই তের জনে মাথা এর কৰুে বিয়ে দিলেন একটি নিষ্কণ্টক মেয়ের সঙ্গে, ল'ৰাষ্ট্র সম্পত্তিতে ভাগ বসাবার জন্তে না ছিল বোন, না-ছিল একটা ভাই যে একটি শালাজেরও সম্ভাবনা থাকবে. দত্ত কর্তা যাও, আবার মজলিস ! এত কড়াক্কড়ির মধ্যে ষে এজৰ মেয়ে কোন রকমে ঢুকে পড়েছে এই ঢের ।” তারাপদ বলিল, “রাধানাথ চটেছে,—তা চটবার কা বইকি...” শৈলেন বলিল, “নয়নতারাদের মজলিসের কথা বলৱে যাচ্ছিলাম। আগে বোধ হয় এক জায়গায় বলেছি - এ-মজলিসে আমার মুক্তিগতি ছিল। ছিল বটে, কিন্তু এৰ পূৰ্ব্বে আমি আমার ছাড়পত্রের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতাম না তার কারণ ওদের কথা সব সময় ঠিকমত বুঝতামও না আৰ বুঝলেও সব সময় রস পেতাম না। আমার নিজেরও বক্তা স্থলভ নেশা ছিল,—মাছ ধরা, ষ্টেশনের পাথার দিকে 蠶| ট্রেনের প্রতীক্ষা কর, এবং ট্রেনের ধোয়া দেখা দি1ে লাইনে পাথর সাজিয়ে রাখা, ঘুড়ি ওড়ান, এই সব। কিন্তু এবার থেকে আমার মস্ত একটা পরিবর্তন দেখা দিল,—মছ । ঘুড়ি, ট্রেনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব গিয়ে সমস্ত মনটি নয়নতারানের মজলিসে, নয়নতারার,—বিশেষ ক’রে নয়নতারা আশ্চৰ্য্য চোখ দু’টিতে কেন্দ্রীভূত হয়ে উঠল। সে ঘৰৰ তাস খেলত আমি তার সামনে কারুর পাশে একটু জাম্বৰ ক’রে নিয়ে বসে থাকতাম । নয়নতারা তাস দিচ্ছে, নিঃ ওঠাচ্ছে ; তার চুড়িগুলি গড়িয়ে একবার মণিবন্ধের নীsে একবার কনুইয়ের কাছে জড়াজড়ি ক’রে পড়ছে। কখন sে তাঁর আনত চোখের ওপর ভ্র দুটি চেপে চিন্তিতভাবে মাৰ দোলাচ্ছে, তার কপালের র্কাচপোকার ময়ুরকষ্ঠী রঙের টিপক | বিকৃঝিক ক’রে উঠছে, আমি ঠায় ব’সে বসে দেখতাম | তখন ছিল কাচপোকার টিপের যুগ, এখন বেচারি অনৰ স্বন্দর কপালে ঠাই পায় না, তার নিজেরই কপাত ভেঙেছে ৷ -“আমি প্রতীক্ষা করতাম—জিতলে কখন নয়নতারার পান-খাওয়া ঠোটে হাসি ফুটবে ; হারলে sে যে আমার কাছের মেয়েটিকে চোখ রাঙিয়ে কটুমন্দ বলৰে সে-দৃহও আমার কাছে কম লোভনীয় ছিল না। একই কথা আমি স্বীকার করছি,—আজ যে-ভাবে বয়সের দূরত্ব থেকে নয়নতারাকে দেখছি, সে-সব দিন যে ঠিক সেই ভাবেই দেখতাম তা নয়। তখন তার সমস্ত কথাবাৰ্ত্ত, চালচলন, হাসি-রাগ আমার কাছে এক মস্তবড় বিস্ময়কর ব্যাপাৰ ব’লে বোধ হ’ত,—যে বিস্ময়ে মনের উপর একটা সম্মোহন বিস্তার ক’রে মনকে টানে । এ-দিক দিয়ে দেখণ্ডে গেলে মনোবিজ্ঞানের নিক্তির তোলমত আমাৰ মনোভাবটাকে ভালবাসা না ব'লে ভাল লাগা বলাই উচিন্তু ছিল । অামি ভালবাসা ব’লে যে স্বরু করেছি তার কারণ_ . এর মধ্যে ঐ মনস্তত্বেরই পরখ-মত কিছু কিছু জটিলতা ছিল, সে-কথা পরে যথাস্থানে বলব । “সেদিন তাসের মজলিস ছিল না, একটা বই পড়া