পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* দেখিয়া শিথিৰ । কি ঠেকিয়া শিখিব ? অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে যখন ম্যালেরিয়া, প্লেগ, বোমা প্রভৃতি আপদগুলা'র নামও আমরা জানিতাম না, আর, বাহাত্তর সালে কোন জন্মে কবে একবার আমাদের এই সোনার ভারতে দুর্ভিক্ষের পদধূলি পড়িয়াছিল, তাহার হৃদয়-বিদারণ আখ্যায়িকা শুনিলে আমাদের মনে হইত—আর এখন আমাদের ভয় নাই, এখন আমরা রামরাজ্যে বাস করিতেছি; যখন, যে দিকে চক্ষু ফিরাইতাম সেই দিকেই দেখিতাম প্রসন্নবদনে লক্ষ্মী হাসিতেছেন—সে এক দিন ছিল! তখন, আমার রঘুবংশের পাঠ সাঙ্গ হইয়াছে, কুমার-সম্ভবও প্রায় c°म श्ब्र श्रांनिग्रांzछ्, झेङिभरक्षा একদিন, মাঘ-ভারবী না জানি কাওথানা কিরূপ—তাহ পাতা উন্টাইয়া দেখিতে গিয়া দিব্য একটি পাকা ঢঙের শ্লোক আমার চক্ষে পড়িল । তাহার শেষ চরণটি আজিও আমি ভুলি নাই; সেটা এই – “হিতং মনোহারি চ দুৰ্লভং বচঃ—হিতও যেমন মনোহারিও তেমি, এরূপ বচন দুর্লভ।” ইহার খোলাসা তাৎপৰ্য্য এই :–অপ্রতিকর হিতবাক্যও স্বলভ, আর, মনস্তৃষ্টিকর অহিত বাক্যও সুলভ প্রতিজনক হিতবাক্যই দুর্লভ। হিতবক্তার তবে তো দেখিতেছি মৌনাবলম্বন করাই শ্রেয়। তোমার শাস্ত্রে কি লেখে ? ২। আমার শাস্ত্রে লেখে এই যে, হিতবাক্য লোকের মনোহার হইবে কি হইবে না তাহা ভাবিবার কোনো প্রয়োজন করে না—চোক কাণ বুজিয়া তাহ বলিয়া ফ্যালাই ভাল ; যেশোনে সে শুনিবে, যে না-শোনে না শুনিবে ; তুমি তো বলিয়া খালাস! তুমি যদি জানিতে পারিয়া থাক’ যে গঙ্গার ঘাটে কুমীরের আনাগোনা আরম্ভ হইয়াছে, তবে সে কথা সহরময় রাষ্ট্র করিয়া দেওয়া তোমার পক্ষে অবগু কৰ্ত্তব্য। তবে এটা সত্য যে, জ্ঞানের হিতবাক্য কাহারো প্রাণে সহে না ; তাহা এক কাণ দিয়া শ্রোতার মস্তিষ্কসদনে প্রবেশ করে—শুদ্ধ কেবল ভদ্রতা’র অনুগ্রহে ভর করিয়া ; কিন্তু প্রবেশ করিয়া যখন দেখে যে, হৃদয়দ্বারে কপাট বন্ধ, তখন বসিতে জায়গা না পাইয়া আর এক কাণ দিয়া মুড়সড় করিয়া বাহির হইয়া যায়। মনস্তুষ্টিকর প্রবাসী । م. س. بد من تميم... هم..... دعم [ ৮ম ভাগ। অহিত বাক্যের কুহকে ভুলিয়া হইতেছে এরূপ কৃপাপাত্র আমি কত যে দেখিয়াছি তারা সংখ্যা নাই, পরস্তু তাহদের মধ্যে’কার একজনকেও আৰু পৰ্য্যন্ত দেখিলাম না যে, সে কাহারো হিতবাক্য Şनिग्न সংশিক্ষা লাভ করিয়াছে। চোরা না শোনে ধৰ্ম্মের কাহিনী যে শেখে, সে ঠেকিয় শেখে। বলিতেছি বটে “ঠেকির শেখে” কিন্তু ঠেকিয়া শেখা বলে কাহাকে তাহা যদি শোনে, তবে তোমার মাথা হইতে পা পৰ্য্যস্ত শিহরিয়া উঠিবে = ঠেকিয়া শেখা'র আর এক নাম মৃত্যুমুখে প্রবেশ করা। দশজন স্নানযাত্রী গাম্চা কাধে করিয়া গঙ্গার ঘাটে আদি য়াছে দেখিয়া তুমি তাহাদিগকে উচ্চৈঃস্বরে বলিতেছ "জাল নাবিও না—গঙ্গায় কুমীর দেখা দিয়াছে।” পাচজন তোমা সেকথা হাসিয়া উড়াইয়া