পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--~ 8b" গ্রহণ করিয়াছিলেন। এই স্থানে উক্ত দুই মাস্তুতে ভ্রাতা একত্র এক পরিবারে প্রতিনিয়ত প্রতিপালিত হওয়ায় উভয়ের মধ্যে যেরূপ ভালবাসা জন্মিয়াছিল তদ্রুপ স্নেহ ও ভালবাসা এক মাতৃগর্ভজাত সহোদর ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যেও অধিকাংশ স্থলে দৃষ্ট হয় না। দ্বারিক বাবু গুরুপ্রসাদ বাবু হইতে বুয়ােজ্যেষ্ঠ। ইহঁদের মাতুল রাধানাথ সেন মহাশয় যদিও স্বয়ং ইংরেজী বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন না কিন্তু পারস্ত ভাষায় তাহার বিলক্ষণ অধিকার ছিল। তখন বঙ্গদেশে কেবল ইংরেজী বিস্কার ক্ষীণ আভা চতুৰ্দ্দিকে প্রকাশ পাইতে আরম্ভ করিয়াছিল। রাধানাথ সেন মহাশয় উক্ত আলোকে ভাগিনেয় গুরুপ্রসাদকে আলোকিত করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। গুরুপ্রসাদ মক্তব ছাড়িয়া ইংরেজী বিদ্যা অর্জন করিতে যত্নবান হইলেন। ইনি বাল্যাবধি অতিশয় মেধাবী ছিলেন। যে বয়সে অন্ত বালকগণ থেলিয়া বেড়ায় গুরুপ্রসাদের অধ্যয়নে একান্ত মনোযোগিতা সে সময় হইতেই পরিলক্ষিত হয়। তখন আজকালকার মত গ্রামে গ্রামে ইংরেজী বিদ্যালয় ছিল না, বর্তমান সময়ের মত প্রতি গ্রামে ইংরেজী শিক্ষিতের সংখ্যাও দেখা যাইত না, গুরুপ্রসাদ এমন দিনে ইংরেজী শিখিতে আরম্ভ করেন। ইহার বহু পরে বিক্রমপুরে কাউলিপাড়ার বাৰু দিগের যত্নে তাহদের বাস স্থানে একটা ইংরেজী বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছিল। বাৰু ত্রিপুর চরণ দাস সেই বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক হইয়াছিলেন। ইহঁার সুশিক্ষাগুণে বিক্রমপুরে এক যুগান্তর উপস্থিত হয়। সেই সম্বন্ধে স্বৰ্গীয় প্রসিদ্ধ কবি ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত মহাশয়ের প্রবর্তিত ‘প্রভাকরে যে কবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল তাহারি কয়েক পক্তি নিয়ে উদ্ধৃত করা গেল। " “ত্রিপুরা চরণ দাস, দিলেন সুন্দর চাষ “বেঘের” সে বেগ হ’ত, মলিন কুলীন যত গাঙ্গুলী লাঙ্গুলি হ’ল সার।” সে সময়ে বিক্রমপুরের মধ্যে "বেঘে” গ্রামে কুলীন ব্রাহ্মণগণের বাসস্থান ছিল। ইহঁরাই তৎকালীন বিক্রমপুরস্থ হিন্দু সমাজের নেতা ছিলেন। কি দীন, কি ধনী সমাজস্থ ছোট বড় সকলেরই ইহঁদের আদেশ প্রতিপালন করিয়া চলিতে প্রবাসী । ৮ম,ভাগ হইত। ইংরেজী শিক্ষার সাম্যভেরী নিনাদিত হইলে ইহঁদের কঠোর শাসন তিরোহিত হইবার উপক্রম দেখিৰে পাইয়াই বোধ হয় কবি এইরূপ লিথিয়া থাকিবেন । গুরু, 1 প্রসাদ বাবুর ইংরেজী শিক্ষা স্বীয় মাতুল রাধানাথ সেন মহাশয়ের উপার্জনস্থল ময়মনসিংহে আরম্ভ হয়। এই স্থান হইতেই তিনি বিশেষ পারদর্শিতার সহিত প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’ন। ইহার পর যথাক্রমে ঢাকা কালেজ হইতে এফ এ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হুই৷ বিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন ও পরিশেষে কলিকাতা প্রে:ি ডেন্সী কালেজ হইতে বি এ ও এম এ পরীক্ষায় সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করেন। তাহার