পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 a 3 * প্রবাসী । ASAMMSMSMSMSMSMAAASAASAASAAAS - জেলে হিন্দু মুসলমান ভারতবাসীকে এক রকম চৰ্ব্বিমিশ্রিত ময়দা বা চালগুড়া ঘাট থাইতে দেওয়া হয়। অনেকে অনাহারে থাকিতেছেন। অনেকের জাতি যাইতেছে। কারণ গরু ও শূকরের চৰ্ব্বি হিন্দুর অস্পৃশু ও অর্থাঙ্ক, এবং শূকরের চব্বি মুসলমানের অস্পৃশু ও অখাদ্য। মুসলমানের খাদ্য অন্য জন্তুও যদি তাহাদের ধৰ্ম্মমতানুসারে জবাই করা না হয়, তাহা হইলে তাহার চৰ্ব্বিও অস্পৃগু ও আথাস্থ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতনারীগণও খুব সাহস ও স্বজাতিপ্রেমের পরিচয় দিতেছেন। একটি স্ত্রীলোকের স্বামী জেল যাইবার ভয়ে সঙ্গীদের পরিত্যাগ করিয়া গৃহে আশ্রয় লন। তাহাতে তাহার স্ত্রী বলেন, “তুমি আমার সাড়ী পরিয়া ঘরে থাক, আমি তোমার পোষাক পরিয়া জেলে যাই।” এই ধিক্কারে স্বামী আবার কার্য্যক্ষেত্রে গিয়া সঙ্গীদের সহিত মিশিয়া জেলে যান। এইরূপ কত ঘটনা ঘটিতেছে। আমরা বর্তমান সংখ্যায় কয়েকজন দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী ভারতীয় কারারুদ্ধ বীরের ছবি দিলাম। নাম দেখিলেই বুঝা যায় ষে ইহারা ভারতীয় নানা ধৰ্ম্মাবলম্বী ; ভাইয়ের মত একত্র কাজ করিতেছেন। আর আমরা মূৰ্খ , তাই ভারতে বসিয়া ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করিতেছি। চাপকান চোগা পরিহিত ভদ্রলোকটি মুসলমানদিগের একজন ভক্তিভাজন ইমাম বা ধৰ্ম্মোপদেষ্ট । হত্যাপ্রবৃত্তি। বঙ্গের লাট সাহেব সার এও ফ্রেজারকে হত্যা করিবার চেষ্টা করিয়াছে বলিয়া একজন যুবক ধৃত হইয়া বিচারাধীন আছে। বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলা নিয়মবিরুদ্ধ। কিন্তু সাধারণতঃ হত্যাপ্রবৃত্তি বিষয়ে কিছু বলা যাইতে পারে। যদি বাস্তবিক রাজপুরুষদিগকে হত্যা করিতে ইচ্ছুক কোন ক্ষুদ্র দল থাকে, তাহা হইলে আমাদের বিবেচনায় এই দলের লোকদের-কাৰ্য্য সমর্থনযোগ্য নহে। যদি ইহা মানিয়াও লণ্ডী-মায়.য়ে কোনঃ রাজপুরুষ আমাদের দেশের [ ৮ম ভাগ । বিশেষ অনিষ্ট করিয়াছেন, তথাপি তাহাকে হত্যা করিবার চেষ্টা অনিষ্টের প্রকৃত প্রতিকারচেষ্টা নহে; কিন্তু ইহা প্রতিহিংসামূলক মাত্র। ইহা ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ ; এবং যদি কেছ মনে করেন যে ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ হইলেও ইহাতে দেশের মঙ্গল হইবে, তাহা হইলে বলি, যে, (১) অধৰ্ম্মের দ্বারা भन्नश रुग्न नl, प्लेशहें विश्वञ्च निग्रम ; (२) झेश८उ शांभांtर्मत দেশের শাসনপ্রণালী উন্নততর হইবে না ; (৩) ইহাতে ইংরাজের ভয় পাইয়া আমাদের দেশ ছাড়িয়া পলাইবে না ; (৪) যদিই তাহারা পলাইয়া যাইত, তাহ হইলেও তদ্বারাই আমাদের দেশের অজ্ঞতা, দারিদ্র্য, রোগ, দুর্নীতি, সামাজিক কুপ্রথাদি দূর যুঁত না। অথচ હરે সকল দূর না হইলে দেশের মঙ্গল হইবে না। এই সকল দূর করা বিদেশীবিদ্বেষ দ্বারা সম্পন্ন হইবে না ; স্বদেশবাসীকে প্রাণ দিয়া ভাল বাসিয়া তাহাদের মঙ্গলের জন্ত আজীবন পরিশ্রম করিলে সম্পন্ন হইবে। যদি কেহ দেশের জন্ত জীবনোৎসর্গ করিতে চান, সেবায় প্রাণ দান করুন, প্রতিহিংসায় নহে। যদি কেহ সাহস দেখাইতে চান, দেশের প্রতি প্রেমমূলক সেবায় সাহস দেখান, কাহাকেও হত্যা করিয়া নহে। এইরূপ হত্যা দ্বারা কোন দেশের মঙ্গল হয় নাই। আমাদের দেশেরও হইবে না। পক্ষান্তরে ইহার দরুন দেশে কঠোরতর শাসন প্রবৰ্ত্তিত হইবার সম্ভাবনা। তাহাতে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি উৎপীড়িত ও দণ্ডিত হইবে। দেশে শিক্ষাবিস্তার, স্বদেশীর প্রসারবৃদ্ধি প্রভৃতি কার্য্যে বাধা পড়িবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সভায় বক্তৃত৷ করিবার স্বাধীনতা সামান্ত যাহা আছে, তাহাও লুপ্ত হইবার সম্ভাবনা। অবং এরূপ অবস্থাতেও আমরা যদি সাহসের সহিত ধৰ্ম্ম ও অহিংসার পথে থাকি, তাহা হইলে ভগবান আমাদের মঙ্গল করিতে পারেন। কিন্তু, তাহ হইলে প্রথম হইতেই ধৰ্ম্ম ও অহিংসার পথে থাকি না কেন ? স্থলবিশেষে প্রাণরক্ষার জন্য আততায়ীর প্রাণবধ পৰ্য্যন্ত আইনামুমোদিত। সভ্যজগতে স্বাধীনতা রক্ষা বা লাভের ' জন্য যুদ্ধে নরহত্যা বৈধ বলিয়া পরিগণিত। ( ইহা অপেক্ষাও উচ্চতর আদর্শ, সম্পূর্ণ অহিংসামূলক আদর্শ, ভবিষ্যতে মানবসমাজে গৃহীত হইবে বলিয়া বিশ্বাস করি। ) কিন্তু শ্রশাস্তিপদ গুপ্ত । শ্রীঅবনীমোহন ঘোষ ।