পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] শেষের কবিতা ఆు ASAAAAS AAASASASS AMAMSAAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMMAMeMAAAA উপসংহারে এটুকু দেখাতে দিন যে, জগতে অন্তত আপনার শোফারের চেয়ে জামি অযোগ্য नहे ।” অপরিচিতের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে অজানা বিপদের আশঙ্কায় মেয়ের সঙ্কোচ সরাতে চায় না । কিন্তু বিপদের এক ধাক্কায় উপক্রমণিকার অনেকখানি বিস্তৃত বেড়া একদমে গেল ভেঙে। কোন দৈব নির্জন পাহাড়ের পথে হঠাৎ মাঝখানে দাড় করিয়ে দুজনের মনে দেখাদেখির গাঠ বেঁধে দিলে ; সধুর করলে না। আকস্মিকের বিদ্যুৎ-আলোতে এমন করে বা চোখে পড়ল, প্রায় মাঝে মাঝে এ যে রাত্রে জেগে উঠে অন্ধকারের পটে দেখা যাবে। চৈতম্ভের মাঝখানটাতে তার গভীর ছাপ পড়ে গেল, নীল আকাশের উপরে স্বষ্টির কোন এক প্রচণ্ড ধাক্কায় যেমন স্বৰ্য্য-নক্ষত্রের আগুনজলা ছাপ । মুখে কথা না ব'লে মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসল। তার নির্দেশমতে গাড়ী পৌছল যথাস্থানে। মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে বললে, “কাল যদি আপনার সময় থাকে একবার এখানে আসবেন, আমাদের কর্তা-মার সঙ্গে আপনার আলাপ করিয়ে দেব।” - অমিতর ইচ্ছে হ’ল বলে, “আমার সময়ের অভাব নেই, এখনি আসতে পারি।” সঙ্কোচে বলতে পারলে না। বাড়ি ফিরে এসে ওর নোটবই নিয়ে লিখতে লাগল –“পথ আজ হঠাৎ এ কী পাগলামি করলে ! দুজনকে হুজায়গা থেকে ছিড়ে এনে আজ থেকে হয়তো এক রাস্তায় চালান করে দিলে। এসট্রনমার ভুল বলেছে। অজানা আকাশ থেকে চাদ এসে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে,—লাগলো তাদের মোটরে মোটরে ধাক্কা, সেই মরণের তাড়নার পর থেকে যুগে যুগে দুজনে একসঙ্গেই চলেচে, এর আলো ওর মুখে পড়ে, ওর আলো এর মুখে। চলার বাধন আর ছেড়ে না। মনের ভিতরটা বলচে, আমাদের মুরু হোলো যুগল-চলন, আমরা চলার স্বত্রে গাথ ব ক্ষণে ক্ষণে কুড়িয়ে-পাওয়া উজ্জল নিমেষগুলির মালা । বাধা মাইনেয় বাধা খোরাকীতে ভাগ্যের দ্বারে প’ড়ে থাকুবার জো রইল না ; আমাদের দেনাপাওনা সবই হবে হঠাৎ ৷” বাইরে বৃষ্টি পড়চে বারানায় ঘন ঘন পায়চারি করতে করতে অমিত মনে মনে বলে উঠল, “কোথায় আছ নিবারণ চক্ৰবৰ্ত্তী! এইবার ভর করে আমার পরে, বাণী দাও, বাণী দাও!” বেরোলো, লম্বা সরু খাতাট, নিবারণ চক্রবর্তী ব’লে গেল : পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থী, আমরা ছজন চলতি হাওয়ার পন্থী । রঙীন নিমেষ ধূলার তুলাল পরাণে ছড়ায় আবীর গুলাল, ওড়না ওড়ায় বর্ষার মেঘে দিগঙ্গনার নৃত্য, হঠাৎ আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্ত।