পূৰ্ব্বে বিক্রমপুরে কেহ বি এ পরীক্ষায় পাস করে নাই। এই সময়ে তাহার মেধাশক্তির কথা সৰ্ব্বত্র এইরূপ ভাবে রাষ্ট্র হইয়াছিল যে বিক্রমপুরের ভিন্ন ভিন্ন গ্রামের অধিবাসিবর্গ দলে দলে তাহাকে দেখিতে আসিত। গুরুপ্রসাদ বাবু সৰ্ব্ব প্রথমে প্রেসিডেন্সী কলেজের । অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে বি এল পরীক্ষায় পাস করিয়া প্রথমে কৃষ্ণনগরে ও পরে বেহার অঞ্চলে ডেপুটি ম্যাজি । ষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত হইয়া বঁকিপুর গমন করেন। গুরু | প্রসাদ বাবু চিরকালই তেজস্ব পুরুষ ছিলেন, অন্তের নিকট আপনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও ন্যায়বুদ্ধি কোন দিন । বিসর্জন দেন নাই। কোন এক ক্ষুদ্র কারণে পাটনার। তদানীন্তন ম্যাজিষ্ট্রেটের সহিত তাহার মতানৈক্য হওয়া তিনি “চিরদিন ভিক্ষা করিয়া থাইব তথাপি অপরের দাসত্ব । করিব না" এইরূপ প্রতিজ্ঞা করিয়া সরকারী কাৰ্য্য পরিত্যাগ করেন। এই ঘটনা হইতেও তাহার যথেষ্ট স্বাধীনচিত্ততার পরিচয় পাওয়া যায়। তখনকার দিনে চাকুরীজীবী বাঙ্গালী । পক্ষে এইরূপ একটী উচ্চ পদের আশায় জলাঞ্জলী দেওয়া কম আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। অতঃপর তিনি বাকিপুরে । ওকালতী ব্যবসায় আরম্ভ করেন। এই বাকিপুরই তাহা । জীবনের কৰ্ম্মক্ষেত্র হইয়াছিল। এই বেহার অঞ্চলেই তিনি । ত্রিশ বৎসরের অধিক কাল যাপন করিয়া ইহার অশেষ । কল্যান সাধন করিয়া গিয়াছেন। আইনের কূটতর্কে | তাহার হুগ বুদ্ধি দেখিয়া একদিকে যেমন লোকে বিস্ময়াবি ৷ হইত অপরদিকে তেমনি প্রত্যেক দেশহিতকর কাৰ্য্যে র্তাহার }, অক্লাস্ত পরিশ্রম, চেষ্টা ও যত্ন দেখিয়া লোকে মুগ্ধ হইত। ১ম সংখ্যা । ] পাটনা অঞ্চলে গুরুপ্রসাদ বাবুর যাইবার পূৰ্ব্বে বেহারিগণ নীলকর সাহেব দিগের অত্যাচারে সর্বদ জর্জরিত থাকিত। তাহারি যত্নে নীলকরদিগের অত্যাচার একরূপ নিবারিত হয়। শুনিয়াছ রাজপুরুষগণের খামখেয়ালীতে বেহারিগণ অনেক সময় অন্তায় রূপে উত্যক্ত হইতেন, কিন্তু গুরুপ্রসাদ বাবুর ঐকান্তিক চেষ্টা ও যত্নে এবং তীব্র প্রতিবাদে শীঘ্রই সে সকল প্রশমিত হয়। আজ কাল Behar Landholders' Association নামে বেহার প্রদেশের ভূস্বামিগণের যে রাজনৈতিক সৰ্ব্ববিধ আলোচনার সভা আছে উহাও গুরুপ্রসাদ বাবুর বহু চেষ্টা ও যত্নে স্থাপিত হইয়াছিল। তিনি আজীবন ইহার সম্পাদক থাকিয়া বেহার অঞ্চলের বহু হিতানুষ্ঠান করিয়া গিয়াছেন। বেহারের অভাব ও «fsgats atarsztą ag fsf “Behar Herald” নামক যে ইংরাজী সংবাদ পত্র প্রতিষ্ঠাপিত করিয়া দিয়াছেন তাহা জীবিত থাকিয়া অস্থাপি তাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে। এথানি বেহার প্রদেশের সৰ্ব্বপ্রথম কাগজ। তৎপূৰ্ব্বে কি ইংরাজী, কি হিন্দী, কোন ভাষাতেই কেহ কোন সংবাদ পত্র প্রকাশ করেন নাই। গুরুপ্রসাদ বাবু যত দিন জীবিত ছিলেন গভর্ণমেণ্টের সামান্য অত্যাচার ও অবিচারে তিনি এরূপ তীব্র প্রতিবাদ করিয়া উহাতে প্রবন্ধাদি লিখিতেন যে গবর্ণমেণ্টও বিচলিত না হইয়া থাকিতে পারিতেন না। কেবল রাজনৈতিক আন্দোলনেই তাহার জীবন অতিবাহিত