পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“స్పిb প্রবাসী- আশ্বিন, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড, SAMMA AMAMMMAMAMMAeMMAMAMeeA AMAMAMAMAMASAMAMeMMAAAA থেকে বিদায় নিয়ে গেল। দূর থেকে শোভনলাল তার আত্মনিবেদনের একটি শেষ পরিচয় দিলে, সেই বিবরণটা অন্তর্যামী ছাড়া আর কেউ জানত লা। বি-এ পরীক্ষায় সে যখন পেয়েছিল প্রথম স্থান, SS BBB BBBBBB BBBS BB BBBBB DB BB BBBBD DD DDDDD S BB DDDS কারণ ছিল, এক হচ্চে শোভনের বুদ্ধির পরে অবনীশের অত্যস্ত শ্রদ্ধা নিয়ে লাবণ্যকে অনেকদিন আঘাত করেচে। এই শ্রদ্ধার সঙ্গে অবনীশের বিশেষ স্নেহ মিশে থাকাভে পীড়াটা আরো হয়েছিল বেশি। শোভনকে পরীক্ষার ফলে ছাড়িয়ে যাবার জন্তে সে চেষ্টা করেছিল খুব প্রাণপণেই। তবুও শোভন যখন তাকে ছাড়িয়ে গেল তখন এই স্পৰ্দ্ধার জন্তে তাকে ক্ষমা করাই শক্ত হয়ে উঠল। তার মনে কেমন একট। সন্দেহ লেগে রইল যে, বাবা তাকে বিশেষভাবে সাহায্য করাতেই উভয় পরীক্ষিতের মধ্যে ফলবৈষম্য ঘটুল, অথচ পরীক্ষার পড়া সম্বন্ধে শোভনলাল কোনো দিন অবনীশের কাছে এগোয়নি। কিছু দিন পৰ্য্যস্ত শোভনলালকে দেখলেই লাবণ্য মুখ ফিরিরে চ’লে যেত। এম্-এ পরীক্ষাতেও শোভনের প্রতিযোগিতায় লাবণ্যর জেত বার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তবু হোলো জিৎ। স্বয়ং অবনীশ আশ্চৰ্য্য হ’য়ে গেলেন। শোভনলাল যদি কবি হোত তাহ’লে হয়তো সে খাত ভ'রে কবিতা লিগ ত—তার বদলে আপন পরীক্ষা পাশের অনেকগুলো মোট মার্ক সে লাবণ্যর উদ্দেশে উৎসর্গ ক’রে দিলে। তারপরে এদের ছাত্র দশা গেল কেটে । এমন সময় অবনীশ হঠাৎ প্রচণ্ড পীড়ায় নিজের মধ্যেই প্রমাণ পেলেন ংে, জ্ঞানের চর্চায় মনটা ঠাস বোঝাই থাকলেও মনসিজ তার মধ্যেই কোথা থেকে বাধা ঠেলে উঠে পড়েন, একটুও স্থানাভাব হয় না । তখন অবনীশ সাতচল্লিশ,—সেই নিরতিশয় দুৰ্ব্বল নিরুপায় বয়সে একটি বিধবা তার হৃদয়ে প্রবেশ করলে, একেবারে তার লাইব্রেরীর গ্রন্থৰূহে ভেদ ক’রে, তার পাণ্ডিত্যের প্রাকার ডিঙিয়ে। বিবাহে আর কোনো বাধা ছিল না, একমাত্র বাধা লাবণ্যের প্রতি অবনীশের স্নেহ । ইচ্ছার সঙ্গে বিষম লড়াই বাধল। পড়াশুনো করতে ধান খুবই জোরের সঙ্গে, কিন্তু তার চেয়ে জোর আছে এমন কোনো একটা চমৎকার চিন্তা পড়াশুনোর কাধে চেপে বসে। সমালোচনার জন্তে মডার্ন-রিভিয়ু থেকে তাকে লোভনীয় বই পাঠানো হয় বৌদ্ধধ্বংসাবশেষের পুরাবৃত্ত নিয়ে,—অদ্ভুদঘাটিত বইয়ের সাম্নে স্থির হয়ে বসে থাকেন, এক ভাঙা বৌদ্ধস্তুপেরই মতে যার উপরে চেপে আছে বহুশতবৎসরে মৌন। সম্পাদক ব্যস্ত হ’রে ওঠেন, কিন্তু জ্ঞানীর স্ত,পাকার জ্ঞান যখন একবার টলে তখন তার দশা ও এইরকমই হ’য়ে থাকে। হাতী যখন চোরাবাগীতে পা দেয় তখন তার বাচ বার উপায় কী ? এতদিন পরে অবনীশের মনে একট পরিতাপ ব্যথা দিতে লাগল। তার মনে হোলো, তিনি হয়তো পুথির পাতা থেকে চোখ তুলে দেখবার অবকাশ না পাওয়াতে দেখেন-নি যে, শোভনলালকে তার মেয়ে ভালোবেসেচে, কারণ শোভনের মতো ছেলেকে না ভালোবাসতে পারাটাই অস্বাভাবিক। R সাধারণভাবে বাপ-জাতটার পরেই রাগ ধর্ল, নিজের উপরে, ননিগোপালের পরে । এমন সময় শোভনের কাছ থেকে এক চিঠি এল। প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তির জন্তে গুপ্তরাজবংশের ইতিহাস আশ্রয় ক’রে পরীক্ষার প্রবন্ধ লিখবে বলে সে তার লাইব্রেরি থেকে গুটিকতক বই ধার চায়। তখনি তিনি তাকে বিশেষ আদর ক'রে চিঠি লিখলেন, বললেন, “পুর্বের মতোই আমার লাইব্রেরিতে ব’সেই তুমি কাজ করবে, কিছুমাত্র সঙ্কোচ করবে না।” শোভনলালের মনটা চঞ্চল হয়ে উঠল। সে ধ’রে নিলে, এমন উৎসাহপূর্ণ চিঠির পিছনে হয়তে লাবণ্যের সম্মতি প্রচ্ছন্ন আছে। সে লাইব্রেরিতে আসতে আরম্ভ করূলে । ঘরের মধ্যে যাওয়া-আসার