পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לx }) আবিষ্কারের পর আবিষ্কারে বার্থেলে প্রমাণ করিতে সমর্থ হইলেন তাহার ঘোষণার মূলে যে সন্দেহ ছিল তাহ সঙ্গত সন্দেহ এবং সময়ে সেই সন্দেহ সত্য বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে। এখন রাসায়নিকেরা বিশ্বাস করেন না যে রসায়ন বিস্তু ধ্বংস ভিন্ন নিৰ্ম্মাণ করিতে পারেন ; তাহারা বিশ্বাস করেন উপযুক্ত ক্ষেত্রে এবং উপযোগী অবস্থার অধীনে এই বিদ্যা দ্বারা স্বভাবের তুল্যরূপে এবং স্থলবিশেষে উৎকৃষ্টতর রূপে যৌগিক পদার্থ প্রস্তুত হইতে পারে, নানাবিধ রং ও মুগন্ধি দ্রব্য যাহা রসায়ন বিদ্যার সাহায্যে প্রস্তুত হইতেছে তাহা স্বভাবজ রং ও সুগন্ধি দ্রব্য অপেক্ষা অধিক মনোরম ও উৎকৃষ্টতর। ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে বার্থেলো অঙ্গারক ও হাইড্রোজেন বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ার অধীনে মিশ্রিত করিয়া নয়ন মনোহর এসিটিলিন প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইলেন এবং বিজ্ঞান জগতে চমৎকার ও মহানন্দ উৎপাদন করিলেন। সফলতা পরম্পরায় এখন বহু রসায়নবিদ্যাবিদেরই বিশ্বাস ও ধারণা জন্মিয়াছে যে এমন কোন স্বাভাবিক যৌগিক বস্তুই নাই যাহা এই বিদ্যার সাহায্যে সময়ে কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত হইতে পারিবে না। এই বিশ্বাস ও ধারণা অবলম্বন করিয়া বার্থেলে রসায়ন বিস্কার সাহায্যেই মানবের আহাৰ্য্য প্রস্তুতের জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন শস্তক্ষেত্রে বা উদ্যানে কিম্বা প্রাণিহত্যা দ্বারা মানবের আহারীয় আর সংগ্ৰহ করিতে হইবে না ; রসায়নাগারেই ল্যাবোরেটরিতেই আহাৰ্য্য প্রস্তুত হইয়া বাজারে বিক্রীত হইবে। অবশুই তিনি নিজ জীবনে বা তাহার পরবর্তী কেহ এপর্য্যস্ত, এই উদ্যমে সম্পূর্ণ সফলতা লাভ করিতে সমর্থ হন নাই ; কিন্তু তিনি যতদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন তাহাতে অতি দম্ভের সহিত বলিয়া গিয়াছেন কতিপয় দশাব্দ কাল মধ্যেই রসায়ন শাস্ত্র ইহার পূর্ণ সফলতা দেখিতে পাইবে। তাহার বক্তব্য ও কাৰ্য্য সম্যক্ উপলব্ধি করিতে হইলে একটু আমুসঙ্গিক বিষয়ের আলোচনারও আবশুক-মানুষের আহাৰ্য্যের উপম্বরণ কি তদ্বিষয়ে অতি সামান্ত লক্ষ্য করিতে হুইবে মাত্র। মানব ভক্ষ্যের প্রধান উপকরণ প্রধানতঃ ৪ চারি ভাগে বিভক্ত করা যায়। ১ম চৰ্ব্বি বা বসা অর্থাৎ - তৈলমূলীয় পদার্থ, ২য় কাৰ্ব্বোহাইড্রেট অর্থাৎ অঙ্গারক ও প্রবাসী। --১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)~-------------------------WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)-----------১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)~ হাইড়োজনের সংমিশ্রণমূলক পদার্থ, ৩য় নাইট্রোজেন মূলৰ । [ ৮ম ভাগ। পদার্থ, ৪র্থ খনিজ পদার্থ। শরীর নিৰ্ম্মাণ, গঠন, রক্ষণ কার্য্যে ইহার প্রতোকেই অত্যাবগুক। এই চারি পদার্থে সহিত জলও নিতান্ত আবশ্যক। জলের