পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇతీ 6 প্লেৰাগী Sළු8ර්‍ම go অমর চুপ করিয়া বসিয়া রহিল, বসিয়া বসিয়া সিগারেটের ধোয়ায় ‘রিং” বানাইতে লাগিল । বিমলও চুপ করিয়া রহিল। যোগেন দুই পেয়ালা চা সম্মুখে নামাইয়া দিয়া গেল । এক চুমুক চা পান করিয়া অমর বলিল—যাক গে, সে যা হবার হবে, এখন আমি যে জন্যে তোর কাছে এসেছি শোন | —কি ? —আমরা বিসর্জন প্লে করছি, তোকে রঘুপতির পাটনিতে হবে। সেবার কলেজে তুই রঘুপতির পাট যা করেছিলি চমৎকার ! বিমল ইহার জন্য প্রস্তুত ছিল না। হইবে ! —সে কি ! কোথায় প্লে হবে! —ওপারে আমাদের ক্লাবে, আমাদের বাধা স্টেজ আছে, বাবার এক কালে খুব সৰ্থ ছিল কি না-বাবাই স্টেজ করিয়ে দিয়েছিলেন । —আমার কি ভাই রোজ রোজ রিহাসাল দেওয়া পোষাবে ? একটা হাসপাতালের ভার রয়েছে, কখন কি রুগী এসে পড়ে— অমর কিন্তু দমিবার পাত্র নয়। সে বলিল—বেশ তোমার বাড়ীতেই রিহাসর্ণল দেব আমরা, এখানেই এসে জোট যাবে সন্ধ্যের পর—ক-টাই বা পার্ট ? —ফিমেল পার্ট করবার লোক আছে ? অপর্ণ কে হবে ? —চমৎকার লোক আছে । বিমলের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলিয়া গেল। বলিল— এক কাজ যদি কর ভাই রাজি আছি। -कि f —এখানে থিয়েটার দেখবার উৎসাহ কি রকম সকলের । —খুব । —পয়সা খরচ ক’রেও দেখতে আসবে ? যদি আমরা টিকিট করি । , -আসতে পারে, এক বার আমরা করেছিলাম, প্লে করিতে আড়াই-শ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল, টিকিট অবশু ঘরে ঘরে গিয়ে বিক্ৰী ক’রে আসতে হয়েছিল-- বিমল উৎসাহিত হইয়া উঠিল । —আমি রাজী আছি, এবারও যদি তাই কর । টাকাটা কিন্তু আমার হাসপাতালে দিতে হবে, কিচ্ছ, ওষুধ নেই ভাই, মহাবিপদে পড়েছি, এদিকে মিউনিসিপালিটির টাকা নেই, ওদিকে ওষুধের দোকানে ধার জমে আছে— অমরও সোৎসাহে রাজী হইয়া গেল । বিমল বলিল-আচ্ছা আমিই তোর ওখানে যাব না হয়। আমার বাড়ীতে রিহাসর্ণলের গুলতানি করা ঠিক নয় । ঠিক পাশের বাড়ীতেই একটা শক্ত টাইফয়েড রোগী আছে । —কালই তাহলে এস, দিন-পনেরর মধ্যে নামাতে হবে বইখানা, আমিও কাল থেকে তাহলে, টিকিট বিক্রি করতে লেগে যাই । —বেশ । অমর চলিয়া গেল, বিমল এক চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। যদিও আজ অমর বিকুর কথাটা তোলে নাই, তৰু বিস্তুর কথাটা তাহার বার-বার মনে হইতে লাগিল। অমর এ কি নিদারুণ সমস্তার স্বষ্টি করিয়া বসিয়াছে। —ডাক্তারবাবু ? —ভিতরে আস্থন । যাহার বাড়ীতে টাইফয়েড’ তিনিই আসিলেন । —ভূধরবাবু এসেছেন, চলুন আপনি একবার। —চলুন, যাচ্ছি। ভূধরবাবুর সহিত একযোগে বিমল টাইফয়েড রোগটির চিকিৎসা করিতেছিল। টাইফয়েড়ের চিকিৎসা করিবার বিশেষ কিছু নাই। জল কোজ আর ডিজিটালিস। তবু একটা চিকিৎসার ভড়ং করিতে হয়, ভূধরবাবু লম্বা লম্ব প্রেসকৃপশন লেখেন, বিমল আপত্তি করে না। মাঝে মাঝে বিমলের ইচ্ছা করে সমস্ত ঔষধপত্র বন্ধ করিয়া দিতে ; কিন্তু তাহা করিলে গৃহস্থ ব্যাকুল হইয়া উঠিবে। ডাক্তারিতে রোগীর অপেক্ষ রোগীর আত্মীয়-স্বজনের