দিয়া এক-কোমর জলে নাবিল, আর-পাঁচজন তাহদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ এক-ষ্টাটু জলে নাবিয়া থম্কিয়া দাড়াইল । চকিতের মধ্যেই জলগত্ত্বে অদৃশু হইয়া গেল –ইহা নাম ঠেকিয়া শেখা ! হাঁটু-জলের অৰ্দ্ধরখীরা দ্রুতগতি ডাঙ্গা | উঠিল ;–ইহারই নাম দেখিয়া শেখা। ১। শুনিয়া শিখিলেই তো আপদ চুকিয়া যায়, তায় হইলে ঠেকিয়া শিখিতেও হয় না, দেখিয়া শিখিতেও হয় না। শুনিয়া শিথিতে লোকে এত পরায়ুথ কেন ? ৷ ২ ৷ লোকের শুনিয়া শিথিবীর বয়স অতীত হইয় গিয়াছে, তাই তাহারা শুনিয়া শিখিতে পরার্থ। ১ ॥ বেস যা হো’ক তুমি বলিলে! তুমি কি আর জান’ না যে, কচি বয়সের মনুষ্যও মনুষ্য, যুবা বয়সের ম্যও মনুষ্য, প্রবীণ বয়সের মনুষ্যও মনুষ্য ? সত্য বলিতে কিতোমার মতো লোকের মুখে “মনুষ্যের গুনিয়া শিথিবীর বয়স অতীত হইয়াছে” এরূপ একটা আগ-পাছতলা রহিন্ত বেখাপ কথা শুনিলে আমার কেমন কেমন ঠাকে! ২। বলিলাম অ্যাক —শুনিলে আর! আমি বলিলাম। “লোকের বয়স", তুমি শুনিলে “মনুষ্যের বয়স ?” ৷ ১ ৷ আমি তো জানি—মনুষ্য নামাই লোক । তোমাকে কাদিতে কাদিতে বলিতেছিল যে, "সকালে পড়৷ মুখস্থ ক’রেছি, বিকালে পড়া মুখস্থ করেছি, আবার এখন কোমর-জলের মহারথীরা | }র্থ সংখ্যা । ] ক’রে পড়৷ স্থি কল্পে লোকে পাগল হয়ে যায়”, এ কথার প্রত্যুস্থা তুমি যাহা তাহাকে বললে তাহ তো আমি স্বকৰ্ণে নিয়াছি। তুমি বলিলে “তোর এখনো গোপ দাড়ি এ নি—তুই আবার লোক হ’লি কবে ? যা’—প’ড় গে র!” লোক শব্দের এইরূপ বিশদ তাৎপৰ্য্য-ব্যাখ্যা তোমামুখে যখন আমি স্বকৰ্ণে শুনিয়াছি, তখন আমি কেমন করিয়া জানিব যে, তোমার অভিধানে মনুষ্য নামা’ই লোক -একটি পঞ্চমবর্ষীয় বালকও লোক ! ১৷ তুমিতে ঘর-সন্ধানী—(Detective) মন্দ না ! বাল শুদ্ধ আমাকে পাকুড়া করিয়াছ ! তোমার সঙ্গে কথা কহা দেখিতেছি বিপদ! তুমি যদি, সখে, একটা কাজ কর—বড় ভাল হয় ; আশ পাশের ফ্যাকৃড়া কথার চুলচেরা ব্যাখ্যায় প্রবৃত্ত না হইয়া তুমি যদি আমাকে তোমার পেটের কথাটি পরিষ্কার করিয়া খুলিয়া-পালিয়া বল, তাহ হইলেই অবলীলাক্রমে সমস্ত গোল মিটিয়া যায়। "। বলি তবে শোন’ –এটা তুমি তো জান'ই যে, ফু-পাড়ানী মাসী-পিসীরা সেদিনকার ছেলে’কে বড় ইয়াটাক উপার্জন করিতে দেখিলে আঁচলের কোণ দিয়া চক্ষু মুছিতে মুছিতে বলেন “আমি উহাকে বুকে পিঠে ক’রে মানুষ ক’রেছি!” ঘোড়া পেট থেকে পড়িয়াই ঘোড়া হয়, গোরু পেট থেকে পড়িয়াই গোরু হয় ; কিন্তু মানুষের একি বিপরীত কাও—অন্তে তাহাকে মানুষ না করিলে সে মানুষ হয় না। কচি বয়সে মনুষ যখন পিতামাতা’র নিকট হইতে এক-মেটে শিক্ষা লাভ করে, তপন সে অৰ্দ্ধ মানুষ হয়; তাহার পরে পঠদ্দশায় যখন শিক্ষকদিগের নিকট হইতে দোমেটে শিক্ষালাভ করিয়া কৰ্ম্ম ক্ষেত্রে চরিয়া ধাইতে শেখে, তখনই সে পূৰ্বা-মানুষ হয়। কচি-বয়সে গৃহ মনুষের জীবন-ক্ষেত্র ; এই