পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وی علمی জানিতে পারে না। ভগবানের বিশ্বগত ভাবই জগৎকে ধারণ করিয়া রহিয়াছে। এই ভাবের সঙ্গেই জগতের সম্বন্ধ। সম্ভবতঃ এই বিশ্বগত ভাবকেই পতাকার জীবস্তৃত সনাতন অংশ এবং পরাপ্রকৃতি বলিয়াছেন। এই ব্যাখ্যা যদি ঠিক হয় তাহা হইলে গীতার তত্ত্ব বিভাগ এইরূপ হইবে :– (১) পরমাত্মার বিশ্বাতীত ভাব (সংক্ষেপে—পরমাত্মy) (২) পরমাত্মার বিশ্বগত ভাব ( - পরমাত্মার সনাতন অংশ বা পরাপ্রকৃতি ) ৷ (৩) অপরাপ্রকৃতি ( সাংখ্যের প্রকৃতি ) ৷ অপরা প্রকৃতির বিষয় পরে বিস্তৃত ভাবে আলোচিত হইবে। এ স্থলে এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে, ইহার সঙ্গে পরমাত্মার কোন অঙ্গাঙ্গি-ভাব নাই। কিন্তু পরা প্রবালী—আশ্বিন, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রকৃতির প্রকৃতি অন্তরূপ ; ইহা পরমাত্মারই অংশ বা अत्रौछूठ । উপসংহার এই প্রবন্ধে আমরা এই সমুদায় সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম — (১) জীবাত্মা এবং পরমাত্মা একই। (২) কোন কোন অংশে সৰ্ব্বাংশে উভয়ের একত্ব স্বীকার করা হইয়াছে। কোন কোন অংশে জীবাত্মাকে পরমাত্মার অংশও বলা হইয়াছে। (৩) গীতার পরা প্রকৃতি সম্ভবতঃ বিশ্বগত ভাব । আত্মার সহিত জগতের কি সম্বন্ধ ইহা চতুর্থ প্রবন্ধে আলোচিত হইবে। পরমাত্মারই নবাবিষ্কৃত অশোক-শিলালেখ ঐ রমাপ্রসাদ চন্দ কিছুদিন হইল কয়েকখানি ইংরেজী দৈনিক পত্রে প্রচারিত হইয়াছে যে,উড়িষ্যায় একখানি নুতন অশোকলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। শ্রাবণের প্রবাসীতে ( ৬২৬-৬২৭পৃ; ) অধ্যাপক হায়াণচন্দ্র চাক্‌লাদার মহাশয় এই লিপির একখানি ফটোগ্রাফও দিরাছেন । *প্রবাসী’র চিত্র এবং এই ফটোগ্রাফ, পরীক্ষা-করিয়া আমার অনুমান হয়, পণ্ডিতেরা এই লিপি সম্বন্ধে যেমত প্রকাশ করিতেছেন তাহা ঠিক নহে, এই লিপি রুমিদেইর অশোকস্তম্ভ-লিপির অশোকের সমসময়ে সম্পাদিত প্রতিলিপি নহে ; ইহা সম্ভবতঃ আধুনিক কালে সম্পাদিত হইয়াছে। এইরূপ অম্বুমানের হেতু এক-একটি করিয়া উল্লেখ করিতেছি । ( ১ ) এই লিপির কতকগুলি অক্ষরের আকার অশোকের রুমিনোই স্তম্ভলিপির বা উড়িষ্যায় অবস্থিত ধৌলির শিলালিপির বা অন্তান্ত মুপরিচিত অশোকলিপির অক্ষরের আকারের অনুরূপ লছে। যথা— ( ক ) এই নবাবিষ্কৃত লিপিতে ব্যবহৃত ‘ন অক্ষরের পাদে একটি সমকোণী চতুভূজ দেখা যায়। অশোকের লিপিতে বা অন্ত কোন ব্রাহ্মী লিপিতে এই আকারের 'ন' দেখা যায় না। সুতরাং এই অদৃষ্টপূৰ্ব্ব ঢঙ্গের ন’ সম্বলিত লিপিকে মাগল অশোকলিপি বলিয়া স্বীকার कब्र श्रूठेिन । { খ ) অশোক-লিপিতে ব্যবহৃত ‘ম’এর নিম্নাদ্ধ পুর্ণ বৃত্তাকার। এই লিপিতে যে "ম' ব্যবহৃত হইয়াছে তাহার নিম্নাৰ্দ্ধ পূর্ণ বৃত্তাকার নহে, উপরদিকে ফঁাকা 'ম” অশোক-লিপিতে বা অন্ত কোন ব্রাহ্মী লিপিতে দেখা যায় না | (গ ) অশোক-লিপির ‘ক’ ঠিক যোগ চিহ্নের (+) মত। এই লিপির সকলগুলি ‘ক’ সেই প্রকার নহে। (ঘ) এই লিপির চ’ অক্ষরটি প্রাচীন ব্রাহ্মী চ” এর মত নহে ।