অন্তান্ত কার্যের মধ্যে একটা প্রধান কাৰ্য্য এই যে ঐ সমস্ত পদার্থ কঠিনভাবে সহজে শরীরে প্রবেশ করিতে পারে না, জলের সহায়তার উহারা অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হইয়া অতি সহজে শরীরে প্রবেশ করে । আহাৰ্য্যের উদাহরণ স্থলে আমরা দুগ্ধকে গ্রহণ করিতে পারি। দুগ্ধে জল ব্যতীত উপরোক্ত চারি পদার্থই বৰ্ত্তমান আছে। জলের পরিমাণ অবশুই অত্যন্ত অধিক। শতকরা হিসাবে দুগ্ধের উপকরণের ভাগ এইরূপ— শতকরা জল Ψίy তৈল পদার্থ যাহা ননীরূপে বিদ্যমান --- --- "O হাইড়োকার্বন যাহা শর্করা | রূপে বিদ্যমান ••• ६{ নাইট্রোজেন মূলক পদার্থ যাহা ছানা ও এলবুমেন রূপে বিদ্যমান ' . --- 8 খনিজ পদার্থ যাহা লবণ রূপে যথা ক্লোরাইড অব সোডিয়ম্, ফসফেট্‌ অব লাইম্ আকারে বিদ্যমান এবং লৌহ -- t ooo এইরূপ মাংস, অন্ন, রুট, ডিম প্রভৃতি মানুষের উৎ? থাস্থগুলি বিশ্লেষণে দেখা যায় জল ভিন্ন পূৰ্ব্বোক্ত ৪ প্রকা । পদার্থ প্রত্যেক গুলিতেই বিভিন্ন পরিমাণে বিদ্যমান৷ f উপরোক্ত ৪ প্রকার পদার্থের মধ্যে খনিজ পদার্থ যথা লৰ", লৌহ, ফসফেট প্রভৃতি যাহা অস্থি ও রক্তের উপকরণ তাহার জন্ত মানুষকে চাষ আবাদ প্রাণিহত্যা করিতে হয়ন ৯ম সংখ্যা । ] এবং তাং যে আকারে শরীরে গ্রহণ করিতে পারে তাহাও রসায়নাগারেই, প্রস্তুত হইতে পারে। চাষ আবাদ প্রাণহত্যার এক্মাত্র প্রয়োজন অবশিষ্ট ৩ প্রকারের অর্থাৎ ঞ্জি মূলক, কাৰ্ব্বোহাইড্রেট ও নাইট্রোজেন মূলক পদার্থের মাছ, কারণ তাহারা যে আকারে শরীরের উপযোগী তাহা ইতিপূৰ্ব্বে প্রাকৃতিক ভিন্ন অপ্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত হয় নাই। এই তিন পদার্থ অপ্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করিতে পারলেই মানবের খাদ্য রসায়নাগারেই প্রস্তুত হইতে পারে বলিয়া বার্থেলো বিশ্বাস করিয়াছিলেন। মানবশরীরে এই তিন প্রকার পদার্থেরই বিশেষ আবশুকতা আছে এবং তাহারাই মানবদেহের গঠন, রক্ষণ, পোষণ প্রভৃতি সমুদয় কার্য সম্পন্ন করে। তাহদের মোটামুটি কার্য্য এইরূপ। মানব দেহে প্রতি মুহুর্তে যজ্ঞকুণ্ডের দ্যায় যে সমস্ত কোষ প্রস্তুত হইতেছে তাহার মূল উপাদানই চর্বি বা তৈল পদার্থ অর্থাৎ চর্বি কণাই ঐ সমস্ত নুতন কোষের বীজ স্বরূপ। আমরা বাহিরে যেমন দেখিতে পাই তৈলই অগ্নিশিখার প্রাণ, তদ্ধপ মানবশরীরাভ্যন্তরেও সৰ্ব্বদা যে বহি প্ৰজলিত আছে তাহারও প্রধান উপাদান তৈল। এই সমস্ত কোষে আবার নাইট্রোজেন মূলক পদার্থ নীত হইয়৷ তথাকার কার্য্যে, কাহাকে মেটাবোলিজম্ বলে, তদ্বারা তাহ মাংসে পরিণত হয়। শরীরবিদ্যার এই বিশেষ শব্দ মেটাবোলিজম সম্বন্ধে এখানে এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে তাহা জীবশীরাভ্যন্তরের সেই রাসায়নিক কাৰ্য্য যদ্বারা তথায় নীত সমৃদয় জড়পদার্থপ্রাণময় পদার্থে পরিণত হয়। কাৰ্ব্বোহাইডেট পদার্থও কোষগুলি নিৰ্ম্মাণের উপকরণ চৰ্ব্বি বা তৈল পদার্থের সরবরাহ ব্যতীত মেটাবোলিজমের সহায়তা করে । এই তিন পদার্থের সাহায্যেই প্রধানতঃ শরীরের সমুদয় কাৰ্য্য সৰ্ব্বদা