জীবন-ক্ষেত্রে মনুষ্য পানাহার করিতে শেখে, পায়ে স্থাটিতে শেখে, বসিতে দাড়াইতে শেখে, মাতৃভাষা শেখে, জীবনের যত কিছু মুখ্য-প্রয়োজনীয় বাবার-প্রণালী সমস্তই অবলীলাক্রমে শেখে। মন্থয্যের ৷ ২ ৷ সে দিন তোমার অষ্টম বর্ষীয় বালকটি যখন । এইরূপ কচি বয়সের শিক্ষা প্রকৃত পক্ষে, কিন্তু, শিক্ষা শব্দের বাচ্য নহে ; কেননা এ বয়সে মনুষ্য-সস্তান লিখিব মনে করিয়া কিছুই শেখে না ; তাহার দেখিয়া শিখিব কি ঠেকিয়া শিখিব ? - منجم - م.م.s-بی. ہمہ ...م.,,-سم

                            • กร หต ซุสุซุ ซfars สfตrs= | ผsสrส

న> মাতাপিত এবং ভ্রাতা ভগ্নীরা যাহা তাহাকে গিলাইয়া দ্যায়, তাছাই সে হাসিয়া খেলিয়া গলাধঃকরণ করে। বচ্ছিা-মনুষ্যের শিক্ষা একপ্রকার অযাচিত দান-গ্ৰহণ । আদিম জীবন-ক্ষেত্রে মনুষ্য ঐক্লপ অযাচিত দান-গ্ৰহণের পথ দিয়া জীবন-নিৰ্ব্বাহের নানাবিধ অবশু-প্রয়োজনীয় ব্যবহার-কার্য্যে অশিক্ষিত-পটুতা উপার্জন করে। জীবনক্ষেত্র হইতে মনুষ্য যখন মানস-ক্ষেত্রে ভৰ্ত্তি হয়, তখনই প্রকৃত-প্রস্তাবে তাহার শিক্ষার গোড়া-পত্তন আরম্ভ হয়। মানস ক্ষেত্র কি ? না বিদ্যালয়। বিদ্যালয়কে মানস-ক্ষেত্র বলিতেছি এই জন্য—যেহেতু মনোযোগই এ ক্ষেত্রের প্রধানতম শিক্ষাপ্রণালী । মনুষ্যের পঠদ্দশায় শিক্ষকের বাক্য মন-দিয়া না শুনিলে তাহার বিদ্যাশিক্ষা অন্ত কোনো উপায়ে ঘটিয়া ওঠা সম্ভবে না। পঠদ্দশার বয়সই প্রধানতঃ মনুষ্যের শুনিয়া-শিথিবীর বয়স । মনুষ্যের পঠদ্দশার বয়স অতীত হইলেই সেই সঙ্গে তাহার শুনিয়া-শেখার বয়স অতীত হইয়া যায়। মানস-ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে বাড়িতে থাকিবার সময় পণ্ডিত মহাশয়ের, তথৈব, অধ্যাপক মহাশয়ের ছাত্রেরা মনোযোগের পথ দিয়া বিদ্যাবুদ্ধি উপার্জন করে। বুদ্ধি পরিস্ফুট হইবার পূৰ্ব্বে, মনুষ্য-সন্তান, শিক্ষক যাহা বলে তাহাই শুনিয়া শেখে ; বুদ্ধি পরিস্ফুট হইবার পরে— বুদ্ধি যাহা বলে তাছাই শুনিয়া চলে। বুদ্ধি-বিকাশের পালা সাঙ্গ হইলে মনুষ্য যখন মানস-ক্ষেত্র হইতে কৰ্ম্মক্ষেত্রে ভৰ্ত্তি হয়, অথবা যাহা একই কথা—বিদ্যালয় হইতে লোক সমাজে ভৰ্ত্তি হয়, তখনই সে লোক হয়। মনুষ্য যত দিন বালক থাকে, ততদিন সে কাহারে নিকট হইতে কোনো কথা । শুনিয়া শিখিতে লজ্জিত বা কুষ্ঠিত হয় না ; পক্ষান্তরে, বুদ্ধির ফুটন্ত অবস্থায় লোক-সমাজের বাতাস গায়ে লাগিয়া বালক যখন লোক হইয় ওঠে ( ডাবিনের শাস্ত্রানুসারে— বানর যখন নর হুইয়া ওঠে ) তখন গোপ দাড়ির প্রাদুর্ভাবে তাহার মুখের চেহারাও যেমন ফিরিয়া যায়, পদগৌরবের প্রাদুর্ভাবে তাহার মনের ভাবও তেমি ফিরিয়া যায় ; মন তখন বলে—“অন্যের নিকট হইতে কোনো কথা শুনিয়া শিথিলে আপনার বুদ্ধিকে অপমান করা হয়।” এতগুলা কথা আমার পেটের মধ্যে ছিল, তাই তুমি যখন বলিলে “শুনিয়া শিখিতে লোকে এত পরাস্ফুর্থ কেন”, আমি তাহার