श्। नाहे, गल्ली विश्प्यहे ७ाशब्र एक दृष्टि वक्षादिङ श्हेछ। বেহার প্রদেশে স্থশিক্ষার অভাব দেখিয় তাহার প্রাণ বাথিত হইয়াছিল। তিনি সেই স্থানে নিজ ব্যয়ে এক বিদ্যালয় স্থাপিত করেন। সেই বিদ্যালয়ের পরিচালনের ভার পরিশেষে কোনও সুযোগ্য ব্যক্তির হস্তে অর্পণ করেন ও উহা পরিশেষে záRIR T. K. Ghosh's Academya HfF5 ff's হয়। দীন দরিদ্রের জন্য গুরুপ্রসাদ বাবুর হৃদয় যথার্থই কাতি, তিনি বহু নিঃস্ব গরিবের সস্তানকে প্রতিপালন ও নিজের ব্যয়ে নিজের বাসায় রাখিয়া বহু শিক্ষার্থীর শিক্ষার সমুদয় ব্যয়ভার বহন করিয়াছেন। চিরকাল বেহার প্রবাসে জীবনাতিবাহিত করিয়াও তিনি শতগুীমলা বঙ্গজননীর স্নেহ বিস্তুত হ’ন নাই।" দূরে রহিয়াও মাতৃভূমির সর্ববিধ আন্দোলনেও হিতামৃষ্ঠানে যোগদান

om--— প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা। "


بی. --

8> SASMSMSMSMS করিতেন। পূৰ্ব্ব বঙ্গ হইতে গুরুপ্রসাদ বাৰু,একবার ছোটगारफेब आहेन गडाब नषश इहेब्राझिरनन। १6 बनित्राहि যে বিক্রমপুরস্থ কাচাদিয়া গ্রামে গুরুপ্রসাদ বাবুৰ মাতুলালয় ছিল ; উক্ত গ্রাম পদ্মার কুক্ষিগত হইলে পর কাচাদিয়া গ্রামবাসিগণ কামার খাড়া নামক গ্রামে আসিয়া স্ব স্ব বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করেন। গুরুপ্রসাদ বাবুর ভ্রাতা শ্ৰীযুক্ত দ্বারকানাথ গুপ্ত মহাশয় উক্ত গ্রামের “স্বর্ণগ্রাম” নামকরণ করিয়া ৰে সকল জনহিতকর কার্য্য করিয়াছেন গুরুপ্রসাদ বাবুর সে সকল কার্য্যের সহিত সম্পূর্ণ সহানুভূতি বিদ্যমান ছিল। श्रशिक५५ ऋल डिनि यtशठे श्रर्थ नाशंदा कब्रिप्ठs কুষ্টিত रुन नाहे । তিনি এক সময়ে সরল বিশ্বাসী ব্রাহ্ম ছিলেন, এমন কি উক্ত ধৰ্ম্মে দীক্ষিত পৰ্য্যস্ত হইয়াছিলেন। সময়ে তাহার সে মত কতকাংশে পরিবর্তিত হইলেও তিনি হিন্দু সমাজের লক্ষীণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন না। সমাজের মঙ্গলজনক কোন কাৰ্য্য সম্পাদনেই তিনি ভীত হইতেন না। গুরুপ্রসাদ বাবু শিক্ষার নিমিত্ত তাহার পুত্র ও জামাতৃবৃন্দকে ইংলণ্ডে প্রেরণ করিয়াছিলেন এবং নিজেও প্রাচীন বয়সে ভ্রমণোদেখে তথা গমন করেন। ইংরাজী ভাষায় যদিও তিনি কয়েক থানা পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন তথাপি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাহার ঔদাসীন্য ছিল না। সেকালের স্ববিখ্যাত “সোমপ্রকাশ” পত্রে তিনি যেসকল প্রবন্ধাদি লিথিয়া গিয়াছেন তাহাই ইহার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ১৩.৭ সনের ২৮শে আশ্বিন বঁকিপুরে তাহার দেহান্ত श्द्र । অমলেন্দু গুপ্ত। গোয়ালিযুরে জর্মী ও গ্রাম । সম্পাদক মহাশয় গত পৌষ সংখ্যায় যে বাঙ্গালীর চাকুরী ত্যাগ করিয়া স্বাধীন বৃত্তি ও শিল্পবাণিজ্যাদি ব্যবসায় अदणषन कब्रात्र ७थएब्राखन श्रश्डन कब्रिग्राप्श्न उाश श्रडि প্রশংসনীয়। যে সকল বঙ্গবাসী কিছুকাল প্রবাসে বাস করিয়াছেন তাহাম্বের পক্ষে দেশের জলবায়ু বা আহারীয় দ্রব্যাদি এতই প্রতিকুল যে অধিকাংশ নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করিয়া বাস করা এক প্রকার কষ্টকর ও বাঁধময় বিবেচনা