চলিতেছে। বার্থেলো বিশ্বাস করিয়াছিলেন এই তিন পদার্থ রসায়ন শাস্ত্রের সাহায্যে প্রস্তুত করিতে পারলেই মানবের আহার কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত হইতে পারে এবং সেই বিশ্বাস মূলে রসায়নাগারেই ঐ গুলি প্রস্তুতের জন্ত বদ্ধপরিকর হন। ১৮৫২ খৃষ্টাব্দ শেষ হইবার পূৰ্ব্বেই বার্থেলে তাহার চেষ্টার ফলে চৰ্ব্বিমূলক পদার্থগুলি রসায়নাগারেই প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইলেন এবং সেই সময় হইতে র্তাহার নিজ পদ্ধতি অব বিজ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী । SMMMASAMSMSMSMSMMSMSMSMS (t)ను .ുഹWikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്~~് লম্বনেই অনতিবিলম্বেই কাৰ্ব্বোহাইডেট, পদার্থ অর্থাৎ শর্করাদি অঙ্গারক রসায়ন শাস্ত্রের সাহায্যে প্রস্তুত করিতে কৃতকাৰ্য্য হইলেন। অবশিষ্ট নাইট্রোজেন মূলক পদার্থ অর্থাৎ এলবুমেন জাতীয় পদার্থ কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতের প্রণালী এপর্য্যস্ত উদ্ভাবিত না হইলেও বার্থেলো এবং আধুনিক বহু প্রসিদ্ধ রাসায়নবিংগণই বিশ্বাস করেন অত্যর কাল মধ্যেই ঐ পথ উদ্ভাবিত হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এইরূপ বা তদ্রুপ প্রক্রিয়া আবিষ্কৃত হইবার পূৰ্ব্বে বার্থেলে বলেন, এক বিশেষ আবিষ্কারের প্রয়োজন আছে এবং তাহা কোন বিশেষ ‘শক্তি’র আবিষ্কার ও সেই শক্তি এত অমিতভাবে সঞ্চিত থাকিবে যে ইঙ্গিত মাত্রে সামান্ত বা বিনা আয়াসে আমাদের কাৰ্য্যে যে কোন পরিমাণে তাহাকে আমরা প্রযুক্ত করিতে পারিব। পূৰ্ব্ববর্ণিত এসিটিলিন প্রস্তুতপ্রণালীর প্রতি লক্ষ্য করিলেই দেখিতে পাই সাধারণ অঙ্গরক ও হাইড্রোজেন মিশ্রণ দ্বারা উহ। উদ্ভূত হয় বটে কিন্তু ঐ দুই পদার্থের যে প্রকারের মিশ্রণ আবশ্বক তাহা বিশেষ ও প্রবল শক্তি ইলেকটি সিটির সাহায্যে সম্পাদিত হয়। এই স্থলে রাসায়নিক ‘মিশ্রণী ও ‘শক্তি’র তাৎপৰ্য্য সংগ্রহে একটু সচেষ্ট হইলেই আমরা বুঝিতে পারি এক পদার্থ অন্ত পদার্থের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে ংলগ্ন হওয়াই মিশ্রণ’ এবং যাহা ঐরূপ সংলগ্ন হইবার সুবিধার জন্ত এক পদার্থকে বহু স্বগ্ন অংশে বিভাগ করিতে সমর্থ হয় তাহাই রাসায়নিক ‘শক্তি’ এবং যাহা যত বেশী অংশে বিভাগ করিতে পারে তাহা তত বড় শক্তি”। প্রকৃতি এই শক্তিশালিনী বলিয়াই তাহাকে নিৰ্ম্মাত্রী ধাত্রী স্বরূপে দেখিতে পাই। মানব যত পরিমাণে এই শক্তিকে হস্তগত করিতে পারিবে ততই প্রকৃতির স্থান অধিকার করিতে , থাকিবে । অঙ্কশাস্ত্রবিৎ আর্কেমিডিস যেমন বলিয়াছিলেন দও স্থাপনের স্থান পাইলে তিনি পৃথিবীকেও কক্ষচ্যুত করিতে পারিতেন, তদ্রুপ বার্থেলো বলিয়াছেন উপযুক্ত ‘শক্তি’ হস্তগত হইলেই মানব প্রকৃতির স্তায় নিজ আবশুকীয় বহু পদার্থ নিৰ্ম্মাণে সক্ষম হইয়া প্রকৃতির মুখাপেক্ষিত৷ অনেক পরিমাণে হ্রাস করিতে সমর্থ হইবে। শক্তি’র এই অর্থে জল, তাপ, ইলেক্ট সিটি সকলইরাসয়নিক শক্তি’ ; ইহারা সকলেই পদার্থ নিচয়কে বহুধা